‘মৃত্যুক্ষুধা’—অভাব, ক্ষুধা, প্রেম, মৃত্যুর চিরায়ত আখ্যান

রেজওয়ান আহমেদ Avatar

‘মৃত্যুক্ষুধা’ এক অদ্ভুত-সুন্দর বেদনা-জাগানো আখ্যান। বনফুলের লেখায় (গল্প—’পাঠকের মৃত্যু’) প্রভাবিত হয়ে একাধিকবার পড়ে দেখবার চেষ্টা করেছি। মোটামুটিভাবে আত্মস্থ হয়ে যাওয়াতে হয়ত এখন আর কাঁদি না। না কাঁদলেও স্বীকার করতে দ্বিধা নেই— করুণরস সৃষ্টিতে কাজী নজরুল ইসলাম মুনশিয়ানা দেখিয়ে ছেড়েছেন ‘মৃত্যুক্ষুধা’ দিয়ে। মোটাদাগে অভাব-অনটন-প্রেম আর পারিবারিক বন্ধনের মূর্ত উদাহরণ ‘মৃত্যুক্ষুধা’।

অভাব আর ক্ষুধা —

‘বিধাতার দেওয়া ছেলেমেয়ে এরা বিধাতার হাতেই সঁপে দিয়ে নিশ্চিত মনে পান্তাভাত খেয়ে মজুরিতে যায়, সন্ধ্যায় ফিরে এসে বড় ছেলেটাকে বেশ করে দু-ঘা ঠেঙায়, মেজোটাকে সম্বন্ধের বাছবিচার না রেখে গালি দেয়, সেজোটাকে দেয় লজঞ্চুস, ছোটটাকে খায় চুমো, তারপর ভাত খেয়ে নাক ডাকিয়ে ঘুমায়।’

নিম্নবর্গের একেকদিনের বারোয়ারি জীবনের সবটা প্রতিফলিত হতে দেখি নজরুলের ডিটেইলিংয়ে।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’তে জেলেপাড়ার সান্ধ্যকালীন পারিবারিক পরিবেশে অনেকটা এমনই কিছু দেখেছি।

‘চাঁপাডাঙার বৌ’ পড়তে গিয়ে রাঢ়বঙ্গের স্ত্রীলোকের গালিভাষার যে পরিশীলিত রূপ দেখেছি, ‘মৃত্যুক্ষুধা’য় গালি বিবরণে সে কথাগুলো বারবার মনে পড়েছে। গোখরোতে কামড়াবে, এই হবে, সেই হবে —টিকুরীর খুড়ীর কত্ত শাপ-শাপান্ত!

এদিকে ‘মৃত্যুক্ষুধা’য় সাংসারিক কলহচিত্রে দেখা যায় শাশুড়ি পুত্রবধূকে অভিশাপ দিচ্ছে “… –ভাল হবে না লো, ভাল হবে না। এই আমি বলে রাখছি, বিয়ের রাতেই জাত-সাপে খাবে তোদের দুই জনকেই।”

‘মৃত্যুক্ষুধা’ পাড়াগেঁয়ে কলহের রূপায়ণে বোধহয় এককাঠি সরেস। উপন্যাসের শুরুতেই ছুৎমার্গ প্রসঙ্গে ঝগড়ায় মেতে উঠতে দেখি প্যাকালেদের মা আর হিড়িম্বাকে। বলা হচ্ছে মুসলমান-খ্রিস্টান-হিন্দুদের একত্রবাস এখানে। যে যার ধর্মের ব্যাপারেই তবু কলহ-বিবাদ বেশি। আবার মানবতার বেলায় এরাই বহু-দেহ-এক-প্রাণ। দারিদ্র্য-অভাব-ক্ষুধায় এদের জীবন অতিষ্ঠ।

তাই পাঁচির বাচ্চা ভূমিষ্ঠ করানোর প্রয়োজনে হিড়িম্বার কাছেই গিয়ে ধরনা দেয় গজালে-প্যাকালের মা।

প্যাকালের জীবনাচরণে আমরা দেখি আয়নার অভাব পূরণ করতে হয় জলে নিজের ছায়া দেখে। স্নানের জন্য তেলের শিশি হাতের তালুর ওপর উল্টে রাখলে পাঁচ মিনিটে পাঁচ ফোঁটা তেল হাতে পড়ে। দারিদ্র্যের স্বরূপ বিবরণে ‘মৃত্যুক্ষুধা’ অন্যান্য সমসাময়িক উপন্যাস থেকে কিছু আলাদাই।

‘যেটা উনুন-শাল, সেইটেই ঢেঁকিশাল, সেইটেই রান্নাঘর এবং সেইটেই রাত্রে জনসাতেকের শোবার ঘর। তারই একপাশে দরমা বেঁধে গোটা বিশেক মুরগি এবং ছাগলের ডাক-বাংলো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।’

এর বাইরে ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে দারিদ্র্যের বিবরণ উল্লেখযোগ্য।

টুনির বাপের বাড়ির নিম্নমধ্যবিত্ত গেরস্তি জীবন তুলে ধরেছেন জহির রায়হান। সে বাড়িতে টুনির ঘরের বিবরণে চৌকির ওপরে বিছানো কাঁথা, তেল চিটচিটে বালিশ আর বেড়ার সঙ্গে ঝোলানো ভাঙা আয়নায় দারিদ্র্য প্রতিফলিত হচ্ছে।

‘মৃত্যুক্ষুধা’র কাহিনি এগিয়ে চলে দুটো পরিবারের জীবনকে সমান্তরালে রেখে। প্যাকালের ওপর যে পরিবারটির ভার সেটি নিম্নবর্গীয় পরিবার। দারিদ্র্য এদের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। রাজমিস্ত্রির কাজ, খানসামাগিরি, বাবুর্চিগিরি করে এদের গেরস্তি চালানো কঠিনতর হয় দিনদিন। আমরা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অশনি সংকেত’ এবং হাসান আজিজুল হকের ‘আগুনপাখি’ উপন্যাস দুটিতে তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষে যথাক্রমে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ–মধ্যবিত্ত পরিবারের অসহায়ত্বের কথা পাই। তবে অসম অর্থনৈতিক অবস্থার মানুষের জীবনের পার্থক্য সূচিত হয়নি দুটোর কোনোটিতেই। ‘মৃত্যুক্ষুধা’ সেদিক দিয়ে আলাদা।

শুরুর দিকে নজরুল লিখেছেন—

মাথার ওপরে টেরির মত এদের মাঝে দু-চারজন ‘ভদ্দর-নুক’ও আছেন।

কৃষ্ণনগরের চাঁদ-সড়কের নিম্নশ্রেণীর জনগণের মাথার মণি হয়ে আছেন নাজির সাহেবের মতো লোক। তারা ধনিক শ্রেণীর প্রতিভু। খাবারের অভাবে গরিবঘরগুলোর সকলে উপোস করে মরলেও সে মৃত্যুর ছোঁয়া না তাদের। খাবারেরও কখনো অভাব হয় না লতিফাদের।

বড়লোকের বেড়ালের উচ্ছিষ্ট দুধটুকু দিয়ে ক্ষীর করে খেয়ে দিন কাটাতে হয় ক্ষুধার্ত দরিদ্র সন্তানদের। মৃত্যুপথযাত্রী যারা, তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় হাজির হাতুড়ে ডাক্তার। তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষের আগেপরে গ্রামাঞ্চলে হাতুড়ে ডাক্তার এন্তার দেখা মিলত। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিপিনের সংসার’, হাসান আজিজুল হকের ‘আগুনপাখি’, জসীম উদ্‌দীনের ‘বউ টুবানীর ফুল’, ‘বোবা কাহিনী’র মতো উপন্যাসে এ বাস্তবতা এসেছে। অবশ্য এদের সকলে লোভী-স্বার্থপর ছিল না।

সেজো-বৌ এবং তার খোকার মৃত্যুর বিবরণে প্রতীকায়িত পরিচর্যার আশ্রয়ে করুণরসাত্মক ভাব তৈরি করেছেন নজরুল।

প্রেম –

‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসে মৃত্যু এবং ক্ষুধার জয়জয়কারে বোধকরি প্রেম অনেকটাই চাপা পড়ে গেছে। অবশ্য নজরুল ক্ষেত্রবিশেষে সেই ছাইচাপা আগুনকে একটু করে উস্কে দিতে ভোলেননি।

মেজ-বৌ আর ঘিয়াসুদ্দীনের রসায়নকে কুবের-কপিলার রসায়নের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।

ছলনা আর বাণের ব্যবহারে কপিলার চেয়ে মেজ-বৌ কোনো অংশে কম নয়।

নজরুল লিখেছেন—‘আগুন আর সাপ নিয়ে খেলা করতেই যেন ওর সাধ। ঘিয়াসুদ্দীন ওকে বুঝতে পারে না। বুঝতে পারে না বলেই এত ঘন ঘন আসে। মেজ-বৌও তা বোঝে, তাই তাকে ঘন ঘন আসায় অর্থাৎ আসতে বাধ্য করে।’

প্রেমের অস্তিত্ব আছে মেজ-বৌ আর আনসারের রসায়নে। বিশেষ করে মেজ-বৌ আনসারকে ভালো করেই চিনত আসতে-যেতে। দূর-থেকে-দেখা মুগ্ধতা তার দিক থেকে ছিল। সেই মুগ্ধতা অজান্তেই অব্যক্ত প্রেমে গড়ায়। এ প্রেমের যদিও কোনো পরিণতি নেই, আনসার ঠিকই এর স্বরূপ উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।

আবার, আনসার আর রুবির মধ্যে একটা বিয়োগান্তক প্রেম। প্রকৃতপক্ষে এ প্রেমটিকেই আখ্যানের প্রধানতম উপাখ্যান ধরা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, প্রেম ছাপিয়ে আনসার চরিত্রে বিদ্রোহই বেশি প্রকটিত। সে কমিউনিস্ট। আনসার প্রকৃতপক্ষে বিদ্রোহী নজরুলেরই ছায়া। তার এই আদর্শকে ঠিক মানতে পারে না রুবি। রাজপথ থেকে ফেরানোর চেষ্টা পরিলক্ষিত রুবির চরিত্রে। এ প্রসঙ্গে জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসের ডলি চরিত্রের উল্লেখ করা যায়। অবশ্য ডলির চরিত্রে ওঠানামা থাকলেও রুবি সরল প্রেমিকা চরিত্র। ‘মৃত্যুক্ষুধা’ রুবির বিয়ে, বৈধব্যের উল্লেখ করলেও রুবির মধ্যে পতিপ্রেম রাখেনি। বরং শেষদিকে যক্ষ্মা আক্রান্ত আনসারের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে তার সাথেই করুণ পরিণতি গ্রহণ করে। যক্ষ্মাজনিত করুণ পরিণতি জসীম উদ্‌দীন দেখিয়েছেন তাঁর ‘বোবা কাহিনী’ এবং ‘বউ টুবানীর ফুল’ উপন্যাসে।

মোটাদাগে স্বামীহারা নারীদের সংগ্রামের গল্প হলেও সপতি চরিত্র হিসেবে লতিফা আর নাজির সাহেবের সম্পর্ক বেশ স্বচ্ছ বন্ধুত্বপূর্ণ।

পরিণতি ঘটেছে এমন প্রেম প্যাকালে আর কুর্শির মধ্যে চিত্রায়িত। সময়ের সাথে স্বাভাবিক সামাজিক বাধাবিপত্তির আঁচে পুড়তে থাকা প্রেমিকজুটির মধ্যে মান-অভিমান-ভয় অথবা ধর্মত্যাগের সৎসাহস পর্যন্ত দেখিয়েছেন নজরুল। এ বিষয়টি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সপ্তপদী’ উপন্যাসে কৃষ্ণস্বামী চরিত্রে দেখি।

প্যাকালের চরিত্রে ব্রিটিশ-প্রভাবিত আধুনিকতা দেখা যায়। তার ফ্যাশন-সচেতনতা, সিগারেট ফোঁকা, চা খাওয়ার অভ্যাস—ব্রিটিশ থেকেই তার মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘চাঁপাডাঙার বৌ’ উপন্যাসে ঘোঁতন ঘোষের মধ্যে অনুরূপ অনুপ্রবিষ্ট আধুনিকতা দেখিয়েছেন।

আনসার চরিত্রে বিদ্রোহী নজরুলের ছাপ থাকলে, প্যাকালে চরিত্রে প্রেমিক নজরুলের ছাপ স্পষ্ট।

শিশু মনস্তত্ত্ব—

মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাসে শিশু মনস্তত্ত্ব যথেষ্ট পরিমাণে এসেছে। গালিভাষা আয়ত্তকরণের ব্যাপারটি যেমন – ভদ্রলোকের ছেলেমেয়ে গালিভাষা শিখলে পাড়ার দোষ দেয় বড়রা। এ প্রবণতা লতিফার মাধ্যমে প্রকাশিত।

এর বাইরে মেজ-বৌয়ের ধর্মত্যাগের ব্যাপারে তার এতিম সন্তানের মন্তব্য –

“তাহলে আমি আব্বার কাছে যাব। আচ্ছা দাদি, আব্বার কাছে যেতে হলে কদিন বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়! তুই ত বিছানায় শুয়ে অসুখ করেছিস, তারপর সেখানে যাচ্ছিস! আমারও এইবার অসুখ করবে, তারপর আব্বার কাছে চলে যাব! মা ভালবাসে না, খেরেস্তান হয়ে গিয়েছে! হারাম খায়! থুঃ! ওর কাছে আর যাচ্ছি না, হুঁ হুঁ!”

মেজ-বৌ চরিত্রের দর্শন –

মেজ-বৌ চরিত্রে মাতৃত্ব বলি, বৈধব্য বলি, সৎসাহস বলি আর যা কিছুই বলি—সবটাই এ চরিত্রের বাঁক এবং বিকাশের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়। নজরুল আনসার চরিত্রের আড়ালে মেজ-বৌয়ের মধ্যে নিজের প্রেমিকাকে খুঁজে পেয়েছিলেন। মনে পড়েছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসে কুবের জগা মাঝির বৌয়ের মধ্যে কপিলাকে খুঁজছিল। মেজ-বৌ অবশ্য উজ্জ্বলতায় ভরপুর চরিত্র সে তুলনায়।

পুঁজিবাদী চিন্তায় নয়, বরং গ্রাম্য নোংরামির শিকার হয়ে বাধ্য হয়ে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে। এ বিষয়টি তার সংলাপেই উঠে এসেছে –

“জি না! আপনারা একটু একটু করে আমায় খ্রিস্টান করেছেন!”

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চাঁপাডাঙার বৌ’ উপন্যাসে বড় বৌ চরিত্রের বিরুদ্ধে গ্রাম্য নোংরামির যে উদাহরণ রেখেছেন তা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হলেও মেজ-বৌ, চাঁপাডাঙার বৌয়ের তুলনায় বেশ শক্ত নির্মাণের ফসল।

প্রসঙ্গত এতদাঞ্চলে মিশনারিদের দৌরাত্ম্য সে সময় খুব ভালো রকমেই ছিল। বিশেষত তিরিশ এবং চল্লিশের দশকে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদী ধারণা বিস্তারের একটা উল্লেখযোগ্য ফল হিসেবে পর্তুগিজ, স্কটিশসহ আরো নানা ধরণের খ্রিস্ট মতবাদ এদিকে প্রচারিত হতো। এদের উপনিবেশবাদী তৎপরতাকে চাইলে ‘পদ্মানদীর মাঝি’র হোসেন মিয়ার রাষ্ট্রচিন্তক মানসের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।

মেজ-বৌ এদেরই প্রতিনিধি মিস জোন্সের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে বরিশালে যায়। সেখানে তৎকালীন জমিদারি প্রথায় মনোরঞ্জক নারীরূপে জীবিকা নিলে তার কিছু আর্থিক সংগতি হয়। এটা মূলত পুঁজিবাদী চিন্তার উপাদান উপন্যাসে। এই জায়গাটিতে তারাশঙ্করের ‘সপ্তপদী’ উপন্যাসের রিনা চরিত্রের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় মেজ-বৌয়ের।

এরকম পরিবেশে মেজ-বৌ যথেষ্ট নিষ্ঠুর মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে কোলের সন্তান ফেলে রেখে গিয়েছেন। আবার কোলের সন্তানের টানেই সব ছেড়েছুড়ে স্নেহময়ী মা হয়ে কৃষ্ণনগর ফিরেছেন। এসে খোকাকে জীবিত দেখতে না পেয়ে ঘটনাক্রমে খ্রিস্টধর্ম ছেড়ে আবার মুসলমানও হয়েছেন। আমরা তার সার্বজনীন মাতৃসত্তার পরিচয় পাই শেষের দিকে।

খোকার টাইফয়েডে মৃত্যু হয়। হাসান আজিজুল হকের ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসে এক খোকা ছিল। তারও টাইফয়েডে মৃত্যু হয়। টাইফয়েড ‘বোবা কাহিনী’র বড়ুর মৃত্যু ঘটায়।

সংগ্রামী-সাহসী-দৃঢ়চেতা মহিয়সী নারী এবং দুখিনী মা মেজ-বৌকে ঘিরে অসাধু ধর্মজীবী মোল্লাদের তৎপরতা ছিল, ছিল মোড়লের স্বার্থবাদী মনোবৃত্তির আভাস, সর্বোপরি গ্রামীণ জনগণের ধর্মান্ধতার কৃষ্ণগহ্বর।

রেজওয়ান আহমেদ, শিক্ষার্থী,বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (৬ষ্ঠ আবর্তন),বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

মতামত