ঘরের ভিতর ঘর

— জামাল, ও জামাল, জামাইল্লা…? কই-রে, বাপ? অভাগীর ধন!
আর্তের ধ্বনি লম্বা হয়। সাড়া নেই, মাথাব্যথা নেই। এ যেন চেনা-জানা, চিরচেনা রেওয়াজ; একবার দৌড়ুলে আর হাঁটে না, বসে না। বুড়োদের সম্পর্কে এমনি ধারণা জোয়ানদের। ‘মানুষ পাকলে তিতা, ফল পাকলে মিঠা’-প্রবাদটির সত্যতা অবান্তর নয়। তাঁদের গালগল্প বিরক্তিকর! সময়ের সাথে রক্তের প্রতি রক্তের টান কমে, অবহেলা বাড়ে।
আধপাকা ঘর। মেঝেতে শ্যাওলার বসতি। স্যাঁতস্যাঁতে। এখানে-সেখানে পিপড়ার রাজত্ব। নিবিড়। বড় পিপড়ার চেয়ে কুঁড়ো পিপড়ার মনোবল বেশি। কালো, লাল পিপড়ার দলা। দলাগুলোর পাশাপাশি, কাছাকাছি শীতলাদেবীর আর্শীবাদ স্পষ্ট। দেবীর পদধূলি যেখানটায় পড়ে সেখানটায় গুটিগুটি ফোঁটা। সাদাভ। দরজার পাশেই কোমরভাঙা ঝাঁটাটা। ঝাঁটাটার শরীরে ছত্রাকডগা মোড়ানো। মুখাবয়বে গ্লানির নীরব গোঙানি। জানালার পাশে, ঝুপড়িতলে ঝুড়িটা নোয়ানো। ঝুড়িটাও বৃদ্ধার মতো অসহায়। ঘরটার দখিন কোণে একটা খাট। কাঠটি খানদানি; এক পা খোঁড়া। পেনশনের বয়স পেরুলেও জমিদারি স্টাইলটা দিব্যি বিদ্যমান। সিতানের দিকটায় কারুকাজের বুক চিরে একজোড়া ময়ুর! ওরা নির্জীব নয়নে চেয়ে থাকে বৃদ্ধার দিকে। বৃদ্ধার বুক হতে অদৃশ্য হাত দুটো এগিয়ে যায়। ময়ুরযুগল চোখ বন্ধ করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে। হঠাৎ করে কেউ বসে পড়লে খাটটি চিৎকার দিয়ে ওঠে। শব্দ হয়, পাঁজর ভাঙার মতো। পায়ের দিকে তোষকটা কুঁকড়ানো। রোদের অবহেলায় খাণিকটা কঠিন। বনেদি চাঁদরের ঘোমটা, অনাদরের কোলে শায়িত। পুরো জমিনেই জৌলুস । যৌবনের সাদা বরণ এখন তিলেছটা, চৈত্রের খরা। মেজাজ শুকনো হলেও সগর্বে গর্বিত। বয়সের ক্ষত ভেদ করে উঁকি দিয়ে থাকে ফুটোফাটায়। শিমুলতুলার নিঝুম চোখে মেঘবিচালির ছোপ ছোপ চাহনি।
বৃদ্ধার মাথায় আনমনে বিলিকাটে মোচড়ানো বালিশটা! কভারে বিধবার চির। বয়সের চেয়ে অযতনের ছাপ বড্ড ঘন। মোটা কাপড়ের বক্ষতলে তুলাদানাগুলো পাথরের আরাধনা করে। আন্দাজের বাটখারায় বালিশটা কেজি পাঁচেক বটেই! চাদরের গলাঝুলা কম্বলটার চুলগুলো কুঁকড়ানো, জটাধারী। এটাকে কম্বল না বলে চালুনিও বলা যায়। ঘনঘন অমৃসন ছিদ্র। উসকোখুসকো চুলে ইঁদুরের মল, কফ-কাশ একাকার। বিছানার আশে-পাশের বাতাসে একটা বিভৎস গন্ধ ঘুরে-ফিরে।
বৃদ্ধা উঠতে চাইলে আমি সাহায্য করলাম। খাটের সঙ্গে পিট এলিয়ে বসার চেষ্টা করলেন। বসলেন। বাম হাতে ভর রেখে শরীরটা সামনে ঝুকিয়ে ব্লাউজহীন অংশটায় শাড়ি টেনে ধরার চেষ্টা করলেন। পারলেন না। আমি চোখ নামিয়ে নিলাম। নিজের অনাগত ভাগ্যলিপি চিবিয়ে হৃদয়ের ভগ্ন আকাশে দেখি, হতাশার পালকহীন বেদনা ওড়ে। সেইদিন এইদিনে মিশে নয়নে জড়ো হয়। কিছুক্ষণ পর লবণ পানি চোয়ালে দৌড়ুলে বৃদ্ধা নড়ে ওঠেন। স্রোতধারায় বাঁধ আঁটলাম। মাথা তুললাম। লাজুক নয়নে ভেসে ওঠে শাড়ির মুখ। রাজ্যময় পৌঢ়ের রাজত্ব। মাঝামাঝি ছিঁড়ে দুভাগে ফাঁস লাগানো। আমি অন্যদিকে ঘুরে বসলাম। একটা সাদা বিড়াল ছানা বিছানায় ওঠে আসে। ওর চোখে অপরাধীর কাতরতা স্পষ্ট। এক পলক ঐ বৃদ্ধাকে, এক পলক আমাকে দেখে বৃদ্ধার গা ঘেঁষে শুয়ে পড়ে। আমি মনে মনে হাসলাম। কৃতজ্ঞতার হাসি। বোধ হয় বৃদ্ধার ডাকে সাড়া দিতে দেরী করে ফেলেছিলো বিড়াল ছানাটা ! জীবজন্তুর প্রাণীসূলভ মানবিকতায়, মানুষের মনসূলভ অমানবিকতার তফাৎ কতই। প্রাণীরা পোষ মানে, মানুষেরা বন্য হয়।বৃদ্ধা বললেন,— বিড়াল ছানাটাই এখন আমার একাকীত্বের সাথী! কারো তো আমার কাছে আসার সময় নেই; ওর কাছে আছে। আমার সঙ্গে সময়ে-অসময়ে কথাও বলে। বৃদ্ধার চোখে তাকিয়ে বিড়াল ছানাটা চোখ বন্ধ করে। মিউমিউ করে। বৃদ্ধা হাত বাড়িয়ে আদর করার চেষ্টা করলেন। পারলেন না। হাতটা থেমে যায়। বিড়াল ছানাটা তাঁর দিকে এগিয়ে আসে। আমি ঢোক গিললাম। জীবজন্তুও আর্তের কাতরানো বুঝে? সোহাগ বুঝে? আমি অবাক হলাম। কিছুক্ষণ নির্বাক থেকে জিগ্যেস করলাম,— শরীরটা এখন কেমন, দাদু? দাদুর উত্তরের আগেই আবার জিগ্যেস করলাম,— ভালো নেই?
— কই আর? এক সময় স্বজনের ভীড়ে মানুষ খুঁজতাম, এখন মানুষের ভীড়ে স্বজন খুঁজি; পেরেশান হই! একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবারো বললেন,— ঠাকুভাই আমারে একলা রেখেই… কেঁদে ওঠলেন দাদু। আমি ওঁনার মাথায় হাত রাখলাম। তাঁর চুলের ভিতর আঙ্গুল চালানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হলাম। কাঁঠালের আঁঠার মতো জড়িয়ে ধরে আঙুলের ডগা। সাদা চুল। কাকের বাসা! তেল-চিরুনির আর্শীবাদ না জুটলে যা হয়। মাথা জুড়ে কালো কালো পোকার নিবিড় কিলবিল। চুলে নাড়া দিলে ঝুরঝুর করে পড়ে। ধারণার দৃষ্টান্ত হয়ে দুটো পোকা জড়াজড়ি করে দাদুর কপালে নেমে আসে। সাদা চামড়ার উপর ছোট তিলের মতো দেখায়। ওদের বাঁধনে একটা আমিত্বের লড়াই। স্নায়ুযুদ্ধ! দাদু চিমটি দিয়ে ধরে পোকা দুটো নখের উপর রেখে আরেক নখে চাপ দিলেন। শব্দ হলো। টুস! কি মারলেন, কেন মারলেন সেদিকে দাদুর খেয়াল নেই। আবারো কেঁদে ওঠলেন। ডুকরে ডুকরে। চোখ থেকে জল বেরুলো না; ঘৃণা বেরুলো। আমার দিকে উদাস নয়নে তাকিয়ে বললেন— ঠাকুভাই-রে, দেখেছো? আমারে মনে পড়ে না? তাঁর? সেই যে গেলেন…! মাথাটায় চুলকানোর চেষ্টা করে নিস্তেজ হলেন দাদু। হাত উপরে ওঠতে চাইলো না। ধপাস করে পড়ে গেলেন আমার রানের উপর। আমি হাতটি জড়িয়ে ধরলাম। দাদু বিড়বিড় করে বললেন— আমারে কেমনে ভুলে থাকেন? তিনি! এবার দাদুর কান্নায় আমিও কেঁদে ওঠলাম। বুঝতে দিলাম না দাদুকে। সান্ত্বনা দিতে পারলাম না তাঁকে। বলতে পারলাম না— ওঁনিও কি ভালো আছেন? আপনাকে ছাড়া? লুঙ্গির নিচে কামড়ের কুটকুট আন্দাজ করলাম। নড়ে-চড়ে বসলাম। পোকা! এতো বড়বড়? দাদু বুঝতে পারলেন আমার অস্বস্তির কারণ। বিড়াল ছানাটার দিকে তাকিয়ে বললেন— ছাড়পোকাগুলো ওটাকেও ছাড় দ্যায় না, রক্ত চুষে খায়। আমি লজ্জায় মাথা নিচু করলাম। দাদু কথার মোড় ঘুরিয়ে বললেন— দেখো ভাই, এই পেটে পাঁচ-পাঁচটি চাঁদ লালন করে জোনাক ফুটিয়ে ছিলাম; আলো কই? আকাশ তো অন্ধকার! পৃথিবীর শরীর কালো। খাটের নিচে কিছু একটা ডেকে ওঠলো। আন্দাজ করলাম, কুনোব্যাঙ। বাহির থেকে একটা মোরগ দৌড়ে এলো। মোরগের ঠোঁটগুলো রক্তাভ। ব্যাঙটা চুপসে গেলো। মোরগটা কককক করে আড়াই প্যাঁচ হাঁটলো। দাদুর দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে বেড়িয়ে গেলো। আমি চেয়ে রইলাম। বুকের ঢিপঢিপ থামাতে পারলাম না। বুঝতে পারলাম না মানুষের সঙ্গে মানুষের পাষন্ডতার কারণ।
কার জন্য, কীসের জন্য এতকিছু? সাধের রঙমহল…!—বলে চললেন দাদু। এখন আর কাঁদেন না তিনি। কাঁদার ব্যাকরণে সমাসের অপপ্রয়োগ কিছু দিতে পারেনি তাঁকে, নিয়েছে শুধু। কাঁপা হাতে আমার হাত দুটো চেপে ধরলেন। এই পেট, কলঙ্কিনী; পাঁচটি সন্তানের গর্ভাশয়! দাদু থামলেন। ক্লান্তির দীর্ঘশ্বাস চেপে ধরলেন। কথার ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে এলো— তিন ছেলে, দুই মেয়ের মা আমি; নিঃসন্তান! আমার ভ্রু কুঁচকে ওঠলো। কিছুই বলতে পারলাম না। দাদুর ঠোঁট দুটো কেঁপে ওঠলো। কিছু একটা বললেন। ক্লেয়ার বুঝা গেলো না। সিলিং ধরে একটা টিকটিকি হাঁটতে লাগল। দাদু চেয়ে চেয়ে দেখলেন। টিকটিকিটির লেজ নেই। টিকটিকি বুড়ো হলে লেজ থাকে না। কয়েক পা এগিয়ে একটা মাকড়সার কাছে গিয়ে বসলো। মাকড়সাটি নড়ল না। দাদু চোখ নামিয়ে নিলেন। আমি চেয়ে রইলাম। মাকড়সাটির আশে-পাশে অনেকগুলো বাচ্চা মাকড়সা। সবগুলো নড়ছে। কিছুক্ষণ পড় যে খোসাটি বিছানায় এসে পড়লো সেটি ঐ মা মাকড়সাটির দেহ। মা মাকড়সার বুক খেয়েই বাচ্চারা বেড়ে ওঠে। বাচ্চাগুলো একেকটা একেক দিকে চলে গেলো। বাচ্চারা স্বার্থপর, নিমোক হারাম! মায়ের জন্য ওদের অনুশোচনা বা বিয়োগের হা-হাকার নেই। আমি চেয়ে রইলাম। দাদু বললেন— মেয়েরা স্বামী-সংসারে রাজরানি হালে; দুই ছেলে স্ত্রী-সন্তানসহ শহুরে। বড় চাকুরি, মোটা বেতন, বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি…! দাদুর চোখজোড়া বড় হয়। নিজের পেটে হাত রেখে উপরের দিকে তাকালেন। ওরা একবারও কি…? দাদু কান্না থামাতে পারলেন না। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠলেন। নাক ঝাড়তে লাগলেন। আমি চোখ বন্ধ করলাম। বুকটায় কিছু একটা বিঁধলো। সারাতে পারলাম না। নড়ে-চড়ে বসলাম। দাদুর হাত দুটো মুঠোয় পুরে নিলাম। দাদু সেদিকে নজর দিলেন না। পাথরের মতো শক্ত হয়ে রইলেন।— একটা খোঁজ-খবর নিতে পারলো না, মোবাইল ফোনেও…? দাদুর কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। চুপ করে থাকেন কিছুক্ষণ। কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলাম না। একটা চাপা কষ্ট আমার বুকের তলে চিনচিন করতে লাগলো। ব্যথার বুদবুদ থেকে বেড়িয়ে এলো,—হায়-রে সন্তান! মায়ের নাড়ীছেঁড়া ধন! দাদুর শিরাগুলো কেঁপে ওঠলো। শিরার ভাঁজে ভাঁজে জলের কণা। ফ্যানটা ঠিক মাথার ‘পরেই, ঘুরছে না। চেয়ে দেখলাম তারটা কাটা। বাতিটা জ্বলছে মাকড়সার জাল ভেদ করে। সোনালি আলোয় কালো রঙ। মা-বাবা শুধু সন্তানের কাছে টাকাই চায়? খেতেই চায়? মমতার মূল্য নেই? দাদু ঢলে পড়েন। কাঁদার শক্তি কমে আসলো। লম্বা শ্বাস নিলেন ক্রমাগত।
—তোমার শ্বশুরের কিছুদিনের বড়, জামাল। ওরা একে অন্যের চাচা-তো ভাই হলেও সম্পর্ক আপনে আপন। জামাল একাই বাড়িতে থাকে। বড় মাওলানা। চাকুরি করেননি তিনি? আমার কথস থামতে না থামতেই দাদু বললেন— না। মা-বাবার সেবা করবে বলে…। নিজের কথা কি কাউকে বলা যায়? চিৎ হয়ে শুয়ে থুথু দিলে আমার গায়ে এসেই পড়ে। দাদু হাঁপিয়ে ওঠলেন। কাৎ হয়ে শুতে চাইলে, শুইয়ে দিলাম। খানিকটা আরাম বোধ করলেন। আমার বিপরীতে মুখ ফিরিয়ে বললেন — ওরাও বাবা- মা হয়েছে। আর বেশি দেরি নেই, কর্মগুণেই ফল! আজ তোমার কাল আমার। সময়ের অল্প ব্যবধান। টিকিটিকিটা টিকিটিক করে চেঁচিয়ে ওঠল। দাদু মাথা নাড়লেন। আমি নিথর-স্তব্দ। বুঝে ওঠতে পারলাম না, আশি উর্ধ্ব একজন মহিলার চোখে ঘৃণা না-কি স্নেহ ছলছল করছে। সিলিংয়ের ফুটা দিয়ে একটা কিছুর দলা গড়িয়ে পড়লো। দাদু পা নাড়লেন, ঠের পেলেন না। একটা বয়স্ক, হাড্ডিসার ইঁদুর! ইঁদুরটি উপরের দিকে তাকায়। জোড়াশাবকের যুগলবধূ খিলখিল করে হেসে ওঠলো। বিড়াল ছানাটা কান নাড়লো, চোখ রাঙাল।
একটা প্লেটে আধাপ্লেট ভাত, এক চিমটি আলু ভাঁজা।বাকল ওঠা প্লাস্টিকের মগে আধামগ পানি দিয়ে চলে গেল কাজের মেয়েটি। আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম, সকাল এগারোটা বেজে পাঁচ মিনিট। অনুমান করলাম সকালের খাবার। কম খাবারের হেতুটা বিছানা পরিষ্কারবিষয়ক ব্যাপার, বুঝতে সমস্যা হলো না আমার। দাদু প্লেটের দিকে একবার, আরেকবার আমার দিকে তাকালেন। খাবারের ব্যাপারে আগ্রহ না দেখিয়ে দাদু বললেন— হাসপাতাল থেকে তিনি আর আসেননি, লাশ আসলো! আমি বিস্মিত হলাম। মানুষ মরে গেলেই লাশ হয়? লাশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তাহলে পার্থিব, লোক দেখানো? আমার অন্যমনস্কতা দূর করে দাদু আবারো বললেন— দাদু! তোমার দাদাকে ওরা ভ্যানে করে…! দাদু কান্না চেপে বলতে লাগলেন,—যাঁর দুই ছেলে বড় অফিসার; মেয়েরা রাজপথ কাঁপায়; একটা এ্যাম্বুলেন্সও তাঁর কপালে জুটেনি! দান-খয়রাত, খানাপিনা, চাল্লিশা…! আমার চোখ কপালে ওঠে গেল। ভ্যান? এ যুগেও? মানুষ তো ভিক্ষা করেও দু’চারজন এতিম-মিসকিন খাওয়ান; দু’একজন মুন্সী ডাকেন! দাদুর চোখে-মুখে এখন ঘৃণার দাবানল।
কান্নার আওয়াজে কান খাড়া করলাম। আমার স্ত্রীয়ের কোলে মাস ছয়ের অবুঝ শিশু। কাঁদছে। মায়ের কোলে থেকে বাবার জন্য। দাদু বললেন—বাপ পাগল ছেলে।
মুহাম্মদ রফিক ইসলাম : ৩০ অক্টোবর ১৯৮২ সালে, নেত্রকোণা জেলাস্থ কেন্দুয়া উপজেলায়। পেশা: শিক্ষকতা। প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ইচ্ছেঘুড়ির আকাশ (২০১৯)