কবিতায় প্রত্যাশা

কবিতা একধরণের শক্তি৷ মানসিক সৌন্দর্যের অপার্থিব প্রকাশ এবং রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক প্রেক্ষাপটকে নানাভাবে উপস্থাপনের মাধ্যম৷ প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরেই যেমন একটি সুন্দর বীণা আছে তেমনই সুরও আছে আর সেই সুর আর ভাবনার মিলনরথেই কবিতার বসবাস৷ কবিদের কল্পনাজগতে অকল্পনীয় সৌন্দর্য বিদ্যমান৷ এক্ষেত্রে গল্প , উপন্যাস বা প্রবন্ধ কিছুটা হলেও ব্যতিক্রম৷ তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাল লয়ের প্রভাব লক্ষ্যণীয়৷ জীবনের যেমন উত্থানপতন আছে, আছে ভালোমন্দ ঠিক তেমনই সবক্ষেত্রেই একটি কাম্য ধারাবাহিকতা বাঞ্ছনীয় অবশ্যই৷
আমি কবিতা পছন্দ করি৷ কবিতার সাথে জড়িয়ে আছে আমার অন্তর-বাহির৷ তবে কবি হতে পারিনি আর সে সক্ষমতা আমার নেই , এ আমার অকপট স্বীকারোক্তি৷ যাঁরা কবিতা লিখে চলেছেন অবিরাম তাঁরা কবিতার মাঝে নিজেকে সঁপে দিতে সক্ষম হয়েছেন৷ গভীরতম উপলব্ধির চৌকাঠ পেরিয়ে এক একটি কবিতা তাঁদের ছোঁয়ায় যেনো জীবন হয়ে ওঠে৷ চলমান সময়কে সুনিপুণ ক্যারিসমায় একটি রূপ দেয়া সহজ কাজ নয় আর যেনারা এরূপ দুরূহ কাজটি অবলীলায় সম্পন্ন করে চলেছেন তাঁদের প্রতি আমার সবিশেষ প্রণতি৷ এ আমার হৃদয়ের কথা , উজাড় মনের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কথা৷
প্রেম ছাড়া কবিতা হয় না এমন একটি প্রচলিত কথা চালু রয়েছে৷ হ্যাঁ, প্রেম আর ভালোবাসা ছাড়া জীবনের সবকিছুই অন্ধকার৷ তাই প্রেম থাকবেই অন্ততঃ যতদিন প্রজন্ম টিকে থাকবে৷ প্রেম থাকলে প্রেমের আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো প্রচলিত পথ বেয়েই হাজির হবে সেটিই স্বাভাবিক৷ তবে জীবনবোধের ক্ষেত্রে কখনও যন্ত্রণা বা দ্রোহের উপস্থিতি কবিতাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলে৷
প্রেম ছাড়া কবিতা হয় না এমন একটি প্রচলিত কথা চালু রয়েছে৷ হ্যাঁ, প্রেম আর ভালোবাসা ছাড়া জীবনের সবকিছুই অন্ধকার৷ তাই প্রেম থাকবেই অন্ততঃ যতদিন প্রজন্ম টিকে থাকবে৷ প্রেম থাকলে প্রেমের আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো প্রচলিত পথ বেয়েই হাজির হবে সেটিই স্বাভাবিক৷ তবে জীবনবোধের ক্ষেত্রে কখনও যন্ত্রণা বা দ্রোহের উপস্থিতি কবিতাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলে৷ কবি তাঁর নিজস্ব মাধুর্য মেশায়ে কখনও বিপ্লব, কখনও প্রেম-বিরহ , কখনও অপাঙক্তেয় বিষয়, কখনও বৈচিত্র্যময় প্রকৃতিকে নিয়ে নানা কলাকৌশলে লিখবেন যা পাঠকসমাজে সমাদৃত হবে এবং উত্তর প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে ৷
কবিতা বর্তমান সময়ে আরও বলিষ্ঠ ভঙ্গিমা নিয়ে বিবিধ শাখাপ্রশাখায় বিভক্ত হয়েছে৷ কবির বয়স নিয়ে কোনো কথা নেই কারণ একজন কবি সবসময়ই কিশোর, সবসময়ই যুবক ৷
কবিতায় কাঠিন্য বলে কথা নেই৷ প্রেয়সীর নরম চুলে যেমন প্রেমিক চাঁদের আলোর ছোঁয়া পান তেমনই কবিতার অক্ষরেও কবি সরল মনের ছবি আঁকেন৷ বিরহের বাঁশিতে যখন প্রেমিক উদ্বেলিত হন তখন কবিও তাঁর লেখনীতে শিবরঞ্জনী ছড়িয়ে দেন৷ ক্ষতবিক্ষত সময়কে বুকের গভীরে লালন করে একটি অনিন্দ্য চারুকলায় রূপায়িত করাই কবিদের উদ্দেশ্য৷ ছড়াকাব্যে খুব হালকা মেজাজে ইংগীতবাহী বিষয়ের নজরকাড়া উপস্থাপনই মূল কথা৷ কবিতা বর্তমান সময়ে আরও বলিষ্ঠ ভঙ্গিমা নিয়ে বিবিধ শাখাপ্রশাখায় বিভক্ত হয়েছে৷ কবির বয়স নিয়ে কোনো কথা নেই কারণ একজন কবি সবসময়ই কিশোর, সবসময়ই যুবক ৷
কবিতা চলুক নিত্যনতুন ধারায়৷ কবিরা সমৃদ্ধ চয়নে এগিয়ে চলুন সামনে আর পাঠকসমাজ হোক উপকৃত এটিই প্রত্যাশা ৷
বাসব রায় : কবি, কলকাতা, ভারত
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই বইচারিতা কর্তৃপক্ষকে