প্রয়াণ দিবসে শেখ ওয়াজেদ আলির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য

অনবদ্য গল্পকার, প্রাবন্ধিক, ভ্রমণের জন্য তিনি প্রখ্যাত লেখক। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অফুরন্ত অবদান। তিনি আজও মানুষের মনে বেঁচে আছেন তাঁর মূল্যবান লেখার জন্য। সাহিত্যের নানান বিষয় নিয়ে লেখা গুলো আজও কালজয়ী সাহিত্যে জায়গা করে নিয়েছে। তাঁর সেই লেখা ও উক্তি আজও মানুষের মুখে মুখে শেখ ওয়াজেদ আলি : সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে।
শেখ ওয়াজেদ আলির জন্ম ৪ সেপ্টেম্বর ১৮৯০ তাঁর মৃত্যু হয় ১০ জুন ১৯৫১। শেখ ওয়াজেদ আলি ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি প্রাবন্ধিক। তিনি মূলত ‘এস ওয়াজেদ আলি’ নামেই অধিক পরিচিত। তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পেশায় ছিলেন আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা হয়েও সমাজের উচ্চবর্গের মুখোশ খুলতেই কলম ধরেছিলেন।

প্রাবন্ধিক ও ভ্রমণকাহিনী লেখক হিসেবে দাগ কাটেন পাঠক দরবারে।
শেখ ওয়াজেদ আলি ১৮৯০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মহকুমার বড় তাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. পাশ করেন। ১৯১৫ সালে ব্যারিস্টারি পাশ করেন। তিনি তার কর্মজীবনে প্রেসিডেন্সী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। ১৯৪৫ সালে অক্টোবরে অবসর গ্রহণ করেন। সমকালীন মুসলমান সাহিত্যিকদের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত একজন লেখক হিসাবে প্রতিপত্তি লাভ করেন। তার পিতার নাম শেখ বেলায়েত আলী। তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং শিলংয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।

সাহিত্যকর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলদাস্তা (১৯২৭) গল্প। মাশুকের দরবার (১৯৩০) গল্প। জীবনের শিল্প (১৯৪১) প্রবন্ধ। প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩) প্রবন্ধ। ভবিষ্যতের বাঙালী (১৯৪৩) প্রবন্ধ। গ্রানাডার শেষ বীর (১৯৪০) ঐতিহাসিক উপন্যাস। বাদশাহী গল্প (১৯৪৪) গল্প। গল্পের মজলিশ (১৯৪৪)। পশ্চিম ভারত (১৯৪৮) ভ্রমণকাহিনী।আকবরের রাষ্ট্র সাধনা (১৯৪৯) প্রবন্ধ। মোটর যোগে রাঁচী সফর (১৯৪৯) ভ্রমণকাহিনী। মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ – প্রবন্ধ।
আজ প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক ও বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য।
ফারুক আহমেদ : সম্পাদক ও প্রকাশক, উদার আকাশ, ভারত
তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালী চরিতাভিধান। ৩২ এ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, কলকাতা ৭০০০০৯: সাহিত্য সংসদ। ১৯৬০। পৃষ্ঠা ৬৬।