শার্দূল সুন্দরী’র লেখক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় আর নেই

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি তাঁর ফেসবুক থেকে নেওয়া
আজ ভারতের গড়িয়াহাটের বাড়িতে ভোররাতে ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন ‘শার্দুল সুন্দরী’র লেখক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৫০। তিনি প্রায় এক দশক ধরে সংবাদপত্র, বেতার ও টেলিভিশনে সাংবাদিকতা করেন।
শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকতায় পরিচিত মূখ হলেও সাহিত্যে জগতেও জনপ্রিয়। তাঁর লেখা উপন্যাস ও ছোটগল্পগুলো পাঠকপ্রিয়তা পায়। মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৪। উপন্যাসের পাশাপাশি প্রবন্ধও লিখেছেন তিনি। উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘শার্দূল সুন্দরী’।
তিনি গত সোমবার রাত ১০টা নাগাদ নিজের ফেসবুকে এক দুর্যোগঘন কালো আকাশের ছবি শেয়ার করে শীর্ষবাবু লিখেছিলেন ‘ওরে ঝড় নেমে আয়।’ তাঁর সেই শেষ পোস্টের উল্লেখ করে অনেকেই লেখেন তাঁর মৃত্যু যেন ঝড়ের মতোই আকস্মিক ভাবে নেমে এল বাংলার সাংস্কৃতিক আঙিনায়।
১৩ মে তিনি ফেসবুকে লিখেন— ‘২০২০, প্রথম কোভিড-বর্ষে লেখালেখি প্রায় হয়নি। করতে পারিনি। আগে লেখা একটি গল্প ‘গন্তব্য’ এই সময়ে প্রকাশিত হয়েছিল দেশ পত্রিকায়, যা পড়ে, ফোন নাম্বার জোগাড় করে মুম্বই থেকে যোগাযোগ করেন শ্রীমতি সুমতি যোশি। বলেন, গল্পটি মারাঠি ভাষায় অনুবাদ করতে চান। সানন্দে অনুমতি দিই। এর কয়েক মাস পরেই দেশ শারদসংখ্যায় ‘পঙ্গপাল’ গল্পটি প্রকাশিত হয়। আবার শ্রীমতি যোশির ফোন – এই গল্পটি আগে অনুবাদ করতে পারি?
মাসখানেক আগে মহারাষ্ট্রের ‘মুক্ত শব্দ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে পঙ্গপাল, মারাঠিতে। ভাষাটা জানি না, তাই নিজে পড়তে পারছি না। কিন্তু ভাল লাগছে, যে আরও অনেক লোক পড়বেন।’