এই সপ্তাহের বিদেশে কোন বইটি বেশি বিক্রয় হচ্ছে?

করোনা পরিস্থিত বিশ্বে এই সপ্তাহের কোন কোন বইটি বেশি বিক্রয় হচ্ছে তা তুলে ধরা হলো—

১. নাইট বিচ
লেকক: রাচেল ইওডার
বিষয় : রাচেল ইওডার তার গল্পে বই তুলে ধরেছেন মজাদার এবং রোমাঞ্চকর গল্প। একজন সাধারণ মাতৃত্বের গল্প তিনি ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেছেন।লেখা তিনি শুধু মার্তৃত্বের কঠিন সময় অথবা মার্তৃত্বের ভালবাসার দিকে মননিবেশ করেননি। করেছেন বাস্তব এবং পরাবাস্তবের মিশ্রণের গল্প। ইওডার দেখিয়েছেন কিভাবে একজন মহিলা তার নিজস্বতা বজায় রেখে ওঠেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ । আমার বলা উচিত —এটা পরিপূর্ণ সাংস্কৃতিক নিয়মের বাইরে। এর মাধ্যমে পেয়েছে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা —সতর্কতা এই নভেলটি হলো অন্ধকারময় রক্তাত্ব এবং হিংস্র । তবে নাইট বিচে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে । মর্মভেদী এবং জটিল ।এখানে কাল্পনিকতা আছে, যা গা ছমছম করবে। নাইট বিচ উপন্যাসটি একটি আধুনিক নারীবাদিতার অসাধারণ গল্প, যা অবশ্যই পড়া উচিত । —জর্দান স্নোউডেন ( দি সিয়াটেল টাইমস)

২. ইন্টিমেসিস
লেখক : ক্যাটে কিটামুড়া
ইন্টিমেসিস পড়লে মনে হবে খুব পরিচিত একটা গল্প। আবার মনে হবে গল্পটা অন্য কিছু লেখক বুঝাতে যাচ্ছে। অসামঞ্জস্যতা পারিবারিক এবং কর্মজীবনকে নিয়ে আলোচনা যা ইন্টিমেসিকে করেছে অসাধারণ ।গল্পের মাধমে কিটামুড়া খুঁজেছেন বিচ্ছিন্ন রঙ্গভূমি। তৈরি হবে পাঠকদের নানা প্রশ্ন। যা ‘বরিয়েন্সের উপন্যাস দ্য লিটল রেড চেয়ারে করেছেন । তবে লেখক কিটামুড়া ইন্টিমেসিসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন—অতি সাধারণ একটি পারিবারিক গল্প। সেখানে প্রতিনিয়ত লেগে থাকে হিংসা, সন্দেহ আর গভীরতম ভালোবাসা। — রন চার্লস ( দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট)

৩. হোয়াট স্ট্রেঞ্জ প্যারাডাইস
লেখক ওমর এল আক্কাদ
লেখক ও সাংবাদিক ওমর এল আক্কাদ তার উপন্যাস হোয়াট স্ট্রেঞ্জ প্যারাডাইস মনে পড়ে মনে হবে গল্প ও চরিত্রের বর্ণনা খুব সাবধানতার সঙ্গে প্রয়োগ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন দুটি শিশুর দৃষ্টিকোণ। আশ্চর্য হওয়ার মত, এখানে লেখক মাটি ও সমুদ্র আমাদের বিভক্ত পৃথিবীতে যা এক হওয়ার দাবি রাখে—সেটা সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। অনেকদিন পর এই রকম উদ্ভূত ভালো লাগা কাজ করেছে কোনো বই এর ওপর। ওমর এল আক্কাদ খুব দারুণভাবে এই দুটি বিষয় তুলে ধরেছেন। দুটি ভিন্ন দলের ভাবনা, সংস্কৃতি এবং পূর্বতন গল্প দক্ষতার সঙ্গে চিহ্ন করেছে শ্রেষ্ঠত্ব এবং হীনতা। ভালো কিংবা মন্দ।
জ্ঞানপ্রাচুর্যের সঙ্গে নিজের পর্যবেক্ষণ , ধর্ম উপদেশ ও উপদেশ দিয়েছে। লেখা দেখা যায়— জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ভালোবাসা , অর্থলিপ্সা এবং আশা ও ব্যর্থতা সব কিছু বাধাহীন অর্থহীন বুঝাতে চেয়েছেন। বইটি একটি মূল্যবাদ শিক্ষা দেয়। মানুষের মনে গতানুগতি চিন্তা থেকে বের করে নতুন একটি আশা জাগানো গল্প প্রতিষ্ঠা করে। উপন্যাসটি পড়ে মনে হবে, শেষপর্যন্ত কিন্তু আমরা সবাই একই। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা একটা পরম সত্যে সবাই একেই পথের যাত্রী।—ওয়েনডেল স্টিভেনসন ( দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস)

৪. শী হু বিকামস দ্য সান
লেখক শেলি পার্কার চান
ইচ্ছাশক্তির একটি মহাকাব্য —এটি নিজের ইচ্ছাশক্তি দিয়ে ভাগ্য বদলান ষড়যন্ত্রকে নিজের শক্তিতে পরিণত করা। জহু শক্তিশালী উদ্ধুত সময় বিরোধী নায়ক , তার সমর্থন প্রশ্নবিদ্ধ , ইচ্ছা উচ্ছলিত।এই গল্পের পার্শ্ব চরিত্রের পরিকল্পনা, চক্রান্ত এবং বিশ্বাসঘাতকতা। উপন্যাস পড়ে গিয়ে পাঠকের আবৃত করে রাখবে। তবে জোরালো ইচ্ছাশক্তি , সাহস , প্রবল ক্রোধ এই গল্পের মূল আকর্ষণ।—লিন ভোন ইসেন ( বুকলিস্ট)
সূত্র : lithub