সুমন সাহা’র কবিতা

সম্পর্ক-ঘটিত স্টেশন
মনের টান দূরত্বকে দুপুরবেলার স্টেশনে বসিয়ে― কাউকে কিছু না জানিয়েই পালাল! চিহ্ন মুছে ফেলার কথা যে জানালো শনিবারে―সেও রওনা দিচ্ছে লোকাল ট্রেনে। অপরিনামদর্শী অপেক্ষার চোখ দেখে আতকে উঠল শ্রাবণধারা! নক্ষত্রের ভীড়ে কিছু স্মৃতি চেনা যাচ্ছে না―এদিক-সেদিক ঘুরেফিরেও; সোজাসুজি বসে আছে―
অতিরিক্ততার ডানপাশে মেঘ
লোভে হেঁটে
চলে যাবার পর―
মাছ আটকা পড়লো বড়শিতে!
আটকিয়ে রইল―
অনেক চেষ্টায় ছাড়াতে পারলোনা রূপ!
অনেক কথা―কথাগুলোকে
বাচ্চামির পর্যায়ে দেখা―শোনাও গেল।
অন্ধকারের মায়ের কোন দোষ
ছিল না এখানে―
রূপের গাড়ি আটকে গিয়েছে কাদায়।
মেঘের কাছাকাছি
বরাবর, প্রেম
তোমাকে ছুঁয়ে যাবে।
হরিণ।
তোমাকে নিয়ে উড়ে যাবে।
হরিণী।
সকল পণ মিলেছে―
বিকেলে। একসাথে।
গাছতলায়
দাঁড়িয়ে আছে বিষাক্ত
তীর!
হরিণ-হরিণীর ভীতি থাকে না
সম্মতিক্রমে―
আকাশের চাঁদ হাতে নামে!
তর্কাতর্কি; চাঁদঘটিত
বয়েসের সমষ্টি হারাচ্ছে!
মুঠোমুঠো কথা; মুঠোফোন প্রেমালাপে রাজি। সাকুল্যে?
প্রেমালাপ চাঁদটার পাশাপাশি এখনো-তখনো খেলা করে। খেলা দেখায়। আনমনা তোমাকেই ভাবে। ভাবতেই থাকে।
বিশ্বাস, তুমি চাইলে চাঁদটার দিকে তাকাও!
অল্পসময় জিরিয়ে; ভাবনা বরাবর
মায়ের চাইতে মাসীর দরদ বেড়ে যাবার পর;
প্রারম্ভিক মন্তব্যে গ্রীষ্মের দুপুর
হাসল!
স্বপ্ন ভাঙলে বা মচকালে―
কারুর কিছুই করার থাকে না। থাকলে―
সর্ষেফুলের হাসি দেখা যায়; খালিচোখে!
জীবনঘনিষ্ঠ ভাবনায় ফেলে;
চুপচাপ কেউ পাশেই আছে―
সে কবি অথবা অনেককিছুই!
বলতেই পারে―
‘জীবন যাঁর ভাবনা তাঁর,…
সাকুল্যে নিজের ভালো নিজেকেই দেখতে―
দেখাতে হয়…’
সুমন সাহা : ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ শেরপুরের নকলা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পেশা : শিক্ষকতা। প্রকাশিত প্রথম কবিতা বই : প্রযত্নে― হাই স্কুল রোড (২০১৯) ।মেইলঃ sumonsaha8802@gmail.com