বাবাকে যেমন পেয়েছি

অলংকরণ: নিয়াজ চৌধুরী তুলি
আজ বিশ্ব বাবা দিবস। এই দিবসটি ১৯১০ সালে প্রথম উদযাপন শুরু করেন ওয়াশিংটনের সোনোরা লুইস স্মার্ট নামের একজন নারী । ষষ্ঠ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে তার মা মারা গেলে তার বাবা পরিবারটিকে বড় করে তোলেন। ১৯০৯ সালে সোনোরা গির্জার একটি বক্তব্যে মা দিবসের কথা জানতে পারেন। তখন তার মনে হলো, বাবার জন্যেও এরকম একটি দিবস থাকা উচিত। স্থানীয় বেশ কয়েকজন ধর্মযাজক তার এই ধারণাটি গ্রহণ করে। ধারণা করা হয়, ১৯১০ সালের ১৯ জুন প্রথমবারের মতো বাবা দিবসটি পালন করা হয়, যদিও তা আনুষ্ঠানিক ছিল না। ১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রোববার বাবা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। ছয় বছর পর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এটিকে আইনে পরিণত করেন। বাবা দিবস স্মরণে এই কবিতাটা নিবেদন করা হলো।
বাবা মানে বাড়িয়ে দেওয়া সবল দুটো হাত,
বাবা মানে দিনগুলো সব আনন্দেতে মাত,
বাবা মানে স্কুলে যাওয়া
বাবা মানে খেলতে পাওয়া,
বাবা মানে রথযাত্রার রথের দড়ি টানা,
বাবা মানে নাগরদোলা চড়ার নেইকো মানা।
বাবা মানে ঠাকুর দেখা
বাবা মানে চলতে শেখা।
বাবা মানে চলতে চলতে রেলগাড়িতে যাওয়া
বাবা মানে না চাইতে সকল কিছু পাওয়া।
বাবা মানে পাহাড় চড়া,
বাবা মানে স্বপ্ন গড়া।
বাবা মানে জটিল সব অঙ্ক সমাধান,
বাবা মানে এক নিমেষেই মুশকিল আসান।
বাবা মানে রং তুলি কেনা
বাবা মানে ধ্রুবতারা চেনা।
বাবা মানে সাগরজলে ঢেউয়েরই হাট,
বাবা মানে এক ছুটেই তেপান্তরের মাঠ।
বাবা মানে ঝিনুক তোলা
বাবা মানে রংমশাল জ্বালা।
বাবা মানে বন্ধ ঘরে আলোর ছড়াছড়ি,
বাবা মানে জালিয়ে দেয়া খুশির ফুলঝুরি।
মিতালী সরকার, অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত