তুষার ভট্টাচার্যের কবিতাগুচ্ছ

আকাশ কুসুম স্বপ্নগুলি
বীজপত্রের ভিতরে লুকিয়ে রাখি ভাঙাচোরা জীবনের অপূর্ন সব
সাধ স্বপ্নগুলি ;
চারপাশে হিমেল শীতার্ত বাতাসে শুনি
হলুদ শুকনো ঝরাপাতার মর্মর গান ;
আহত পাখির দু’ডানায় দেখি –
লেগে আছে যন্ত্রণার কত ক্ষতচিহ্ন ;
তাই ভাঙাচোরা ব্যর্থ জীবন আমি ধুলো,
বৃষ্টি, বেগুনি রোদ, বরফ, লবনাক্ত সফেন সমুদ্র হাওয়ার আঘাত থেকে,
আড়াল আবডালে লুকিয়ে রাখি বীজপত্রে,
আমার শিকড়ে ;
বুকের ভিতরে জমিয়ে রাখা অনন্ত আকাশ কুসুম স্বপ্নগুলি আমি দিয়ে যাবো
শিকড়ের মায়াটানে সন্তানের হাতে l
রোদ্দুরের ফলক
রাত্রির নিঝুম অন্ধকার ডানার আড়ালে অমোঘ মৃত্যুর
পরোয়ানা নিয়ে যে লুকিয়ে থাকে থাকুক
আমি আর ভয় পাই না ;
কেননা শৈশবের কাশবন, জল জংলা, খাল বিল, ধূ –ধূ নদীচর পেরিয়ে
আমি দুরন্ত পায়ে
একছুটে চলে যাই – মাঞ্জাকাটা, ভোকাট্টা
রঙিন ঘুড়ির পিছনে ;
আমার হাতে ধরা থাকে রোদ্দুরের
বর্শাফলক,
আমাকে মারবে কে ? আমি তো
আজন্ম এক বাউল কিশোর,
যে ক্ষ্যাপার মতন খুঁজে বেড়াই
ওই দিগন্তের আকাশতলে
ভালবাসার খিড়কি দুয়ার l
স্মৃতির পতাকা
অপমানিতের সমস্ত দুঃখ নিয়ে একদিন চলে যাবো দিকশূন্যপুরে
নিরুদ্দেশে ;
যাবার আগে তোমার হাতে দিয়ে যাবো
ভালবাসার স্মৃতির পতাকা l
সংশয়ের পাঠশালায়
প্রতিনিয়ত ভালবাসার সংশয়ের পাঠশালায় জ্বলে পুড়ে মৃত্যু হয়
ব্যর্থতার অশ্রু জলে ভেজা
কবির l
তুষার ভট্টাচার্য, কাশিমবাজার, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত