জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে দ্বিতীয় মেয়াদে পরিচালক হলেন কবি মিনার মনসুর

কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক মিনার মনসুর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন। আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, “জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আইন, ১৯৯৫ এর ধারা-১০ (২) অনুযায়ী মিনার মনসুরকে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এর পরিচালক পদে নিয়োগ করা হলো।”
প্রথম ২০১৯ সালে এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মিনার মনসুর। তিনি সম্পাদক, প্রকাশক ও সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন পঁচাত্তর-পরবর্তীকালে। চরম প্রতিকূলতার মধ্যে ১৯৭৯ সালে প্রকাশ করেছেন ‘শেখ মুজিব একটি লাল গোলাপ’ নামে গ্রন্থ। ১৯৭৮ সালের ১৫ আগস্ট তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘এপিটাফ’-এর একটি বিশেষ সংখ্যা। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ‘আবার যুদ্ধে যাব’ শিরোনামে একটি বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করেছেন ১৯৮০ সালে।
মিনার মনসুরের ১৯৬০ সালে ২০ জুলাই চট্টগ্রামের পটিয়ার বরলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। মিনার মনসুর কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও সাংবাদিক। সম্পাদক, প্রকাশক ও সংগঠক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন পঁচাত্তর পরবর্তীকালে। চরম প্রতিকূলতার মধ্যে ১৯৭৯ সালে প্রকাশ করেছেন ‘শেখ মুজিব একটি লাল গোলাপ’ নামে একটি মাইলফলক গ্রন্থ। পঁচাত্তরের নজিরবিহীন নৃশংসতার পর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এটিই ছিল গ্রন্থাকারে প্রকাশিত প্রথম স্মারক সংকলন। তার লেখা এবং সম্পাদনায় প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশটিরও বেশি। উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে ‘এই অবরুদ্ধ মানচিত্রে’ (১৯৮৩), ‘অনন্তের দিনরাত্রি’ (১৯৮৬), ‘অবিনশ্বর মানুষ’ (১৯৮৯), ‘আমার আকাশ’ (১৯৯১), ‘জলের অতিথি’ (১৯৯৪), ‘কবিতাসংগ্রহ’ (২০০১), ‘মা এখন থেমে যাওয়া নদী’ (২০১২), ‘মিনার মনসুরের দ্রোহের কবিতা’ (আগামী প্রকাশনী, ২০১৩), ‘মিনার মনসুরের প্রেমের কবিতা’ ( অ্যাডর্ন, ২০১৩), ‘পা পা করে তোমার দিকেই যাচ্ছি’ (কলকাতা, ২০১৬), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (পাঞ্জেরী, ২০১৬) এবং ‘আমার আজব ঘোড়া’ (কথাপ্রকাশ, ২০১৯)।
তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদ ও বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য এবং বাংলা একাডেমী ও এশিয়াটিক সোসাইটির জীবন সদস্য। পেশাগত কারণে আমেরিকা, চীন, ব্রিটেন, ভারত, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও নেপাল ভ্রমণ করেছেন। সামগ্রিক অবদানের জন্যে পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা। তার মধ্যে ‘শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পদক’ উল্লেখযোগ্য।