প্রকাশিত হলো একাত্তরের ডা.আলীম চৌধুরী বইয়ের ইংরেজি সংস্করণ

গতকাল শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লাফবারা ইউনিভার্সিটির স্ট্র্যাটফোর্ড ক্যাম্পাসে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইউকের উদ্যোগে অনলাইনে শ্যামলী নাসরীন চৌধুরীর লেখা একাত্তরের ডা. আলীম চৌধুরী বইটির ইংরেজি সংস্করণ ‘Dr. Alim, A Martyr of 1971’ বইয়ের উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
একাত্তরের ডা. আলীম চৌধুরী বইটি ইংরেজি অনুবাদ করেন ফারাহ নাজ ও মানসী কায়েস। একেই সঙ্গে চলিষ্ণু বইটি ই-বুক সংস্করণ প্রকাশ করেন।
অনলাইন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বইটির লেখক শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, ডা. আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা.নুজহাত চৌধুরী ও ফারজানা চৌধুরী এবং কবি শামীম আজাদ।
লাফবারা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এমিলি কেইটলির সভাপতিত্বে এই প্রকাশনা উৎসবের বইটির ইংরেজি রূপান্তরের প্রেক্ষপট নিয়ে কথা বলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইউকের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা রহমান।
একাত্তরের ডা. আলীম চৌধুরী বইটি একটি ‘ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ।
একাত্তরের ডা. আলীম চৌধুরী বইটি একটি ‘ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ।
বইটির লেখক শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘বইটিতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের যে নির্মোহ বর্ণনা রয়েছে, তা আগামী প্রজন্মকে একাত্তর সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেবে।’
ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, একাত্তরের গণহত্যা কিংবা নৃশংসতার বিষয়টি আজও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পূর্ণাঙ্গভাবে উঠে আসে নি। কাজেই বইটির ইংরেজি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গণহত্যার বিষয়টি বিস্তৃত পরিসরে পাঠকদের কাছে পৌঁছতে পারবে।

ফারজানা চৌধুরী বলেন, গত কয়েক দশকে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ধরনের ‘ন্যারেটিভ’ তৈরী হলেও এই বইটি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রচিত এক ঐতিহাসিক দলিল।
কবি শামীম আজাদ সমাপনী বক্তব্যে বলেন, অনাবাসী তরুণ প্রজন্মের জন্য শ্যামলী নাসরীন চৌধুরীর এই বইটির ইংরেজি অনুবাদ একটি অসামান্য কাজ হয়ে থাকল। ইংরেজি ভাষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রকাশনার অপ্রতুলতার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি লন্ডন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানান।
লাফবারা ইউনিভার্সিটির মাইগ্রেন্ট মেমরি অ্যান্ড দ্য পোস্ট কলোনিয়াল ইমাজিনেশন বিভাগের অধ্যাপক এমিলি কেইটলি বলেন, একাত্তরের স্মৃতি এবং জাতীয়তাবোধের বিষয়টি এই বইয়ে দারুণভাবে উঠে এসেছে। তিনি মনে করেন, বইটি একাত্তর বিষয়ক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে বইয়ের অনুবাদক ফারাহ নাজ ও মানসী কায়েস পুরো বইটি অনুবাদ করতে গিয়ে তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
লাফবারা ইউনিভার্সিটির মাইগ্রেন্ট মেমরি অ্যান্ড দ্য পোস্ট কলোনিয়াল ইমাজিনেশন বিভাগের অধ্যাপক এমিলি কেইটলি বলেন, একাত্তরের স্মৃতি এবং জাতীয়তাবোধের বিষয়টি এই বইয়ে দারুণভাবে উঠে এসেছে। তিনি মনে করেন, বইটি একাত্তর বিষয়ক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে বইয়ের অনুবাদক ফারাহ নাজ ও মানসী কায়েস পুরো বইটি অনুবাদ করতে গিয়ে তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বইটির ইংরেজি সংস্করণ থেকে নির্বাচিত অংশ পাঠ করে শোনান লাফবারা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও গবেষক ড. ক্লেলিয়া ক্লিনি, অনুবাদক ফারাহ নাজ ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র যুক্তরাজ্যের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সৈয়দা সায়মা আহমেদ।
প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন সহযোগী হিসেবে ছিল লাফবারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেন্ট মেমরি এন্ড দ্য পোস্ট কলোনিয়াল ইমাজিনেশন বিভাগ।