বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরীর ৭১তম জন্মবার্ষিকী আজ

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। যিনি ‘মিষ্টি মেয়ে’ নামে খ্যাত। আসল নাম মিনা পাল। তিনি একাধারে অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র পরিচালক ও রাজনীতিবিদ। ষাট ও সত্তরের দশকের বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ছিলেন। এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর আজ ৭১তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারে। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে ‘মিনা পাল’ থেকে কবরী নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কবরী বিয়ে করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী পাঁচ সন্তানের মা।

১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ১৯৬৫ সালে অভিনয় করেন ‘জলছবি’ ও ‘বাহানা’য়, ১৯৬৮ সালে ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’। ১৯৭০ সালে ‘দীপ নেভে নাই’, ‘দর্পচূর্ণ, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বিনিময়’ চলচ্চিত্রে। এসব সিনেমার মাধ্যমে পেয়ে যান তারকাখ্যাতি।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ১৯৬৫ সালে অভিনয় করেন ‘জলছবি’ ও ‘বাহানা’য়, ১৯৬৮ সালে ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’। ১৯৭০ সালে ‘দীপ নেভে নাই’, ‘দর্পচূর্ণ, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বিনিময়’ চলচ্চিত্রে। এসব সিনেমার মাধ্যমে পেয়ে যান তারকাখ্যাতি। দীর্ঘ তিন দশকের ক্যারিয়ারে ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘সুজন সখী’, ‘স্মৃতিটুকু থাক’, ‘সারেং বউ’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা।

অভিনেত্রী কবরী একাত্তরে কলকাতায় গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন; সেখানে বিভিন্ন সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন; সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। পরে দেশে ফিরে চলচ্চিত্রে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ২০০৬ সালে ‘আয়না’ নামে একটি চলচ্চিত্রের পরিচালনার মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে কবরীর। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে ‘এই তুমি সেই তুমি’ নামে দ্বিতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণে হাত দেন তিনি। সিনেমাটির এখনো নির্মাণ শেষ হয়নি।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কবরী। ২০১৭ সালে বিপিএল থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা স্মৃতিচারণমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’।

কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১৩ দিনের মাথায়, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল রাত ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকার মৃত্যুবরণ করেন।