কে জিতবে আর্জেন্টিনা না ব্রাজিল ? এই নিয়ে তিন ভক্তের ভাবনা

২০০৭, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ এর হতাশার পরে অবশেষে আরেকটি ফাইনাল এর দেখা ! এবার কি আর্জেন্টিনা পারবে তাদের ২৮ বছরের শিরোপা খরা ঘুচাতে ? মেসি কি পাবে জাতীয় দলের হয়ে নিজের প্রথম শিরোপার দেখা ? সুসংবাদ হলো ইনজুরি কাটিয়ে ফাইনালে খেলবে ক্রিস্টিয়ান রোমেরো আশা করা যাচ্ছে। নেইমারদের আক্রমণ সামলানোর জন্য তাকে খুবই প্রয়োজন । গত ম্যাচের নায়ক হওয়ার পরে গোলকিপার এমি মার্টিনেজ এর আত্মবিশ্বাস ও এখন তুঙ্গে।
আক্রমণভাগে লাউতারো মার্টিনেজ অনেক সহজ সুযোগ নষ্ট করলেও পাশাপাশি টুর্নামেন্টে গোল ও পেয়েছে। অভিজ্ঞ ডি মারিয়া, আগুয়েরো এবং ওটামেন্ডি তো আছেই। তবে আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা মেসির ফর্মে থাকাটা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় স্বস্তির জায়গা। ৫ টি এসিস্ট এবং ৪ টি গোল করে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি ই।
ব্রাজিলের রক্ষণভাগ এবং ডিফেন্সিভ মিড্ টুর্নামেন্টের সেরা হলেও মেসির পক্ষে যেকোনো কিছুই সম্ভব। মেসি তার ফর্ম ফাইনালেও ধরে রাখবে বলে আশা করছি। মেসির হাতে একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা শুধু আর্জেন্টাইন সমর্থকই না, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বেশিভাগ ফুটবলভক্ত ই দেখতে চায়।
শক্তির বিচারে এবং স্বাগতিক হিসেবে ব্রাজিল একটু এগিয়ে থাকলেও মেসির জন্যই আর্জেন্টাইন সমর্থকেরাও বেশ আশাবাদী । ৪ বার ফাইনালে হার লাইভ দেখেছি । আশা করি এবার প্রথম বারের মতো শিরোপা জয় দেখতে পাবো। প্রতিপক্ষ ব্রাজিল বলে ফাইনালে নিয়ে উত্তেজনাটা আরো বেশি।
এ শিরোপাজয় হবে সকল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের জন্য এক অনন্য আবেগের যার জন্য বহু বছর ধরে তারা অপেক্ষা করছে । তবে দিনশেষে এটি একটি খেলাই । ম্যাচ পরবর্তী যেকোনো নেতিবাচক আবেগের বহিঃপ্রকাশ আমরা এড়িয়ে চলতে পারবো বলে আশা করছি ।
- আহনাফ, অ্যাডমিন,শাটআউট, ঢাকা।
৯০ দশকের জন্ম যাদের, তারা ছোট থেকেই পেলে ও মারাডোনার উত্তেজনা দেখে বড় হয়েছি। এরপর যুগে ছিল গ্যারিঞ্চা অ্যান্ড আলফ্রেডো। এখন আছে মেসি অ্যান্ড নেইমার। ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ দল হয়ে তাদের ম্যাচ সবসময় সবাই খুব উত্তেজনা নিয়ে থাকে। থাকতে হয় অধীর আগ্রহে, কবে একটা ফাইনাল ম্যাচ হবে। এই দুই জাতীয় দলের দেখতে পারবে সেই ইচ্ছা এত বছর পর ২০২১ এ দেখা মিলল।
তাই আর্জেন্টিনা সমর্থক হিসেবে আমার অনেক উত্তেজনা কাজ করছে, যদি একটু কাগজে কলমে হিসেব করা হয় তাহলে ফিফা তথ্য অনুযারী দুটি দলই ১০৫ টি ম্যাচ খেলেছে এর মধ্যে আর্জেন্টিনা ৩৮টি আর ব্রাজিল ৪১ টি ম্যাচ জিতেছে। সঙ্গে ২৬ টি ড্র ম্যাচ। গোলের দিকে আর্জেন্টিনা ১৬০টি এবং ব্রাজিল ১৬৩টি।
বিশ্বকাপ হিসেবে করলে ব্রাজিল এগিয়ে আছে ৫টি শিরোপা জিতে, যেখানে আর্জেন্টিনা মাত্র ২টি। তবে যেটা নিয়ে এত উত্তেজনা তা হলো কোপা আমেরিকা। আর্জেন্টিনা ব্রাজিল থেকে এগিয়ে ১৪ বার এ শিরোপা জিতেছে। তাই একজন আদর্শ আর্জেন্টিনা সমর্থক হিসেবে এই আশা নিয়েই থাকব, মেসির হাতে একটি আন্তর্জাতিক শিরোপাটা হাতে ওঠবে। তবে হার-জিতেই খেলায় হয়, সেটা ভুলে গেলে চলবে না।
- সাদিয়া সাবরিন সিথির, সহস্বাস্থ্য সম্পাদক, মুক্ত আসর
কোপা আমেরিকা ২০১৯ এর মতো এবারও ব্রাজিল জিততে যাচ্ছে বলে আশা করছি। ব্রাজিল টিম ও বেশ ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই সমর্থক হিসেবে বেশ আশাবাদী। ২০১৮ বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের কাছে কোয়ার্টারফাইনালে বিদায়ের পরে বেশ হতাশ ছিলাম । ২০১৩ কনফেডারেশন্স কাপ ই ছিল সর্বশেষ আমার দেখা ব্রাজিলের বড় কোনো টুর্নামেন্টে জয়। ওরকম আধিপত্য দেখতে পারাটা ছিল আসলেই গর্বের ছিল। এরপরে ৬ বছর শিরোপা ছাড়াই কাটাতে হয়েছে আমাদের । অবশেষে ২০১৯ কোপা আমেরিকাতে সেই কাঙ্খিত জয় আসে । এই টুর্নামেন্টে আমরা আর্জেন্টিনাকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলাম। ঐদিন আমাদের সামনে আর্জেন্টিনা দাঁড়াতেই পারেনি । বিগত কয়েক বছরে আমাদেরকে বড় মঞ্চে আর্জেন্টিনা কখনোই হারাতে পারেনি । পুনরাবৃত্তি হবে সেই আশায় রয়েছি । মেসিকে আটকে রাখতে পারলেই হয়ে যাবে। নেইমার বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে এবার। ফাইনালটা আর্জেন্টিনার সঙ্গে বলেই অন্যরকম এক আবহ কাজ করছে। আশেপাশের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও হারজিতের বেপার হয়েছে । যদিও তা নিছক বিনোদন ই। তবুও অন্য রকম এক আবেগ রয়েছে এই টিম তার উপরে । আশা করি ব্রাজিল ফাইনালে জিতবে এবং আরেকটি বড় শিরোপা জয়ের অনুভূতি দিবে আমাদের ।
- আহনাফ আকিফ রহমান, ঢাকা
বইচারিতায় আরও পড়ুন :
ক্যামেরার কারণে আমার কাজের মান ভালো হয়ে গেল : গোলাম মুস্তফা, পর্ব-১
সেই ছোট-খাটো মানুষটি
কম বয়সে উপন্যাস লিখে গিনেস বুকে নাম লিখালেন সৌদি বালিকা রিতাজ আলহাজমি
কারিনার নতুন বই ‘কারিনা কাপুর খান’স প্রেগন্যান্সি বাইবেল’
আর্জেন্টিনা, ভালোবাসার নীল সাদা নাম
ভালোবাসা ও মায়ার রোকেয়া হল