মানবতা ও সংগ্রামের কবি শাসসুর রাহমান

কবি শামসুর রাহমান। আলোকচিত্র : সাহাদাত পারভেজ
‘বাচ্চু’ নামে ছোট্ট ছেলেটি একদিন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বলা হয় বাংলা কবিতার বরপুত্র। জীবদ্দশায় বাংলাদেশের প্রধান কবি হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন। আধুনিক কবিদের মধ্যে অন্যতম সেই কবি শামসুর রাহমান।
আজ ১৭ আগস্ট। ২০০৬ সালের এই দিনে বাংলার আকাশ থেকে এই উজ্জ্বল তারকা চলে যান ওপারে। দেখতে দেখতে ১৫টি বছরে পেরিয়ে গেল। তবু মানুষের মধ্যে সেই কবির কাব্যময় কথাগুলো এখনও জীবন্ত। অমরত্ব এই কবি শুধু যে কবিতা লিখেই বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন এমনটি নয়, তিনি ছিলেন একজন মানবতার কর্মী, প্রতিবাদ ও সংগ্রামে কবি।দেখেছেন পাকিস্তান আমলে স্বৈরশাসক অত্যাচার। আন্দোলন ও সংগ্রামে তিনি নিবীড়ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৫৮ সালে স্বৈরশাসক আইয়ূব খানের বিরোধী নিতে লিখেন ‘হাতির গুঁড়’। কবি লিখেন-
‘আদ্যিকালের বেবাক কিছুই অলৌকিক।
পক্ষীরাজের পক্ষছায়ায় দিগ্ধিদিক
নীল আকাশে উড়ত কত রাজকুমার।
আদ্যিকালের আজব কথার নেই শুমার!
ফলত সদা সোনার ডালে হীরের ফল,
জাগত জ্বেলে ঘিরের প্রদীপ লালকমল,
অসির খেলায় দৈত্যদানো করত বধ।
মরুভূমি, দূরের পাহাড়, মায়ার হ্রদ
উড়ন্ত সেই গালিচাটায় হচ্ছে পার।
সাত সফরে এই জীবনের সত্যসার
সিন্দাবাদের নখমুকুরে বিম্বিত।
সোনার কাঠি রুপোর কাঠি চিহ্নিত
ঘুমের খাটে শঙ্খমালা ঘুমন্ত;
কৌটো খোলা ভোমরা মরে জীবন্ত।
ঐরাবতের খেয়ালখুশির ধন্দায়
ভোরের ফকির মুকুট পরে সন্ধ্যায়।
প্রাক্তন সেই ভেল্কিবাজির মন্তরে
যাচ্ছে চেনা অনেক সাধু-সন্তরে।
সেই চালে ভাই মিত্র কিবা শত্তুর
চলছে সবই-মস্ত সহায় হাতির শুঁড়!
কবিতাটি প্রকাশিত হয় সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত পত্রিকা সমকালে। বাঙালির প্রিয় নেতার মতো কবির প্রিয় নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৬ কিংবা ৬৭ সালে প্রিয় নেতা কারাগারবন্দী, তখন তিনি কি আর চুপ করে থাকতে পারেন, তিনি লিখলেন এক অসাধারণ কবিতা ‘টেলেমেকাস’। কবিতাটি হলে-
টেলেমেকাস
তুমি কি এখনো আসবে না? স্বদেশের পূর্ণিমায়
কখনো তোমার মুখ হবে নাকি উদ্ভাসিত, পিতা,
পুনর্বার? কেন আজো শুনি না তোমার পদধ্বনি?
এদিকে প্রাকারে জমে শ্যাওলার মেঘ, আগাছার
দৌরাত্ন্য বাগানে বাড়ে প্রতিদিন। সওয়ারবিহীন
ঘোড়াগুলো আস্তাবলে ভীষণ ঝিমোয়, কুকুরটা
অলিন্দে বেড়ায় শুঁকে কতো কী-যে, বলে না কিছুই।
নয়কো নগণ্য দ্বীপ সুজলা সুফলা শস্যশ্যাম
ইথাকা আমার ধনধান্যে পুষ্পেভরা। পিতা, তুমি
যেদিন স্বদেশ ছেড়ে হলে পরবাসী, ভ্রাম্যমাণ,
সেদিন থেকেই জানি ইথাকা নিষ্পত্র, যেন এক
বিবর্ণ গোলাপ। আমি একা কৈশোরের জ্বলজ্বলে,
প্রান্তরে দাঁড়িয়ে কোন কাক-তাড়ুয়ার মূর্তি দেখে
ভুলে গেছি হাসি। ‘কেন আপনার ঠোঁটের দিগন্তে
হাসির হরিণ-শিশু পালিয়ে বেড়ায় অবিরত?’-
কখনো করেন প্রশ্ন ধীমান প্রবীণ সভাসদ। (সংক্ষিপ্ত)
ঠিক একেই ভাবে তিনি যখন ১৯৬৭ সালের ২২ জুন পাকিস্তানের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী রেডিও পাকিস্তানে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে,তখন তিনি চাপ করে না থাকে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি কর্মরত ছিলেন পাকিস্তান সরকার নিয়ন্ত্রিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায়। সরকার নিয়ন্ত্রিত হলেও তিনি তাঁর মতপ্রকাশে কোনো কিছু তোয়াক্কা করেননি। রবীন্দ্রসঙ্গীতের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আরও স্বাক্ষর করে কবি, গবেষক ও প্রথম একুশে সংকলনের সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমান, দৈনিক পাকিস্তানের সহকারি সম্পাদক এস এম আহমেদ হুমায়ুন, খ্যাতিমান কবি ফজল শাহাবুদ্দীন। ১৯৬৮ সালে আইয়ূব খান সরকার পাকিস্তানের সব ভাষার জন্য অভিন্ন রোমান হরফ চালু করার প্রস্তাব করেন। সেই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ৪১ জন কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন। সেই বিবৃতি ছিলেন কবি শামসুর রাহমান। ক্ষুদ্ধ হয়ে লেখেন ‘বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা’ এমন মমস্পর্শী কবিতা।
উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। বাঙালির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।আইয়ূব খান সরকারের স্বৈরশাসন পতনের একটি অভ্যুত্থান। সেই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ হন আসাদ (আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান)।দিনটি ছিল ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি। গুলিস্তানের একটি মিছিলে শহীদ আসাদের রক্তভেজা শার্ট দিয়ে জনতা একটি লাঠিতে পতাকা বানিয়ে মিছিলে যোগদান করেন। সেই চিত্র দেখে কবি শামসুর রাহমান মানসিকভাবে মারাত্মক ব্যথিত হন। তিনি তখন লেখেন ‘আসাদের শার্ট’ কবিতাটি। সেই কবিতাটি ছড়িয়ে গেলে মানুষের মুখে মুখে। ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। শহীদ আসাদের কথা এলেই কবি শামসুর রাহমানের এই কবিতাটি আসবেই।
‘আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখন্ড বস্ত্র মানবিক ;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা।’
১৯৭০ সালের ২৮ নভেম্বর দেশে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় ও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। কবি তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য লিখলেন ‘আসুন আমরা আজ ও একজন জেলে’ নামে কবিতা।
১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঘুমন্ত বাঙালি উপরে চালায় বর্বরোচিত হামলা। এই কালরাত পারহওয়ার পর কবি এবাড়ি-ওবাড়িতে পালিয়ে বেড়াতে লাগেন। এর কিছু দিন পর চলে গিয়েছিলেন পৈতৃক বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। সেখানে তিনি লিখেন তাঁর বিখ্যাত দু’টি কবিতা। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘এপ্রিল মাসের সাত অথবা আট তারিখ দুপুরের কিছুক্ষণ আগে বসেছিলাম আমাদের পুকুরের কিনারে গাছতলায়। বাতাস আদর বুলিয়ে দিচ্ছিল আমার শরীরে। পুকুরে ছোট ছোট, কিশোর কিশোরীও ছিল ক’জন সাঁতার কাটছিল মহানন্দে। হঠাৎ আমার মনে কী যেন বিদ্যুতের ঝিলিকের মতো খেলে গেল। সম্ভবত একেই বলে প্রেরণা। কবিতা আমাকে জড়িয়ে ধরল। চটজলদি বাড়ির ভেতরে গিয়ে চতুর্থ শ্রেণীর চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে একটা কাঠপেন্সিল ও রুলটানা খাতা নিয়ে তাড়াতাড়ি পুকুরের দিকে ছুটলাম। গাছতলায় বসে খাতায় কাঠপেন্সিল দিয়ে শব্দের চাষ শুরু করলাম। প্রায় আধ ঘণ্টা কিংবা কিছু বেশি সময়ে পরপর লিখে ফেললাম দু’টি কবিতা- ‘স্বাধীনতা তুমি’ এবং ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা।’
দেশে স্বাধীনতার পরও কবি সংগ্রাম করেছেন এরশাদ সরকারের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে। তাঁর প্রতিবাদ হিসেবে তিনি ১৯৮৭ সালে দৈনিক বাংলার প্রধান সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৮৭ থেকে পরবর্তী চার বছরের তিনি প্রথম বছরে ‘শৃঙ্খল মুক্তির কবিতা’, দ্বিতীয় বছরে ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কবিতা’, তৃতীয় বছরে ‘সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কবিতা’ এবং চতুর্থ বছরে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতা’ লেখেন। ১৯৯১ সালে এরশাদের পতনের পর লেখেন ‘গণতন্ত্রের পক্ষে কবিতা’। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জনমানুষের প্রতি অপরিসীম দরদ তার চেতনায় প্রবাহিত ছিল। শামসুর রাহমানের বিরুদ্ধে বারবার বিতর্ক তুলেছে কূপমণ্ডূক মৌলবাদীরা। তাঁকে হত্যার জন্য বাসায় হামলা করেছে। এতকিছুর পরও কবি তার বিশ্বাসের জায়াগায় ছিলেন অনড়।
সংগ্রাম ও মানবতার কবি শাসমুর রাহমানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কবিতা। তাঁর আত্মজীবনী ‘কালের ধুলোয় উল্লেখ করেন, ‘ব্যক্তিজীবনের নানা উত্থান-পতনের মধ্যে কবিতাই ছিল আমার নিত্যসঙ্গী।’
শামনসুর রাহমান সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলায়।
১৯৪৫ সালে পুরোনো ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৪৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে ভর্তি হন তবে শেষ পর্যন্ত আর চূড়ান্ত পরীক্ষা দেননি। পাসকোর্সে বিএ পাস করে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এমএ (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও শেষ পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। ১৯৫৭ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজে সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। এরপর তিনি আবার ফিরে আসেন তার পুরোনো কর্মস্থল দৈনিক মর্নিং নিউজে। তিনি সেখানে ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৪ থেকে শুরু করে সরকারি দৈনিক পাকিস্তানের (স্বাধীনতা উত্তর দৈনিক বাংলা) সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৭ এর জানুয়ারি পর্যন্ত। ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ সালে তিনি দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ সালে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : ”প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে” (১৯৬০;”রৌদ্র করোটিতে” (১৯৬৩)’,’বিধ্বস্ত নিলীমা” (১৯৬৭)’, ‘নিরালোকে দিব্যরথ” (১৯৬৮)’,’নিজ বাসভূমে” (১৯৭০)’, ‘বন্দী শিবির থেকে” (১৯৭২), ”দুঃসময়ে মুখোমুখি” (১৯৭৩)’,’ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাটা” (১৯৭৪),”আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি” (১৯৭৪),”এক ধরনের অহংকার” (১৯৭৫),”আমি অনাহারী” (১৯৭৬), ”শূন্যতায় তুমি শোকসভা” (১৯৭৭),”বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে” (১৯৭৭),”প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে” (১৯৭৮), ”প্রেমের কবিতা” (১৯৮১), ”ইকারুসের আকাশ” (১৯৮২), ”মাতাল ঋত্বিক” (১৯৮২) , ”উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে” (১৯৮৩), ”কবিতার সঙ্গে গেরস্থালি” (১৯৮৩) , ”নায়কের ছায়া” (১৯৮৩) , ”আমার কোনো তাড়া নেই” (১৯৮৪) , ”যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে” (১৯৮৪), ”অস্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই” (১৯৮৫), ”হোমারের স্বপ্নময় হাত” (১৯৮৫), ”শিরোনাম মনে পড়ে না” (১৯৮৫),”ইচ্ছে হয় একটু দাঁড়াই” (১৯৮৫), ”ধুলায় গড়ায় শিরস্ত্রাণ” (১৯৮৫),”এক ফোঁটা কেমন অনল” (১৯৮৬), ”টেবিলে আপেলগুলো হেসে উঠে” (১৯৮৬), ”দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে” (১৯৮৬),”অবিরল জলভূমি” (১৯৮৬),”আমরা ক’জন সঙ্গী” (১৯৮৬),”ঝর্ণা আমার আঙুলে” (১৯৮৭),”স্বপ্নেরা ডুকরে উঠে বারবার” (১৯৮৭),”খুব বেশি ভালো থাকতে নেই” (১৯৮৭), ”মঞ্চের মাঝখানে” (১৯৮৮), ”বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়” (১৯৮৮),”হৃদয়ে আমার পৃথিবীর আলো” (১৯৮৯),”সে এক পরবাসে” (১৯৯০),”গৃহযুদ্ধের আগে” (১৯৯০) , ”খন্ডিত গৌরব” (১৯৯২) , ”ধ্বংসের কিনারে বসে” (১৯৯২) , ”হরিণের হাড়” (১৯৯৩) , ”আকাশ আসবে নেমে” (১৯৯৪) , ”উজাড় বাগানে” (১৯৯৫) , ”এসো কোকিল এসো স্বর্ণচাঁপা” (১৯৯৫) , ”মানব হৃদয়ে নৈবদ্য সাজাই” (১৯৯৬) , ”তুমিই নিঃশ্বাস তুমিই হৃৎস্পন্দন” (১৯৯৬) , ”তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল হয়েছি” (১৯৯৭) , ”হেমন্ত সন্ধ্যায় কিছুকাল” (১৯৯৭) , ”ছায়াগণের সঙ্গে কিছুক্ষণ” (১৯৯৭), ”মেঘলোকে মনোজ নিবাস” (১৯৯৮) , ”সৌন্দর্য আমার ঘরে” (১৯৯৮) , ”রূপের প্রবালে দগ্ধ সন্ধ্যা রাতে” (১৯৯৮) , ”টুকরা কিছু সংলাপের সাঁকো” (১৯৯৮) , ”স্বপ্নে ও দুঃস্বপ্নে বেচে আছি” (১৯৯৯) , ”নক্ষত্র বাজাতে বাজাতে” (২০০০) ,”শুনি হৃদয়ের ধ্বনি” (২০০০) , ”হৃদপদ্মে জ্যোৎস্না দোলে” (২০০১) , ”ভগ্নস্তূপে গোলাপের হাসি” (২০০২) , ”ভাঙাচোরা চাঁদ মুখ কালো করে ধুকছে” (২০০৩) , ”গন্তব্য নাই বা থাকুক” (২০০৪) , ”কৃষ্ণপক্ষে পূর্ণিমার দিকে” (২০০৪) , ”গোরস্থানে কোকিলের করুণ আহবান” (২০০৫) , ”অন্ধকার থেকে আলোয়” (২০০৬) , ”না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন” (২০০৬)
উপন্যাস: ‘অক্টোপাশ’ (১৯৮৩), ’অদ্ভুত আঁধার এক’ (১৯৮৫), ‘নিয়ত মন্তাজ’ (১৯৮৫), ‘এলো সে অবেলায়’ (১৯৯৪),
প্রবন্ধগ্রন্থ – ‘আমৃত্যু তাঁর জীবনানন্দ’ (১৯৮৬), ‘কবিতা এক ধরনের আশ্রয়’ (২০০২)
তিনি অর্জন করেছেন আদমজী সাহিত্য পুরস্কার,বাংলা একাডেমি পুরস্কার,একুশে পদক,নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক,জীবনানন্দ পুরস্কার, আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার, মিতসুবিশি পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, আনন্দ পুরস্কার। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে এই মহান কবিকে।
২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ।
সূত্র :
উইকিপিডিয়া,
‘কালের ধুলো-শামসুর রাহমান
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা