অস্ট্রেলিয়ান নোবেলজয়ী সাহিত্যিক প্যাট্রিক ভিক্টর মার্টিন্ডেল হোয়াইটের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্যাট্রিক ভিক্টর মার্টিন্ডেল হোয়াইট ১৯৭৩ সালে সাহিত্যে নোবেলবিজয়ী একজন অস্ট্রেলিয়ান ঔপন্যাসিক এবং নাট্যকার৷ ১৯১২ সালের ২৮ মে ইংল্যান্ডের লন্ডনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন৷
তিনি বাবা-মা লন্ডনে সফররত থাকাকালীন অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেন৷ জীবনের প্রথম ১২ বছর অস্ট্রেলিয়ায় কাটানোর পর শিক্ষার জন্য পরবর্তীতে তিনি আবারও ইংল্যান্ডে ফেরত আসেন৷ সেখানে তিনি কেমব্রিজের কিংস কলেজে আধুনিক ভাষা শিক্ষায় ভর্তি হন ৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ইংল্যান্ডের পক্ষে রয়্যাল এয়ার ফোর্সে দায়িত্বরত ছিলেন৷ যদিও তাঁর আগেই তিনি লেখালেখির জগতে পা রেখেছেন, টুকটাক লেখাও ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে বিভিন্ন পত্র–পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি থিয়েটারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, পছন্দ করতেন ভ্রমণ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মাঝেমাঝে ইংল্যান্ডে থাকলেও অস্ট্রেলিয়াতেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন ৷

হোয়াইটের প্রথম উপন্যাস, হ্যাপি ভ্যালি, যা প্রকাশিত হয় ১৯৩৯ সালে। শুরুর দিকের এ উপন্যাসটি ডিএইচ লরেন্স এবং টমাস হার্ডির লেখা দ্বারা প্রভাবিত ছিল। হোয়াইটের পরবর্তী উপন্যাসগুলোর উপাদান যদিও স্পষ্টভাবে অস্ট্রেলিয়ান, তবুও এর দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপকতা শুধুমাত্র একটি দেশ, কিংবা একটি সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ৷ হোয়াইটের চোখে অস্ট্রেলিয়া একটি অস্থিতিশীল দেশ হিসেবে চিত্রায়িত হয়েছে, অবধারিতভাবে তাঁর লেখায়ও ফুটে উঠেছে তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার অস্থির সময়ের চিত্র৷
হোয়াইটের প্রথম উপন্যাস, হ্যাপি ভ্যালি, যা প্রকাশিত হয় ১৯৩৯ সালে। শুরুর দিকের এ উপন্যাসটি ডিএইচ লরেন্স এবং টমাস হার্ডির লেখা দ্বারা প্রভাবিত ছিল। হোয়াইটের পরবর্তী উপন্যাসগুলোর উপাদান যদিও স্পষ্টভাবে অস্ট্রেলিয়ান, তবুও এর দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপকতা শুধুমাত্র একটি দেশ, কিংবা একটি সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ৷ হোয়াইটের চোখে অস্ট্রেলিয়া একটি অস্থিতিশীল দেশ হিসেবে চিত্রায়িত হয়েছে, অবধারিতভাবে তাঁর লেখায়ও ফুটে উঠেছে তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার অস্থির সময়ের চিত্র৷ অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে তাঁর সমালোচনামূলক তথাপি শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে দ্য ট্রি অব ম্যান (১৯৫৫), ভস (১৯৫৭), রাইডার্স ইন দ্য চ্যারিয়াট (১৯৬১), দ্য সলিড ম্যান্ডালা (১৯৬৬) এবং দ্য টুইবার্ন অ্যাফেয়ার (১৯৭৯) এর মতো উপন্যাসের পাতায়৷ বিভিন্ন মিথ, প্রতীক আর রূপকের ওপর ভিত্তি করেই তাঁর প্রতিটি লেখা অবয়ব পেয়েছে৷ সেসব লেখায় ফুটে উঠেছে মানবমনের একাকীত্বের স্বরূপ, এবং জীবনের অন্তর্নিহিত অর্থের পেছনে নিরন্তর অনুসন্ধান ৷

বিভিন্ন মিথ, প্রতীক আর রূপকের ওপর ভিত্তি করেই তাঁর প্রতিটি লেখা অবয়ব পেয়েছে৷ সেসব লেখায় ফুটে উঠেছে মানবমনের একাকীত্বের স্বরূপ, এবং জীবনের অন্তর্নিহিত অর্থের পেছনে নিরন্তর অনুসন্ধান ৷
হোয়াইটের লেখা নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— দ্য সিজন এট সারসপ্যারিলা (১৯৬৫), নাইট অন বাল্ড মাউন্টেন (১৯৬৪) এবং সিগন্যাল ড্রাইভার (১৯৮২)৷ এছাড়াও তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক ছোটগল্প: ফ্ল’স ইন দ্য গ্লাস (১৯৮১), একটি চিত্রনাট্য এবং একটি কবিতার বই প্রকাশ করেন৷

হোয়াইট চেয়েছিলেন মৃত্যুর সময় তাঁর রেখে যাওয়া অসম্পূর্ণ লেখাগুলো যেন নষ্ট করে ফেলা হয়, তবুও তাঁর প্রকাশক সেটি উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালে তাঁর শুরু করা অসম্পূর্ণ উপন্যাস দ্য হ্যাঙ্গিং গার্ডেন মৃত্যুর ২২ বছর পর প্রকাশিত হয়৷ হোয়াইট ১৯৯০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মৃত্যুবরণ করেন৷
তথ্যসূত্র : ব্রিটানিকা.কম