দন্তস্য রওশন এর  ভাবনার রংধনু  ও “গল্পঘন্টা” এর গল্প

তাসনুভা অরিন Avatar

যখন ঘণ্টা বাজতে থাকে আমাদের বোধে এক একটা নতুন ধ্বনি বেজে ওঠে। আর সেই ধ্বনি যখন গল্পের হয় তখন কেবল কিছু শব্দের আলোড়ন না, চিন্তার তরঙ্গ  সৃষ্টি হতে থাকে। “গল্পঘন্টা” গল্পগ্রন্থটি তেমন একটার পর একটা গল্পের আওয়াজ, নতুন নতুন চেতনার রূপরেখা। দন্ত্যস রওশন এর “গল্পঘন্টা” বইটি ২৮ টি গল্পের মলাটবন্দী বই। এক একটি গল্প একেক রকম। প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা ঘণ্টা, আলাদা আলাদা আবহাওয়া। “গল্পঘন্টা” জনরা হিসেবে শিশু–কিশোর গল্পগ্রন্থ। আমার এই লেখনীর বিষয়বস্তু কিশোর গল্পের আঙ্গিকে দন্ত্যস রওশন কী কেবল কিশোর কিশোরীর মনস্তত্ত্বের ভেতর দিয়ে তার রংধনু এঁকেছে  নাকি একটা ভিন্ন আঙ্গিকে গল্পগুলোকে উপস্থাপন করেছে, তা মূল্যায়ন করা। অথবা বলা যায় এই বইটি অন্যান্য কিশোর গল্পগ্রন্থ থেকে কেন আলাদা বা আদৌ কী আলাদা?   

একজন কিশোরের জীবন যতনা ঘটনাবহুল তার চেয়ে অনেক ঘটনাময় তার কল্পনার জগত। ছোট ছোট ইচ্ছা যা পূরণ হোক বা  না হোক তা কিশোর মনে সবসময় বাজতে থাকে ঘণ্টার মতো। তার মন আসলে  গল্পঘণ্টা। একটু নাড়া পেলেই বাজতে থাকে ঢং ঢং। দন্ত্যস রওশন তার গল্পঘণ্টা বইয়ে সেই ঘণ্টাই বাজিয়ে যাচ্ছে। এক একটা গল্প এক একটা ঘণ্টা।  

বই এর প্রথম গল্প “ বাড়ি থেকে পালানোর পর” এ দেখা যায় কিশোর শিমুল  একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে ট্রেনে করে যাচ্ছিল অজানার উদ্দেশ্যে। সেখানে তার সাথে পরিচিত হয় সরফরাজ নামের একজন মানুষ। এই গল্পে একজন কিশোর প্রথম বুঝতে পারে মানুষ বাস্তবিকই কতটা বিচিত্র। প্রত্যেক মানুষের ভেতর গল্পের টুইস্ট লুকানো থাকে যা প্রথমে কেউ বুঝতে পারে না।

বই এর প্রথম গল্প “ বাড়ি থেকে পালানোর পর” এ দেখা যায় কিশোর শিমুল  একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে ট্রেনে করে যাচ্ছিল অজানার উদ্দেশ্যে। সেখানে তার সাথে পরিচিত হয় সরফরাজ নামের একজন মানুষ। এই গল্পে একজন কিশোর প্রথম বুঝতে পারে মানুষ বাস্তবিকই কতটা বিচিত্র। প্রত্যেক মানুষের ভেতর গল্পের টুইস্ট লুকানো থাকে যা প্রথমে কেউ বুঝতে পারে না।

অলৌকিকতার উপর আগ্রহ নেই এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। মানুষের এই আগ্রহের প্রকাশ হচ্ছে ভূত প্রেত বিষয়ক ভাবনা। “গাবগাছ যেভাবে ভুতগাছ হলো” মূলত রহস্য গল্পের আদলে লেখা মানুষের স্বার্থপরতার গল্প।   

“ফোন চলে যায় ভিন্ন গ্রহে” গল্পঘন্টার তৃতীয় গল্প। বাস্তব আর অবাস্তব এখানে মিলে যায়। এমন ভাবে মেলে যে ধাঁধা মাথায় ঘুরতে থাকে। আমরা এমন এক সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি যখন কিছুই অবিশ্বাস করিনা। তাই বলে অকপটে সব বিশ্বাস করি তাও না। এই দুই এর ভেতর তৃতীয় রূপটি হচ্ছে কল্পনা, যা বাস্তব আর অবাস্তবের ভেতর সেতু তৈরি করে। তবে কল্পনাকে বাস্তবতা দিয়ে ব্যাখ্যা করার  চেয়ে কল্পনাতেই থাকতে দেয়া বেশি আনন্দের। এই গল্পে সেরকম রুপ পাওয়া যায়। কেবল এই গল্পেই না “কবরস্থানে কঙ্কালের সঙ্গে” গল্পেও তেমন আভাস পাওয়া যায়, যেখানে কল্পনা বাস্তবকে অতিক্রম করে।

“ফোন চলে যায় ভিন্ন গ্রহে” এবং “কবরস্থানে কঙ্কালের সঙ্গে”  দুটি  গল্পেই এই সীমারেখা মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। আদৌ কী তা সম্ভব! গল্পে সব সম্ভব। আসলে যা আজকে ভাবা কঠিন অদূর ভবিষ্যতে তা সত্য। মানুষ কী ভাবতে পেরেছিল ছোট্ট মুঠোফোনে একদিন পৃথিবী ঢুকে যাবে। কিন্তু গিয়েছে। এলিয়েন ভাবনাটি বাস্তবতা নাকি সত্যি তা নিয়ে যেমন বিজ্ঞান ভাবছে তেমনি দারশনিক ভাবনা থেকেও এটি আর আলদা কোন বিষয় না। মানুষ যে পৃথিবীর একমাত্র সত্ত্বা না এবং মহাকাশ বা কজমিক রিয়ালিটি  যে মানুষের বাস্তব বোধের উরধে এই সত্য এখন সর্বজন গৃহীত। সে কারণে এই সময়ের গল্পে বাস্তব আর কল্পনার সীমারেখাটি লুপ্ত হয়েছে। কিন্তু গল্পকার এই দুই গল্পেই রহস্যকে  অমীমাংসিত রেখে বাস্তব  বর্ণনার ভেতর দিয়ে গল্পটির সমাপ্তি টেনেছে। ““কবরস্থানে কঙ্কালের সঙ্গে”   গল্পে  বল হয়েছে – “হ্যা মানুষের হাত । মাটির ভেতর থেকে যেমন গাছ উঠে আসে, তেমন একটা হাত উঠে এল” (পৃষ্ঠা- ১০৪, গলঘন্টা)

এই উপমার ভেতর দিয়ে কবরের ভেতরের মানুষদের আধিভৌতিক রুপকে রুপক রুপে উপস্থাপন গা শিরশিরে অনুভূতির জন্ম দেয় , পাশাপাশি ভাবায় মানুষের পার্থিবতা মৃতদের ছাড় দেয়না। মানুষ তার কল্পনার সীমানায় ধরতে চায়, যা কল্পনাতীত তাও। “ কঙ্কাল বলে, “ওর হাতটা ধরো। অনেক দিন ও তাজা মানুষ দেখেনি তো। তাই অমন করছে’ “ মৃতের সাথে জীবিতের পার্থক্য এখানে গল্পচ্ছলে উড়ে যায়। আসলে মৃতদের বাস্তবিক আমরা মৃত ভাবতে পারি কী? মনে হয় না।

“ কঙ্কাল বলে, “ওর হাতটা ধরো। অনেক দিন ও তাজা মানুষ দেখেনি তো। তাই অমন করছে’ “ মৃতের সাথে জীবিতের পার্থক্য এখানে গল্পচ্ছলে উড়ে যায়। আসলে মৃতদের বাস্তবিক আমরা মৃত ভাবতে পারি কী? মনে হয় না।    

“গোল্ডফিশ যখন পরি হয়ে যায়” একটি কিশোর ছেলের ভাবনার রুপ। সে একুরিয়ামে কেবল মাছ দেখে না, সে একুরিয়ামে দেখতে চায় জলকন্যা বা জলপরি। মানুষের কল্পনায় পরি কেবল আজকে থেকে না, যুগ যুগ ধরেই লীন হয়ে আছে। পরি মানে এমন একটা অস্তিত্ব যা যুন্দরের আরেকটি রুপ কিন্তু যা আমরা অনুভব করতে পারলেও ছুঁতে পারব না। একটা গোল্ডফিশকে পরি রুপে কল্পনা করা তারই বহিঃপ্রকাশ।  

“ ঋতু, আবার কখন পুতুল হবে? আবার কখন পরি হবে?”

ভাইয়া শব্দ শুনে ঘুরে দাঁড়ায় তাবাব।

ভাইয়া, তুমি কি মাছটার সাথে কথা বলছিলে?

তাবাব স্বাভাবিক হয়ে বলে, ‘কই না তো” (পৃষ্ঠা- ৩৮, গল্পঘন্টা )

পাখি শিকার নিয়ে দন্তস্য রওশনের চিন্তা ভাবনা তার গল্পের ভেতর দারুণ ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী ক্রিয়া হবে কিন্তু প্রতিক্রিয়া থাকবে না, তা হয় না। পাখির প্রতি সংবেদনশীলতা তার অনেকগুলো গল্প যেমন “ পাখি শিকার ও গিলবারট স্যারের কান্ড” , “পাখিদের প্রধানমন্ত্রী” গল্পগুলোতে দেখা যায় পাখি শিকারের বিপরীতে গল্পকারের স্পষ্ট ও তীব্র অবস্থান। বিশেষ করে “ পাখিদের প্রধানমন্ত্রী “ গল্পে গল্পকারের প্লট নির্মাণে পরাবাস্তব উপস্থাপন নান্দনিক ছিল। মূলত গল্পকার গল্পের ছলেই অনুভূতিকে পাঠকের অনুভবের উপসর্গ করে তোলে। বিশেষ করে গল্পকারের তির্যক ভাষা ভঙ্গিমা যেখানে পাখি শিকার করতে গিয়ে একটি ছেলে, বাঘ আর তার প্রিয় দুজন বন্ধু ছাগল হয়ে যায় পাখি প্রধানমন্ত্রীর  অভিশাপে। যেখানে দেখানো হয় বাঘ মাংস খাওয়ার তাড়নায় তার প্রিয় দুই ছাগল সঙ্গীর পেছনে তারা করছে এবং বুঝতে পারছে কী ভয়াবহ সঙ্কটে তারা পড়েছে। এইভাবে পাখি শিকারিকে এ্যলিগরিক্যাল উপস্থাপনার ভেতর দিয়ে গল্পকার পাখি শিকারির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে।

“ আমি বুঝতে পারছি সামনের দুটো ছাগল না। ওরা রিপন  আর নিরু। তারপরও ওদের ঘাড় মটকাতে ইচ্ছা করছে” (পৃষ্ঠা- ৬৯, গল্পঘন্টা )

“আমিও মুক্তিযুদ্ধে যাব” গল্পে মুক্তিযুদ্ধে একজন কিশোর ছেলের মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পেছনে তার বাবা আর তার চাচার ভূমিকাসহ সমসাময়িক বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। মূলত মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিটি দেশপ্রেমিকই একজন করে মুক্তিযোদ্ধা, সেখানে প্রতিটি কিশোর যেন একজন ক্ষুদিরাম যারা বিশ্বাস করত “যুদ্ধে গেলে মানুষ মরে না। শহীদ হয়। ” (পৃষ্ঠা- ৪৮, গল্পঘন্টা)

“আমিও মুক্তিযুদ্ধে যাব” গল্পে মুক্তিযুদ্ধে একজন কিশোর ছেলের মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পেছনে তার বাবা আর তার চাচার ভূমিকাসহ সমসাময়িক বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। মূলত মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিটি দেশপ্রেমিকই একজন করে মুক্তিযোদ্ধা, সেখানে প্রতিটি কিশোর যেন একজন ক্ষুদিরাম যারা বিশ্বাস করত “যুদ্ধে গেলে মানুষ মরে না। শহীদ হয়। ”

সাইন্স ফিকশান জনরা এই সময়ে একটা নতুন রুপ লাভ করে যখন সাইন্স ফিকশান “সাইন্স ফিকশন “ জনরা বের হয়ে মূল ধারার সাহিত্যে জায়গা করে নেয়, এটা  ৬০ এর দশক থেকেই শুরু হয়ে যায়। কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এখন কোন আলাদা জাদু নয় বরঞ্চ নিত্যদিনের সঙ্গী। তাই বর্তমানে রোবট নিয়ে লেখা যতনা কল্পবিজ্ঞান তার চেয়ে অনেক বেশি নিকট ভবিষ্যৎ । এই পর্যায়ে এসে যে চিন্তা মানুষকে ভাবায় তা  হল রোবট ও মানুষের সম্পর্কের রূপরেখা আসলে কেমন হবে। “ছোট মামার কথা বলা রোবট” গল্পে রোবটকে দেখা যায় অনেকটা মানুষের শিশুর মতো, যে বড় হয় এবং  একদিন বাক্স থেকে বের হয়ে কথা বলতে শুরু করে। যেন সেও একজন শিশু। রোবট শিশু সুদীপের সাথে সবার সম্পর্ক কেবল যান্ত্রিক না, বরঞ্চ আবেগের। এখানে মানুষ যা কিছু নির্মাণ করুক তার ভেতর দিয়ে নিজের আবেগকে সঞ্চালিত করে। কারণ সৃষ্টি আবেগ ছাড়া হয়না। অনুভূতি ছাড়া মানুষ মূলত যান্ত্রিক। এই গল্পে রোবট শিশু আর তার নির্মাতার সম্পর্ক পিতা আর পুত্র রুপে প্রকাশ পায়।   

মানুষ আর কুকুরের সম্পর্ক  আজকের না। বহু যুগ আগে যখন মানুষ পশু শিকারে যেত তখন থেকেই মানুষ আর কুকুর পারস্পরিক বন্ধু। কিন্তু আমাদের আধুনিক মানুষ প্রায়ই জীব জন্তুর প্রতি সংবেদনশীল না। একটি কুকুর ঠিক কতটা প্রেমময় এবং মানুষের প্রতি  বন্ধুত্বের নিদর্শন দেখাতে পারে তা দেখা যায় “দুষ্টুমিতে ফার্স্ট “, “কুকুরটা দরজায় নক করল”  গল্পে। কুকুররা মানুষের অব্যক্ত কথা বুঝতে পারে। কেবল কুকুর কেন যেকোন জীব বুঝতে পারে। “দুই কচ্ছপের ঢাকা টু রাজশাহী যাত্রা” গল্পে দেখা যায় দুইটি কচ্ছপের সাথে তাদের পরিবারের সম্পর্ক। এক্ষেত্রে ড্রাইভার কোনভাবেই এই কচ্ছপ প্রীতির কারণ বুঝতে পারে না এবং তার মনে হতে থাকে প্রাণীর প্রতি মানুষের আবেগ মূলত বিলাসীতা। কিন্তু যখন সে বুঝতে পারলো প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান একজন আরেকজনের সাথে সম্পৃক্ত তখন ড্রাইভারের অভিব্যক্তই ছিল “ আল্লাহ্‌ তুমি আমারে মাফ কইরা দিও”

দন্তস্য রওশনের আরেকটি ভিন্নধর্মী গল্প হল “গান  নাই আমি নাই” গল্পটি। এই গল্পে দেখা যায় চড়ুইভাতি গ্রামের গায়ক রইস মিয়া যাকে গ্রামের লোকেরা বলে “হ্যামেলিনের গানওয়ালা” একজন ভিন্নধর্মী চরিত্র। এখানে লেখকের চরিত্র উপস্থাপনা যে প্রশ্নটি পাঠকের সামনে আনে তা হল খ্যাতি , মোহ , প্রাচুর্য কী মানুষের কাছ থেকে তার শিল্পস্বত্বা কেড়ে নেয়? ঠিক এরকম এক মুহূর্তে যখন রইস মিয়া অনুভব করে শিল্পের প্রয়োজনে তাকে নির্মোহ হতে হবে, সে হয়ে যায়। ঠিক একজন সাধকের ভূমিকায় রইস মিয়াকে আমরা দেখতে পাই। সেই সাথে একজন পাঠকের মনে এই প্রশ্নেরও জন্ম দেয় যে একজন শিল্পীকে তো এইসব মোহের ভেতর দিয়েই যেতে হবে অসম্পৃক্ত থেকে । এই দুই এর দ্বন্দ্ব থেকে রইস মিয়াকে আমরা দেখি নির্জনতাকে বেছে নিতে।

ঠিক একজন সাধকের ভূমিকায় রইস মিয়াকে আমরা দেখতে পাই। সেই সাথে একজন পাঠকের মনে এই প্রশ্নেরও জন্ম দেয় যে একজন শিল্পীকে তো এইসব মোহের ভেতর দিয়েই যেতে হবে অসম্পৃক্ত থেকে । এই দুই এর দ্বন্দ্ব থেকে রইস মিয়াকে আমরা দেখি নির্জনতাকে বেছে নিতে।     

“গল্পঘন্টা” এর শেষ গল্পের নাম “গ্রামে বাঘ এসেছিল” । এই গল্পেও দেখা যায় প্রাণবিক বাংলাদেশের চিত্র। পশু আর মানুষের সহ অবস্থান কতটা জরুরি, তারই প্রকাশ ।

এই বই এর গল্পগুলো “শিশু – কিশোর”দের জন্য হলেও  রুপকল্পনা, ভাবনার প্রসারতা, চিন্তার সূক্ষ্মতা ও বিসয়বস্তুর বৈচিত্র্যতা জনরা ভিক্তিক কাঠামোকে ভেঙ্গে দেয়। প্রতিটি গল্প ছোট ছোট বাক্যে লেখা এবং অত্যন্ত প্রাঞ্জল। এক একটা গল্প আলাদা আলদা সুরের ঘন্টা। এবং ঘণ্টার ধ্বনির মতো মনের ভেতর রেশ রেখে যায়।  সচারচর প্রচলিত কিশোর গল্পগুলো কেবল কিশোর পাঠ উপযোগী কিন্তু গল্পঘন্টার গল্পগুলো এই সীমাবদ্ধতা পেড়িয়ে পাঠককে বহুমুখী প্রশ্নের সম্মুখীন করে। এ কারণে  আমার কাছে “গল্পঘন্টা” এর গল্পগুলোকে প্রচলিত গল্প থেকে আলাদা মনে হয়েছে । ভাষার আঙ্গিক প্রঞ্জল হওয়ায় সহজে গল্পের শরীরে প্রবেশ করা যায় এবং বুঝতে পারা যায় লেখক কতটা স্বতঃস্ফূর্ত এবং তার  চিন্তার লেয়ারগুলো এক একটা রংধনু, এক একটি আলোর  তরঙ্গ। 

তাসনুভা অরিন : কবি

One response to “দন্তস্য রওশন এর  ভাবনার রংধনু  ও “গল্পঘন্টা” এর গল্প”

  1. Mohammed Arif Avatar
    Mohammed Arif

    সত্যিই একটা অন্য রকম হারিয়ে যাওয়া কাজ করে গল্প গুলো পড়লে। গল্প ঘন্টার প্রতিটি গল্প এক একটা স্বপ্নের নাম। ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রিয় লেখক কে।

মতামত