‘অশনি সংকেত’- না খেতে পেয়ে মরার আখ্যান

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণত গল্পের উন্মুক্ত সমাপ্তি টানতে অভ্যস্ত। তবে ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’, ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘আরণ্যক’—এর মতো উপন্যাসগুলোর ক্ষেত্রে কথাটি যেভাবে প্রযোজ্য, ‘অশনি সংকেত’-এর ক্ষেত্রে বোধকরি সেভাবে নয়। বিশেষত দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে লেখা এই উপন্যাসটি না খেতে পেয়ে একটা মাত্র মানুষের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই শেষ হয়ে যাবার কথা নয়।
যদুপোড়াকে ছোট-বৌ ফিরিয়ে দিচ্ছে।
‘কাপালী-বৌ একবার দূর থেকে চেয়ে দেখলে পিছন ফিরে। একটু ইতস্তত করলে। তারপর একেবারেই চলে গেল।’
শেষ করার ধরণেই বোঝা যাচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে অসমাপ্ত লেখাটি। বিভূতিভূষণ প্রশ্ন রাখেন লেখাশেষে। তবে এতগুলো উত্তরবিহীন প্রশ্ন রেখে যান না। ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ শেষে প্রশ্ন জাগে—মুম্বাইয়ের জীবনে কী ঘটেছিল হাজারীর সাথে? ‘চাঁদের পাহাড়’ জানতে চায়- আবার কবে শঙ্কর আফ্রিকার টানে ছুটেছিল? আবার ‘আরণ্যক’ শেষে সত্যচরণকে প্রশ্ন করি-আপনি কি সত্যিই আর কুশি নদীর তীরে অথবা দক্ষিণ ভাগলপুর-গয়ার বনপাহাড়ে যাননি?
কিন্তু, ‘অশনি সংকেত’ যেখানে শেষ হল, সেখানে কয়টা প্রশ্ন করব?
—ছোট-বৌয়ের কী হলো?
—গঙ্গাচরণের পরিবার কি নতুন গাঁয়েই থেকে গেছিল?
—মতির পরে আর কেউ কি মরেনি?
এরকম আরও প্রশ্ন চাইলে করা যেত বা যায়। নামকরণেই সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়ে গেছে এমনও বলার উপায় নেই। বরং নামকরণই আরও বেশি করে আক্ষেপ জাগায়—আরও কিছু কথা না হয় কহিতে মোরে! সেসব কথা বলবার জন্য উপন্যাস আর যতটুকু বড় হলে যথেষ্ট ছিল, ততটুকু করার আগেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যান।

তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ নিয়ে উল্লেখযোগ্য অনেক কাজই হয়েছে বাংলা কথাসাহিত্যে। চল্লিশ দশকের পর থেকে অনেক লেখায়ই দুর্ভিক্ষ প্রধান বা আংশিক উপজীব্য হয়ে এসেছে। নজরুল লিখেছেন ‘মৃত্যুক্ষুধা’। যদিও সেখানে আনসার চরিত্রের যক্ষ্মারোগে মৃত্যু ঘটে, তবুও আনসার এবং ক্যামিও চরিত্র রুবির আখ্যান শুরু হতেই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি বিষয় হিসেবে কিছু আড়ালে পড়ে যায়।
সাম্প্রতিককালে ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসে হাসান আজিজুল হক দুর্ভিক্ষকালীন জনজীবন চিত্রিত করেছেন। এ চিত্র ‘অশনি সংকেত’ উপন্যাসের নির্মাণে অঙ্কিত দুর্ভিক্ষের জনজীবনের সাথে মেলে।
দুর্ভিক্ষের ইঙ্গিত শুরু হয় কেরোসিনের অভাব দেখিয়ে। ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসে কেরোসিনের অভাব রেড়ীর তেলে পূরণ করার কথা পড়েছি, পড়েছি সুতি বস্ত্রের সীমাহীন অভাব মোটা কাপড়ে মেটানোর বিবরণ।
‘অশনি সংকেত’ অবশ্য মোটাদাগে অন্নকষ্ট দেখিয়েছে। অন্নকষ্ট একটা অখণ্ড দেশের, একটা সমাজের, একটা পরিবারের – গঙ্গাচরণ যে পরিবারের কর্তা।
কর্তা হিসেবে পারিবারিক স্বার্থের কথা ভাবতে গিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তিত্বের বিসর্জন দিয়ে হলেও পৈতের প্রভাব খাটিয়েছে গঙ্গাচরণ (এ বিষয়টা ‘বিপিনের সংসার’ উপন্যাসের জমিদার-গিন্নীর চরিত্রে পাই)। অন্নাভাব শুরুর আগে চালটা-কলাটা-কিছুর জন্যই ভাবনায় পড়তে হয়নি। অনঙ্গ বউ স্বামীর এমন ধূর্ততাকে কিছু প্রশ্রয়ই দিয়েছে বলা চলে। তবে, নতুন গাঁয়ে আসার আগেপরে কখনোই সংসার রাজার হালে তাদের চলেছে-এমনটা বলা যায় না। সে কারণে আর দশটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো তাদের সন্তানরা আদর-শাসনের মিশেলে বেড়ে উঠেছে- বখে যায়নি।
বিশেষ করে অনঙ্গর মাতৃস্নেহ লক্ষ্যণীয়। এ বিষয়টি যদিও উপন্যাসে উপজীব্য হয়ে ওঠেনি, তবুও যতটুকু দেখা গেছে, ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসের জয়গুন চরিত্রের মাতৃস্নেহ মনে পড়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জননী’ এবং শওকত ওসমানের’জননী’র সারাংশের সারাংশ বোধকরি অনঙ্গর সন্তানবাৎসল্য। অনটনের দুঃসহ সময়ে ত হাতের রুলি পর্যন্ত ছেড়ে দেয় অনঙ্গ।

দুর্ভিক্ষের বাজারে চাহিদা-যোগান-দ্রব্যমূল্যের ত্রিমুখী সংঘর্ষের অস্থির সময়ে নিজে না খেয়ে, পরের বাড়ির ধান ভেনে, দুঃসময়ের জন্য সঞ্চয় করে করে রেখে অনঙ্গ শুধু নিজের পরিবারই টানেনি, দুর্গা পণ্ডিতের উড়ে-এসে-জুড়ে-বসা পরিবারের অন্নেরও যোগান দিতে চেষ্টা করেছে। এরকম একটা বিতিকিচ্ছিরি পরিস্থিতিতে সন্তান জন্ম দিয়েছে পর্যন্ত! অভাবের দেশে নবজাতক এলে যে বিব্রতকর বাস্তবতার গ্রাস খুলে যায়, তা বোধকরি গঙ্গাচরণের চোখ বেয়ে নামা ঝরঝর জলধারাই বলতে চায় প্রাণপণে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কুবেরের আখ্যানে লিখেছিলেন
“শেষে বিরক্ত হইয়া কুবের বলিল, ‘চুপ যা গণেশ। পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’
কুবেরদের নিত্যসংগ্রামে অবশ্য ভাত না জুটুক, একেবারে না খেয়ে মরতেও হয় না।
আবার অনঙ্গে ফিরি। ধান ভানার ব্যাপারটা স্বামীর কাছে গোপন করে অনঙ্গ। গঙ্গাচরণ জানতে পারলে মমতার সাথে যে আশঙ্কা তার হয়, তাকে তুলনা করা সম্ভব জহির রায়হানের ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের মকবুল এবং মন্তুর চরিত্রের বিবেচনাগত বৈপরীত্যের সাথে।

গঙ্গাচরণ নিজের স্ত্রীকে ‘অন্নপূর্ণা’ আখ্যা দিতে কার্পণ্য করেনি। উপন্যাসের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ক্ষ্যান্তমণির ব্যাপারেও একই মত গঙ্গাচরণের-হাজারী যেমন কুসুম এবং ঘোষ পরিবারের এক বৌয়ের চরিত্রে ‘অন্নপূর্ণা’র সন্ধান পেয়েছিলেন।
গঙ্গাচরণের পিতৃসুলভ শাসনের মধ্যে দুটো দিক স্পষ্ট- শ্রেণিপার্থক্য এবং পাঠশালার পণ্ডিতের ব্যক্তিত্ব। কাপালী, গোয়ালা সম্প্রদায়ের লোকে যা করে, তা ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের ছেলে হয়ে হাবু করবে-এইটে মেনে নিতে কষ্ট হয় গঙ্গাচরণের। অন্যকে ফরমায়েশ করে কাজ আদায়ের অভ্যাস হয়ে গেলে এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তার ওপর যদি আবার নিখরচায় সব মেলে মুহূর্তেই। অবশ্য প্রবল অন্নাভাবের সময়ে এসে যখন পঁয়ষট্টি টাকা হয়ে গেল চালের দর, তখন গঙ্গাচরণের স্বভাবগত পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে।

শ্রেণিপার্থক্যের প্রসঙ্গ যেখানে আসে, শ্রেণিসংগ্রাম সেখানে অবশ্যম্ভাবী। তবে শ্রেণিসংগ্রাম সাধারণত অত্যাচারীর শাসনতন্ত্রে দেখা যায়। বিশ্বাস মশায় গ্রামের মোড়ল হিসেবে অত্যাচারী কিনা সেটা এক কথায় বলে ফেলা যায় না। মজুদকৃত চাল সরিয়ে রাখার খেসারত দিতে হয়েছে মোড়লকে। শ্রেণিসংগ্রামের হুমকির মুখে পিঠটানই দিল মোড়ল। তার ইতিকথায় জানা যায়, তার জ্ঞাতি খুড়ো তার সব সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেয়। বিষয়টার সাথে শরৎচন্দ্রের ‘বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের ঘটনার প্রাসঙ্গিক মিল পাওয়া যেতে পারে।
শাসনপ্রবণ গঙ্গাচরণের বিদ্যার দৌড় বেশি না থাকায় তাকে কূপমণ্ডুক আখ্যা দেওয়া যায়। গ্রামে ওলার আক্রমণ ঠেকানো প্রসঙ্গে তার চারিত্রিক বিশেষত্বকে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্কৃত ‘লালসালু’র মজিদের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। এ ব্যাপারগুলো দুর্ভিক্ষপরিস্থিতির প্রাক কথা। এর বিবরণের ধরণ কিছু হাস্যরসাত্মক ঠেকে। ধীরে ধীরে আখ্যান করুণরসে পর্যবসিত হতে হতে গঙ্গাচরণের চরিত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণেন্দুর মধ্যে তাঁর পরিচিত এক দীর্ঘদেহী কালোপানা চেহারার কনভার্টেড খ্রিস্টানকে এনে লিখেছেন ‘সপ্তপদী’। রিনা ব্রাউন নামটা কল্পিত হলেও এরকম উদ্ভ্রান্ত এক বিদেশি মেমের সাথে পুরীর সৈকত কিংবা কলকাতার চৌরঙ্গী তথা হালের এসপ্ল্যানেড-দুজায়গায়ই দেখা হয়েছে তারার। সেই মেমকে রিনা ব্রাউন বানিয়ে কৃষ্ণেন্দুর জীবনে নিয়ে এসে আবার কেড়েও নিয়ে গেলেন। বাস্তবের সেই কনভার্টও নাকি তাঁর ভিনদেশি রাধিকার সাথে আজীবন থাকতে পারেননি।
এসবই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপজীব্যে লেখা ‘সপ্তপদী’র পরিশিষ্ট অংশে লিখে দিয়েছিলেন তারাশঙ্কর। এ উপন্যাসেও অন্নাভাব স্বল্প পরিসরে দেখানো হয়েছে।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথম চিনতে পারি ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ পড়ে। মুগ্ধতাছড়ানো ব্রাহ্মণ হাজারী দেবশর্মা চক্রবর্তী কাজের খোঁজে যখন গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ব্রাহ্মণের সেবায় তখন যারা নিজেদের সব উজাড় করে দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ম্যালেরিয়ায় জীর্ণ এক গৃহস্বামী ছিলেন, ছিলেন সদগোপ জাতের এক ঘোষসন্তান।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথম চিনতে পারি ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ পড়ে। মুগ্ধতাছড়ানো ব্রাহ্মণ হাজারী দেবশর্মা চক্রবর্তী কাজের খোঁজে যখন গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ব্রাহ্মণের সেবায় তখন যারা নিজেদের সব উজাড় করে দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ম্যালেরিয়ায় জীর্ণ এক গৃহস্বামী ছিলেন, ছিলেন সদগোপ জাতের এক ঘোষসন্তান।
হাজারীকে কাজের খোঁজে ঘোরালেন যিনি, সেই বিভূতিভূষণ দুর্ভিক্ষের সময়ে চালের সংস্থানে পদব্রজে ক্রোশকে ক্রোশ পাড়ি দেওয়ালেন ‘অশনি সংকেত’-এর গঙ্গাচরণকে। তার সেবায় উৎসর্গীকৃতপ্রাণ দুটো চরিত্র ফিরে এল যথাক্রমে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত এবং সদগোপ ঘোষসন্তান হয়ে।
এসময়ে আত্মপ্রকাশ করা ক্ষ্যান্তমণি চরিত্রে ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’-এর কুসুম চরিত্রের ছায়া পাই। গঙ্গাচরণ ক্ষুধার সাথে লড়াই করতে যেয়ে এদের থেকে খাবার নিচ্ছে।
তবে হাজারী দেবশর্মা চরিত্রের অসাম্প্রদায়িক চেতনা গঙ্গাচরণ চরিত্রে নেই। যতটুকু আছে, তা অনঙ্গ বউয়ের চরিত্রে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে গ্রামের মানুষের অজ্ঞতার চিত্র কিছুটা দেখানো হয়েছে উপন্যাসে। ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসে কেবল মেতরবউ একা এই বিশেষত্ব টেনেছেন নিজের চরিত্রে। যুদ্ধ কেন হচ্ছে – এটাই কোনো যুক্তিতে মেলাতে পারেন না তিনি। অনঙ্গ অবশ্য যুক্তির ধার ধারেনি। কেবল প্রশ্নই করেছে। ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসের নিম্নবর্গের মানুষের মধ্যেও এমন রাজনৈতিক অসচেতনতা দেখেছি।
গ্রামীণ নিম্নবর্গের আখ্যানে সাধারণত লিবিডো ধারণার প্রয়োগ থাকে। ‘অশনি সংকেত’ উপন্যাসে কাপালীদের ছোট-বৌয়ের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে স্পষ্ট এবং অনঙ্গর ক্ষেত্রে অস্পষ্ট কিছু ইঙ্গিত দেখেছি। তবে বিভূতিভূষণের লেখায় স্পষ্ট লিবিডো সাধারণত বিরল। ‘বিপিনের সংসার’ উপন্যাসে এসেছে কিছু ইঙ্গিত। ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’-এর পদ্মঝি’র ইতিকথার বিবরণে কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
ক্ষুধা মানুষকে ব্যক্তিত্বহীন স্বার্থপর করে, ভিক্ষুক বানায়, প্রতারক বানায়, চারিত্রিক স্খলন ঘটায় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়।
ক্ষুধা মানুষকে ব্যক্তিত্বহীন স্বার্থপর করে, ভিক্ষুক বানায়, প্রতারক বানায়, চারিত্রিক স্খলন ঘটায় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়।
নতুনগাঁয়ের মানুষ সব মেনে নিলেও, মানতে পারেনি- ভাত না পেয়ে কেউ মরতে পারে। মতির মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছে সেটা সম্ভব। এ ক্ষুধাতুর মৃত্যুই ‘অশনি সংকেত’।
অথচ মতি চরিত্রের এতটা গুরুত্বপূর্ণ বনে যাওয়াটা একরকম অকল্পনীয়। ধারণা করা যায়, ঔপন্যাসিকের কৌশলগত দক্ষতা ছাড়াই এরকম ঘটনা ঘটে গেছে। নির্মাণে রসতত্ত্বগত এমন রদবদল করে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবের অসম্পূর্ণ পরিণতি দিয়ে যেতে পেরেছেন। এও এক ধরণের পরিণতি বটে।
রেজওয়ান আহমেদ, শিক্ষার্থী, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (৬ষ্ঠ আবর্তন), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।