‘বাংলাদেশে কোভিড ১৯ বিশ্বমারী পরিস্থিতিতে শিক্ষণের উপর অনলাইন পাঠদানের প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা আজ

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ‘ইসলামের ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগ’ আজ রাত ৯টায় অনলাইনে আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশে কোভিড ১৯ বিশ্বমারী পরিস্থিতিতে শিক্ষণের উপর অনলাইন পাঠদানের প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব আর্টসের ডিন ড. মোঃ ওসমান গণী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ডিপার্টমেন্ট অব এথনোগ্রাফির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. আলমগীর,এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের একাডেমিক অ্যাফেয়ারসের পরিচালক মোঃ সেলিম মিয়া, বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. রাশেদুল করিম ও ঢাকা বার এসোসিয়েশন এন্ড ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশন সদস্য এডভোকেট রুহি সামসাদ।

এছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সেলিনা আক্তার, পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম মিয়া, বাংলাদেশ পুলিশের উপ পরিদর্শক রিমুল হক, ট্র্যাক এন্ড ট্রেইলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোর্সেদা আক্তার ফেন্সি,এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ইদ্রিস মিয়া, মাহমুদা আক্তার রাত্রি, গ্রামীণ ব্যাংকের বিল্লাল হোসেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তথ্য সহকারী নাগরিন নিশাসহ প্রমুখ।
মডারেটর হিসেবে থাকবেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ইসলামের ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক ড. ফাতিমা তুজ জহুরা রহমান।
ফাতিমা তুজ জহুরা রহমান বলেন, কোভিড ১৯ বিশ্বমারী পরিস্থিতিতে পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ আছে। কিন্তু একটি প্রজন্ম যাতে জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্য প্রযুক্তির সহায়তায় ‘ অনলাইন পাঠদান’ চলছে, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত। এই পাঠদান একদিকে যেমন ছাত্রছাত্রীদের প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকদের সাথে সংযুক্ত রেখেছে, অন্য দিকে এই ধরণের পাঠদানের অনেক সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। বাংলাদেশে ‘ডিজিটাল ডিভাইড’ অনেক বড়। এখনো অনেক শিক্ষার্থী নিজের বাসাবাড়িতে ইন্টারনেট সুবিধাপ্রাপ্ত নয়। সবার ভালো কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোন নেই। তাই ‘ক্লাসরুম ইকুইটি’ এই ডিজিটাল পাঠদানের মাধ্যমে রক্ষা হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা, পাঠদান শিক্ষক ও ছাত্রীদের মধ্যে একটি ‘যোগাযোগ প্রক্রিয়া’। শিক্ষক যখন শ্রেণীকক্ষে হাজির থাকেন, তখন এই যোগাযোগের ” সোশ্যাল প্রেজেন্স” শতভাগ। কিন্তু অনলাইনে যোগাযোগের ” সোশ্যাল প্রেজেন্স” অনেক কম। এটা শিক্ষণের ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা। এছাড়া শিক্ষক যখন ক্লাসে সরাসরি হাজির থাকেন, তখন শিক্ষকের আচার আচরণ, কথা বলার ভঙ্গী এবং যোগাযোগ কৌশল থেকে ছাত্রছাত্রীদের অনেক কিছু শেখার থাকে। এটাকে শিক্ষা দার্শনিকরা ” হিডেন কারিকুলাম” বলে থাকেন। অনলাইন পাঠদানের মাধ্যমে এই ” হিডেন কারিকুলাম” এর চর্চা বাধাপ্রাপ্ত হয়। তবে এই বিশ্বমারী পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান চর্চার সথে সংযুক্ত রাখতে অনলাইন পাঠদানের চেয়ে ভালো বিকল্প আর কিছুই নেই।
‘বাংলাদেশে কোভিড ১৯ বিশ্বমারী পরিস্থিতিতে শিক্ষণের উপর অনলাইন পাঠদানের প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ‘ইসলামের ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগ’ সঙ্গে আয়োজক হিসেবে আছে বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটি ও বইবিষয়ক ওয়েবপোর্টল বইচারিতা। বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড ফেসবুক ও ইউটিউব পেজ ও বইচারিতা ডটকম সরাসরি প্রচারিত হবে।