পকেটে কিছু খুচরো বিষণ্নতা নিয়ে বসে আছি বহুদিন
ভেবেছিলাম তা দিয়ে কিনব হিজল ফোঁটা অথবা সূর্যাস্তের সোনাগলা আলো
কিন্তু তারা কেউই আমার এই খুচরো বিষণ্নতার কাছে বিকোতে চাইলনা
সেই থেকে খুচরো বিষণ্নতার ঝনঝন শব্দে কাটাচ্ছি দিন-রাত ।
একবার এক কৃষ্ণচূড়ার কাছে গিয়ে দর-দাম করার চেষ্টা করেছিলাম
অমন আগুনরঙা হয়েও সে কিছুটা আগুন ও আমাকে দিতে চাইলনা
রক্তচন্দনের কাছেও একদিন আকুতি করেছিলাম বিষণ্নতা বিনিময়ের
হাজারও রক্তরাঙা বীজের মাঝেও সামান্য বিষণ্নতা মিশাতে সে নারাজ
চিত্রা নদীর কাছে ভেবেছিলাম এবার নিশ্চই বিষণ্নতাগুলো জলে ভাসাতে পারব
কিন্তু খিলখিল হাসির সঙ্গে নদীর জল বিষণ্নতাকে সঙ্গী করতে চাইল না
এরপর গেলাম চর্তুদশী চাঁদের কাছে বিষণ্নতাগুলো দিয়ে কিছু জোছনা কিনতে
কিন্তু সেও জোছনার আলোতে বিষণ্নতা মাখাতে রাজি না হয়ে ফিরিয়ে দিল আমায়
সেই থেকে পকেটে খুচরো বিষণ্নতাগুলো নিয়ে বসে রয়েছি
জোছনা, নদী, ফুল কেউই বিষণ্নতাগুলোর বিনিময়ে কিছু দিতে রাজি হলো না
বিষণ্নতার বোধহয় কোন বিনিময় মূল্য নেই, জমতে জমতে পাহাড় হয়ে যায়
আর সেই পাহাড়ের বুক থেকে জমানো বিষণ্নতাগুলো ঝরনা হয়ে নেমে আসে
পকেটে কিছু খুচড়ো বিষণ্নতা রাখা ভালো তাহলে
কোনো একদিন একটা গোটা ঝরনা হয়তো কিনে ফেলতে পারব
মতামত