‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’-পাওয়া অথবা না পাওয়ার আখ্যান

উপন্যাসের কথক শ্রোতাকে সামনে পেয়ে চলেছে মনের যত কথা। শ্রোতাকে এই রকম নিস্ক্রিয় করে রেখে দেবার এ কৌশলে নির্মিত উপন্যাস বাঙলায় খুব বেশি নেই। সর্বশেষ এ কৌশলে হরিশংকর জলদাসের লেখা রঙ্গশালা’ পড়েছি। এখন আলোচনা করছি অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী‘ নিয়ে।
বিষয়ভিত্তিক গদ্যের অংশ হিসেবে প্রেমের বিবরণের যে আকর্ষণী ক্ষমতা থাকতে পারে অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী পড়তে গিয়ে জেনেছি। কাল্পনিক প্রাপক সোহিনীকে উদ্দেশ্য করে লেখা আত্মজীবনীসূচক চিঠির ঢঙে একটা গোটা উপন্যাসখণ্ড (দ্বিতীয় খণ্ড লেখার আগেই মারা যান) লিখে ফেলেছিলেন ছফা। খণ্ডোপন্যাসটিকে দুটো স্পষ্ট ভাগে বিভক্ত করে তিনি এর বিবরণধর্মী রূপদান করেছেন। সর্বশেষ পড়া এরকম সুখপাঠ্য প্রেমের উপন্যাস বোধহয় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপিনের সংসার।
দুটো উপন্যাস দুই ভিন্ন সময়ের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে লেখা। সবচেয়ে বড় পার্থক্য এই যে, বিপিনের সংসার‘ ফিকশন হলেও অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী‘কে চোখ বন্ধ করে ফিকশন বলে ফেলবার উপায় নেই। বিষয়বস্তু এবং সমাজচিত্রগত স্পষ্ট পার্থক্য থাকলেও দুটো লেখাকে সমান্তরালে নিয়ে এসে ভাবতে আমাকে বাধ্য করেছে প্রেম। দুটো সমান্তরাল রেখার মধ্যে যেমন দৈর্ঘ্যের প্রভেদ থাকতে পারে, তেমনি এক্ষেত্রে প্রভেদ আখ্যানভাগের।
আহমদ ছফার কাজটিতে দুরদানা এবং শামারোখ দুটো আখ্যান টেনে নিয়ে গেছে। তাদের ব্যাপারে উৎসুক প্রশ্ন আইঢাই করে মনে। প্রশ্নটা রাখার জন্য আবুল হাসানাত সাহেবের দ্বারস্থ হতে হয়।
আবুল হাসানাত সাহেবের আড়ালে রয়েছেন আবদুর রাজ্জাক স্যার। তিনি ছফাকে ডাকতেন ‘মৌলবী আহমদ ছফা’। মজার ব্যাপার হচ্ছে ‘মৌলবী’ ডাকার কারণ নির্ণয় করতে ছফা নিজেও ব্যর্থ ছিলেন, ব্যর্থ জাহিদ হাসানও।
সচেতনভাবেই আবুল হাসানাতের আড়ালের রাজ্জাক স্যারের নাম প্রকাশে ছফা বিরত ছিলেন রাজ্জাক স্যার আর হাসানাত সাহেবের চারিত্রিক মিলগুলো রাখঢাক করতেই।
এই হাসানাত সাহেবকে তিনি ছেঁড়া লুঙ্গিপরা চরিত্র হিসেবেই রেখেছেন। ঢাকাইয়া ভাষায় আলাপের পারিপাট্য রক্ষায়ও সচেতন থেকেছেন।
‘‘অতো রাইতে খাবার পাইবেন না, খাইয়া যাইবেন।’’- যেন যদ্যপি আমার গুরু‘ দ্বিতীয়বার পড়ছি। শুধু রাজ্জাক স্যার আবুল হাসানাত সাহেব হয়ে গিয়েছেন। অবচেতন মন জানতে উৎসুক হয়েছে এ কারণেই-দুরদানা আর শামারোখ আসলে কাদের ছদ্মনাম?
ওদিকে যার কাছে দুরদানা আর শামারোখের বৃত্তান্ত ব্যাখ্যা করার কৌশলে এই আত্মজৈবনিক উপন্যাসের জন্ম, সে কিন্তু সোহিনী নয়, অন্য কেউ!
যেকোনো লেখায় ডিটেইলিং জিনিসটা থাকলে সে লেখায় মুহূর্তের মধ্যে ঢুকে পড়াটা পাঠকের পক্ষে সহায়ক। এমন ডিটেইল্ড লেখা পড়বার ক্ষেত্রে আমার শ্রুত অন্যতম সেরা পাঠক অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। জুম অ্যাপে ক্লাস করার সুবাদে উনাকে শুনেছি। বিশেষত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠে উনার দক্ষতা আমাকে মোহিত করেছে। একই সাথে মোহিত হয়েছি মানিকের বিবরণধর্মী ডিটেইলিংয়ে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে প্রায় অনুরূপ সৃষ্টিতে হরিশংকর জলদাসকে আমি কিঞ্চিৎ সহজে গ্রহণ করতে পেরেছি মানিকের তুলনায়।
আমরা যারা এ যুগের লেখক, তারা বোধহয় বেশিটাই লিখব- আমার কথা শুনে কল্পনা আখতার লুলু টেবিল থেকে পানির বোতলটা তুলে নিয়ে মেঝের ওপর ছুঁড়ে মারলো।
এরপর আমরা লিখব- আমি ভাবলাম আবার পাগলটাগল নয়তো?
অথচ একই ঘটনা আহমদ ছফার লেখায় এমন –
“আমার কথা শুনে কল্পনা আখতার লুলু টেবিল থেকে পানির বোতলটা তুলে নিয়ে মেঝের ওপর ছুঁড়ে মারলো। ঝনঝন করে বোতলটা ভাঙলো। ভাঙা কাচের কুঁচি ঘরময় ছড়িয়ে পড়লো। আমি ভাবলাম, মহামুশকিলে পড়া গেলো। আবার পাগলটাগল নয়তো?”-কী নিদারুণ সুখপাঠ্য লেখা!
আহমদ ছফা’র লেখা প্রসঙ্গে অন্তর্জালে কেউ একজন বলেছেন- মাখনে ছুরি চালানোর মতো লেখা। উপমাটা যথেষ্ট ভালো লেগেছে আমার। আমার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন অবশ্য একটু আলাদা রকমের। যেকোনো সুগোছালো লেখাকে আমি সুরম্য ইমারতের উপমা দিতে আগ্রহী। সে ইমারতের প্রত্যেক ইষ্টকখণ্ড তার লাগোয়া ইষ্টকখণ্ডের সাথে দুর্ভেদ্য প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ। সুলিখিত ছড়ার স্বরবৃত্তায়িত অথবা কবিতার মাত্রাবৃত্তায়িত ছন্দের যে ঝংকার, তাতে যদি লুৎফর রহমান রিটন কিংবা জসীমউদ্দীনের নাম করা যায় তবে গদ্যে আহমদ ছফার নাম করতে হবে।
‘গাভী বিত্তান্ত’ যখন পড়ি, বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস প্রসঙ্গের অবতারণায় তিনি লিখেছেন ‘চিনা কুড়াল’ কথাটা। চলতি কথায় আমরা ‘চায়নিজ কুড়াল’কে ‘চিনা কুড়াল’ বলতে কতটা প্রস্তুত ভেবে দেখেছি ক’জন?
আমরা যে পরিভাষা ভাবতে কুণ্ঠিত হই, ছফা সাহেব তাই লিখতেই মুখিয়ে থাকেন বলে মনে হয় তাঁর পরিভাষা ব্যবহারের ফিরিস্তি দেখলে।
‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’র দুরদানা আখ্যানে তিনি দুরদানার ভাইয়ের প্রসঙ্গে অবলীলায় লিখে দিলেন ‘ভূতলবাসী সন্ত্রাসী’ শব্দবন্ধ। যাকে আমরা মাথা চুলকেটুলকে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড ক্রিমিনাল’ আখ্যা দিতে দিতে সভয়ে তিনবার ঢোক গিলতাম, ছফা সাহেব ঠাণ্ডা মাথায় ঠিকঠাক তার পদবীর বাঙলারূপটাই লিখে দিলেন! কী নির্মম-সাহসী গদ্য!
ছফা’র প্রেমাখ্যান পড়তে গিয়ে বিরক্তি ধরে না। তাঁর ভাষানৈপুণ্য এতটাই মায়াময় আবেশ ছড়াতে জানে!
সোহিনী অথবা অন্য কেউ। তার প্রতি দুর্নিবার প্রেমের প্রকাশ যেখানে টের পাওয়া যায়, সেখানে প্রৌঢ় বয়সে উপনীত ছফার মননে আমি তারুণ্য খুঁজে পেয়েছি। প্রেমে পড়লে মানুষের মধ্যে সম্ভবত বাচ্চামি ভর করে। অন্য কথায় বয়স কমে যায় অনেকখানি। এ ব্যাপারটি এই লাইনগুলোতে স্পষ্ট –
“সোহিনী, তুমি আমার কাছে অর্ধেক আনন্দ, অর্ধেক বেদনা। অর্ধেক কষ্ট, অর্ধেক সুখ। অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী। তোমাকে নিয়ে আমি কি করবো! তোমার টানা টানা কালো চোখের অতল চাউনি আমাকে আকুল করে। তোমার মুখের দীপ্তি মেঘ-ভাঙা চাঁদের হঠাৎ ছড়িয়ে যাওয়া জোছনার মতো আমার মনের গভীরে সুবর্ণ তরঙ্গ জাগিয়ে তোলে। দীঘল চিকন কালো কেশরাশি যখন তুমি আলুলায়িত করো, হাওয়া-লাগা চারাগাছের মতো আমি কেমন আন্দোলিত হয়ে উঠি। তোমাকে নিয়ে আমি যাবো কোথায়? সোহিনী তুমি কি নিদারুণ সঙ্কটের মধ্যে আমাকে ছুঁড়ে দিয়েছো? … এই না-চলা না-দাঁড়ানো অবস্থা, তার কী যে যন্ত্রণা!” এ অংশে উপমা প্রয়োগের মুনশিয়ানা, রূপবর্ণনা কৌশল – দুই-ই স্পষ্ট। সবচে’ বেশি করে স্পষ্ট প্রেম!
আবার,
“অক্টোবর মাসের চার তারিখে আমার কাছে কন্যা শামারোখ আসছে। এই সম্ভাব্য ঘটনা আমার মনে একটা তোলপাড় লাগিয়ে দিয়েছিলো। আমি যখন একা একা রাস্তায় চলাফেরা করি, আমার হৃৎস্পন্দনের মধ্যে তার নামটি বেজে উঠতে থাকে। নিজের ভেতরে এতোটা ডুবে থাকি যে, কেউ কিছু জানতে চাইলে, হঠাৎ করে জবাব দিতে পারি নে। আমি প্রশ্নকর্তার মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি। …”
প্রথমত, সাদা চোখে যে কেউ এখানে প্রেম পাবেন। তবে আমার কেন জানি না মনে হয়, এই জায়গাটায়ই প্রেম বলার অবকাশ নেই। বলতে চাচ্ছি, ছফা’র দিক থেকেই এটা ‘প্রেম না’। মুগ্ধতা, বিস্ময়, সৌন্দর্যতৃষা বলা যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, প্রেম শব্দটা যদি বৃহদার্থে ধরা যায়, তবে এখানে বেশ গাঢ় প্রেম উভয়পক্ষ থেকেই রয়েছে। এরকম প্রেমে কোনো কলঙ্কের অবকাশ নেই। তবে যেহেতু ছফা সমাজের ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে এ আখ্যানের মুখে পড়েননি, সমাজের পিছুটান তাঁকে দারুণভাবে ভুগিয়েছে।
প্রেম = প্রিয় + ইমন। মানুষ মানুষের প্রিয় হতে পারে বিভিন্ন শর্তে। প্রত্যেক শর্তের কারণেই প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রেমে ডুবে থাকতে পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক। সমাজের বেঁধে দেওয়া কিছু শৃঙ্খলের অধীনে ভুল ব্যাখ্যায় কলঙ্কের প্রশ্ন হতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘মননঘটিত প্রেম’ ব্যাপারটা সম্ভবত দৃশ্যপটের আড়ালেই থেকে যায়। দৃশ্যপটে এলেই ভুল ব্যাখ্যার শিকার হয় এমন প্রেম।
বিশেষ করে পূর্বরাগের পর্যায়েই (কখনোবা তারও আগে) ছফা দুরদানা এবং শামারোখ – দুজনের ব্যাপারে তার চারপাশের মানুষের দুর্বল মানসের সমালোচনার শিকার হয়েছেন।
এই ব্যাপারটা ‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’র আখ্যান সংঘটনকালীন সমাজচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
দুরদানার অংশে প্রাসঙ্গিকভাবে কিছু গালিশব্দ এসেছে। সে অংশে জাহিদ হাসান মূলত কাপুরুষোচিত আচরণ করেছে বলে মনে হয়েছে কিছুটা হলেও। সমাজচিত্র আলোচনায় এ ব্যাপারটিও অপ্রাসঙ্গিক নয়। ‘গাভী বিত্তান্ত’ উপন্যাসে ছফা উপাচার্যের সহধর্মিণীর মুখেও গালিশব্দ বসিয়েছেন। ব্যাপারটা মোটেই অবাস্তব বলে প্রতিভাত হয়নি।
“… বৃষ্টি হচ্ছিলো আর সঙ্গে সঙ্গে হাওয়া দিচ্ছিলো। অকাল বৃষ্টি। ভীষণ শীত লাগছিলো। হঠাৎ করে আমি একটা কাজ করে বসলাম। দুরদানার মুখটা নিজের কাছে টেনে এনে চুমু দিতে লাগলাম। আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামছে। শোঁ শোঁ হাওয়া বইছে। এমন জোরে বইছে যে, মাঝে মাঝে রিকশাসুদ্ধ আমাদের উড়িয়ে নিতে চাইছে। আমার মনে হলো, সব মিথ্যে, বৃষ্টি মিথ্যে, হাওয়ার বেগ মিথ্যে। কেবল চুমুটাই সত্যি। … দুরদানা সরে এসে আমার আরো কাছ ঘেঁষে বসলো। আমি তার কাঁধে হাত রাখলাম। মাথার ভিজে চুলের গন্ধ নিলাম। এক সময়ে তার বুকে হাত রাখলাম। …”
নাগরিক জীবনের সাহিত্যে লিবিডো এভাবেই এসেছে আহমদ ছফা’র লেখায়। প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাবে বোধকরি মনস্তত্ত্বের Behavior of Concern (BoC) এর ধারণাও এখানে প্রতিভাত।
স্পেডকে স্পেড বলা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ কিছুটা অস্বস্তির উল্লেখ করেছিলেন তার ‘অপরাহ্ণের গল্পে’। আহমদ ছফা’র ভাষায় অস্বস্তি দূর অস্ত! এতটা সাহসী কলম চালাতে, অকপটে সত্যের সৌন্দর্যের জানান দিতে পারদর্শী লেখক সত্যিই বিরল।
দুরদানা আখ্যান যখন শেষ হতে হতেও হয় না, গোটা শামারোখ তখন নতুন ঢঙের মুগ্ধতা ছড়াতে পড়েই রয়। এই সুলিখিত রোমান্টিসিজম যে দ্রুত পড়ে শেষ করা দায়, সে ঢের টের পেয়েছি।
শামারোখের ক্ষেত্রে লিবিডোর ব্যাপারটিতে সরাসরি জাহিদ হাসান সংশ্লিষ্ট থাকেননি। বরং তাঁর কক্ষসহচরদের একজনের ব্যাপারে তেতো সত্যের উল্লেখে বোঝা যাচ্ছে, তখন শামারোখকে ভোগের প্রত্যাশা কতজনকে কতভাবে চাগিয়ে তুলেছিল। পর্নোগ্রাফিক কন্টেন্ট তৈরি করার মতো অধুনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ পর্যন্ত শামারোখকে ঘিরে ঘটেছে।
শামারোখের নিয়োগ সংক্রান্ত যে জটিলতার সরল কিচ্ছা উপন্যাসে এসেছে, তার মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্কোন্দলধর্মী শিক্ষকরাজনীতিরই নিদর্শন। ‘গাভী বিত্তান্ত’ উপন্যাসেও এরকম চিত্র ভিন্ন পটে তুলে ধরেছিলেন আহমদ ছফা। এদিকে ‘হত্যার শিল্পকলা’ উপন্যাসে রবিউল করিম মৃদুল দেখিয়েছেন কী করে ছাত্ররাজনীতিজনিত খুনোখুনিকে শিক্ষকরাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় এদেশে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। এ আখ্যান লিখতে গিয়ে শিক্ষকদের নৈতিক স্খলন, নারীর প্রতি সমাজের ঋণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি – এ সব তুলে ধরেছেন তিনি। এ ব্যাপারগুলো ‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’র ক্ষেত্রেও অপ্রাসঙ্গিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো রিসার্চারকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষকের পক্ষ থেকে পান করতে প্ররোচিত করাটা কতটুকু নৈতিকতাসম্পন্ন, তা নির্ণয় করতে আমি ব্যর্থ হয়েছি।
অকপট-সহজ-সরল কিন্তু গভীর লেখনীর শিল্পী আহমদ ছফা। বড়ো অসময়ে চলে গেলেন। আফসোস! ‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’র শেষে ‘প্রথম খণ্ড সমাপ্ত’ কথাটুকু আফসোসটা বাড়িয়ে দেয় আরো বেশি।
রেজওয়ান আহমেদ: শিক্ষার্থী, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (৬ষ্ঠ আবর্তন), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
খুব ভালো লেগেছে। আমার সবচে প্রিয় বইয়ের তালিকায় এটি আছে।