১০ জানুয়ারির ঘটনাটা বলতে গেলে কেন জানি আবেগী হয়ে যাই : গোলাম মুস্তফা, পর্ব-৪

ছবি: খুরশীদ আলম

সাহাদাত পারভেজ : ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরলেন। বিটিভির হয়ে আপনি সেই অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করেছিলেন। কি দেখতে পেলেন আপনি?
গোলাম মুস্তফা : ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আসবেন। বিটিভি থেকে তিনজন ক্যামেরাম্যান দায়িত্ব পেলেন। আমার দায়িত্ব পড়ল রানওয়েতে; বঙ্গবন্ধু সিঁড়ি দিয়ে যেখানে নামবেন। ওরা গেজ করে নিয়েছে কোথায় থামবেন। সেইখানের ক্যামেরাটা আমাকে দিয়েছে। ওই ক্যামেরাটা ট্র্যাক করতে হবে। ক্যামেরাটা কিন্তু ভীষণ ভারি। এখন তো তুমি এই লাইট ক্যামেরায় ভিডিও করছো। বিশ্বাস করো, ওই ক্যামেরাটা ট্রাইপডে তুলতে চারজন মানুষ লাগত! ওই ক্যামেরার বডির মধ্যেই চারটা বিল্টইন হ্যান্ডেল ছিল! চারজনে ধরে অনেক কষ্টে তুলে নিয়ে (কসরতের অভিনয় করে দেখালেন) এ-ই করে রাখতে হতো। মানে প্রায় দমফাটা অবস্থা।
সাহাদাত পারভেজ : অনেক শক্তির ব্যাপার!
গোলাম মুস্তফা : কাজেই আমি জানি ওই ক্যামেরার ওজন কী রকম! ওই ক্যামেরার ট্রাইপডও হেভি। ওই ক্যামেরা নিয়ে রানওয়ের মধ্যে ট্র্যাক করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে ফলো করে যেতে হবে। যাই হোক, বঙ্গবন্ধু আসবেন; ওটা বলতে আমার…।
সাহাদাত পারভেজ : প্লিজ প্লিজ!
গোলাম মুস্তফা : আমি যে জায়গাটা বলতে চাই না, ওটা বলতে গেলে আমার অসুবিধা হবে। তবে যেটা বলতে ভালো লাগছে, সেটা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু যে প্লেনটায়; বঙ্গবন্ধু কিন্তু। পাকিস্তান কারাগার থেকে প্রথমে তাঁকে লন্ডন নিয়ে যায়। লন্ডন থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটা প্লেনে করে প্রথমে দিল্লিতে আসেন। দিল্লি থেকে ঢাকায়। এমনটাই জানতাম আমরা। তো দিল্লি থেকে ফ্লাই করেছে। কমপক্ষে এক ঘণ্টার ব্যাপার। আমি কিন্তু অলরেডি পজিশন নিয়ে নিয়েছি। আমাদের তিনটা ক্যামেরা। একটা হচ্ছে এয়ারপোর্ট, পুরনো এয়ারপোর্ট কিন্তু। একটি ক্যামেরা দোতলায়। আমি গ্রাউন্ডে। আর থার্ড ক্যামেরাটা একটু দূরে।
দাঁড়িয়ে আছি কখন বঙ্গবন্ধু আসবেন। প্লেন কখন আসবে ঠিক নেই। হঠাৎ কে একজন বলল, একটা প্লেন মনে হয় আসছে। আমি তাকিয়ে আছি। হঠাৎ দেখি, দূরে (ওপরে তাকিয়ে) এক জায়গাতে একটা সাদা রেখার মতো। সাদা চিকন রেখা। সাদা রেখা ব্লু স্কাইর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। ওই যে এয়ার ফ্লো যখন হয়, তখন প্লেনের যে একটা ট্রেইল হয়, ওই রকম। প্লেনটা অনেক দূরে কিন্তু রেখাটা চিকন রেখা।
আমি চিৎকার করে উঠলাম, ‘বঙ্গবন্ধু আসছেন!’ বলে আবার চিন্তা করলাম, ওটা বঙ্গবন্ধুর প্লেনটা নাও হতে পারে! তাই দমে গেলাম। মুস্তফা মনোয়ার প্যানেলে। প্যানেলে মানে কন্ট্রোল রুমে। কন্ট্রোল রুমে মানে ওভি ভ্যানে। ওই ভ্যানটা এয়ারপোর্ট বিল্ডিংয়ের বাইরে। তো তিনি বললেন, ‘আমাকে দেখাও, আমাকে দেখাও
আমি চিৎকার করে উঠলাম, ‘বঙ্গবন্ধু আসছেন!’ বলে আবার চিন্তা করলাম, ওটা বঙ্গবন্ধুর প্লেনটা নাও হতে পারে! তাই দমে গেলাম। মুস্তফা মনোয়ার প্যানেলে। প্যানেলে মানে কন্ট্রোল রুমে। কন্ট্রোল রুমে মানে ওভি ভ্যানে। ওই ভ্যানটা এয়ারপোর্ট বিল্ডিংয়ের বাইরে। তো তিনি বললেন, ‘আমাকে দেখাও, আমাকে দেখাও!’
তখন আর খুঁজে পাই না। আমার ফ্রেম থেকে বেরিয়ে গেছে।
কে যেন বলল, ওই যে ওই যে সাদা প্লেন দেখা যাচ্ছে! আমি ধরলাম। মুস্তফা মনোয়ার বলছেন যে, ‘হ্যাঁ ওইটাই ওইটাই! ধরো রাখো, ধরে রাখো!’
তখন আমি স্মোথলি ওটাকে ফলো করছি। প্লেনটা আসল। বড় হচ্ছে, বড় হচ্ছে, বড় হচ্ছে। আস্তে আস্তে ঘুরে এসে এয়ারপোর্টের কাছাকাছি আসল, চক্কর দিয়ে নামল। আমি ঠিক জায়গামতো ক্যামেরাটা মুভ করে এমন জায়গায় থামলাম যেখানে নাকি বঙ্গবন্ধুর প্লেনটা সরাসরি এসে থামবে। আমাকে কিন্তু দুজন লোক গাইড করছে। ওরা সামনের ভিড় সব সরিয়ে দিলো। আমি একদম গেট ধরে আছি। ভেতরে উত্তেজনা (আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়লেন)।
দরজা খুলল। প্রথম যে ব্যক্তিটি বেরোলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু নন। তিনি তাজউদ্দিন আহমদ ( বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী)। তারপর যিনি বের হলেন, তিনিও বঙ্গবন্ধু নন। তাঁকে আমি চিনি। মুস্তফা সারোয়ার। আমি যে স্কুলে পড়তাম সেই স্কুলে উনি পড়তেন। উনি ওই সময়ই অনেক বিখ্যাত লোক। আওয়ামী লীগের প্রথম যে কমিটি হয় সেই কমিটির উনি কালচারাল সেক্রেটারি। উনি স্কুলে থাকতেই ভালো বক্তৃতা দিতেন। বললে অবাক লাগবে যে, উনি ভালো নাচতেন। উনি বুলবুল চৌধুরীর ছাত্র ছিলেন। আমাদের বড় ভাইয়ের মতো। এক স্কুলে পড়েছি আমরা। উনি ক্লাস টেনে আর আমি ফোরে, ওইটুকুই পার্থক্য খালি। যাই হোক, উনি নামলেন। তারপরে বঙ্গবন্ধু নামলেন। তিন নাম্বর!
আমি ক্যামেরা ধরে আছি। অনেক লোক। মানে দুনিয়ার ক্যামেরাম্যান; এবিসি, বিবিসি এমবিসি, এনইসি যত আছে। বিটিভিই একমাত্র দেশি চ্যানেল। সব বিদেশি চ্যানেল, পিটিভি ছাড়া। আর সব প্রেস ফটোগ্রাফার। ধাক্কাধাক্কি। ধাক্কা প্রতিহত করে ক্যামেরা স্টেডি রাখার চেষ্টা করছি। শারীরিক শক্তি আসলে তখনই লাগে। তো উনি নামছেন। সোজা এসে নামলেন। আমার ক্যামেরা বরাবর এসে নামলেন।
গেটে দাঁড়ালেন। আমি ক্যামেরা ধরে আছি। অনেক লোক। মানে দুনিয়ার ক্যামেরাম্যান; এবিসি, বিবিসি এমবিসি, এনইসি যত আছে। বিটিভিই একমাত্র দেশি চ্যানেল। সব বিদেশি চ্যানেল, পিটিভি ছাড়া। আর সব প্রেস ফটোগ্রাফার। ধাক্কাধাক্কি। ধাক্কা প্রতিহত করে ক্যামেরা স্টেডি রাখার চেষ্টা করছি। শারীরিক শক্তি আসলে তখনই লাগে। তো উনি নামছেন। সোজা এসে নামলেন। আমার ক্যামেরা বরাবর এসে নামলেন। তারপরে গাইড করে ওনাকে ডানদিকে নিয়ে যাওয়া হলো (আবেগের নিয়ন্ত্রণ হারালেন, চোখ ভিজে উঠল)। ‘আই অ্যাম স্যরি, আই অ্যাম স্যরি, আই অ্যাম স্যরি, আই অ্যাম স্যরি…।’
সাহাদাত পারভেজ : ঠিক আছে!
গোলাম মুস্তফা : আমার শুধু এটা মনে পড়ছে যে, উনি বড় করে একটা শ্বাস নিলেন। নিজের দেশের বাতাস এই প্রথম গায়ে মাখলেন। ওই মুহূর্তে শুধু আমি না, সবাই কাঁদছিলেন।
তারপরে একটু সংক্ষেপ করি। কাঁদলে হবে না। তারপর উনাকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে সরাসরি রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। রেসকোর্সে এত মানুষ যে,আমাদের ফটোগ্রাফারদেরকে হেলিকপ্টারে নিয়ে স্ট্রেট রেসকোর্স ময়দানে ছেড়ে দেয়া হলো। ওখানেও তিনটা ক্যামেরা। আমাকে প্লেস করেছে কোথায় জানো? একদম স্টেজে। পুরোনো এয়ারপোর্ট থেকে বঙ্গবন্ধুর আসতে সময় লাগল প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা। পুরা রাস্তায় জ্যাম। জ্যাম ঠেলে তিনি আসলেন। ওঠে বসলেন। বসার পরে ফরেন ক্যামেরাম্যানরা সবাই আগে লাফ দিয়ে উঠে গেল। আগে ওরা অনেক কভারেজ করেছে। ওই সব শেষ হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শুরু হলো। রেসকোর্স ময়দান লোকে লোকারণ্য। এতো লোক বোধ হয় তখনই হয়েছিল। এরপর এত লোকারণ্য আর হয়েছিল বলে আমার মনে পড়ে না। আমি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর থেকে মাত্র কুড়ি ফুট দূরে। আমি প্যান করলেই একদিকে বঙ্গবন্ধুকে পাই, আরেকদিকে জনতা পাই। বাম দিকে প্যান করলে বঙ্গবন্ধু উইথ দ্য হোল রও।

আমার পাশে একজন অস্ট্রেলিয়ান ক্যামেরাম্যান। সাদা শার্ট এবং সাদা প্যান্ট পরা, রিস্ট ওয়াচ। এরকম মোটাশোটা। গোফ আছে। তাঁকে বললাম, ‘তুমি কিন্তু আমার বেশি কাছে এসো না। আমার ক্যামেরা কিন্তু কাঁপছে।’
সে বলল, ‘আমি প্রফেশনাল ক্যামেরাম্যান। আমি তোমার কথাটা বুঝতে পারছি। তোমার ক্যামেরায় আমি হিট করব না। ইউ ডন্ট ওয়ারি। আমি বিদেশে অনেক কভারেজ করেছি, আমি জানি।’
তো বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতায় চলে আসি। উনি দাঁড়ালেন। বক্তৃতা শুরু করলেন। উনার চোখে চশমা ছিল। শুরু করার দুই মিনিটের মধ্যেই উনার চোখ ঘোলা হয়ে গেছে। চশমার গ্লাস ঘোলা হয়ে গেছে। উনি শুধু চশমাটা খুললেন। পানি ভরা একেবারে। ঝরঝর করে পানি পড়ল। আর তা দেখে সমস্ত জনগণ ঝরঝর করে কাঁদছে। অভূতপূর্ব এক দৃশ্য। সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, আমার পাশে যে অস্ট্রেলিয়ান ক্যামেরাম্যার, যে একটা বাংলা শব্দও বোঝে না; সেও কাঁদছে। সে তাঁর শার্ট দিয়ে, বাহু দিয়ে চোখ মুছছে।
‘আমি এক বর্ণও বুঝি না। পৃথিবীর বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আমি কভারেজ করেছি। আমি জীবনে কোনো দিন পৃথিবীর কোথাও দেখি নাই; এক সঙ্গে নেতাও কাঁদে, জনগণও কাঁদে।’
আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কাঁদছ কেন। তুমি কী বাংলা বোঝো?’
সে বলল, ‘আমি এক বর্ণও বুঝি না। পৃথিবীর বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আমি কভারেজ করেছি। আমি জীবনে কোনো দিন পৃথিবীর কোথাও দেখি নাই; এক সঙ্গে নেতাও কাঁদে, জনগণও কাঁদে।’
বুঝতে পেরেছ সে নিজে থেকেই বলছে এ কথা!
সাহাদাত পারভেজ : সেদিন কতক্ষণ বক্তব্য রাখলেন বঙ্গবন্ধু?
গোলাম মুস্তফা : বেশিক্ষণ বলতে পারেন নাই। ভাবাবেগের জন্য। বঙ্গবন্ধু দেখলেন যে উনি যদি কান্না না থামান, জনগণ তাহলে থামবে না। একটা বিদেশি লোক, যে কথা পর্যন্ত বোঝে না, সেও কান্না শুরু করে দিয়েছে। আনফরচুনেটলি ১০ জানুয়ারির ঘটনাটা বলতে গেলে প্রতিবারই ঠিক করি যে, এই ঘটনা তো কয়েকবার বলেছি। তাহলে আমি এমন আবেগী হয়ে যাই কেন। এটা তো আমার কাছে পুরোনো ব্যাপার। ওই জায়গায় আসলে পরে হয় কী…; আমি যখন ঘটনাটা বলি তখন আমি ওই মুহুর্তে চলে যাই। আমি এখানে বসে আছি কিন্তু আমি এখানে বসে নাই; আমি তো বিমানবন্দরে, রেসকোর্স ময়দানে, ক্যামেরার পেছনে আর আমার পেছনে ওই অস্ট্রেলিয়ান ক্যামেরাম্যান। মাঝেমাঝে একটা প্রশ্ন জাগে নিজের কাছে, আমি তো মুক্তিযুদ্ধ করিনি, করতে পারিনি, করার পরিস্থিতি ছিল না; তো আমার এত ইনভলভমেন্ট কেন?
সাহাদাত পারভেজ : একজন ক্যামেরাম্যান বা ফটোগ্রাফার তো ঘটনার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। আপনি নিজে আছেন সেই ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে। ক্যামেরায় আপনি যা তুললেন, সেখানে আপনি আছেন। ইউ আর ইন ফ্রেম, বাট ইউ আর আউট অফ ফ্রেম।
গোলাম মুস্তফা : অফকোর্স আউট অফ ফ্রেম। এবং সেই ক্যামেরাটা, যেই ক্যামেরায় কভারেজ করা হয়েছিল; আজও রামপুরার টেলিভিশন ভবনের আর্কাইভে সেটি রক্ষিত আছে। ওটাকে বি ক্যামেরা বলা হত। ভারি ক্যামেরা।
আমি ভেবেছিলাম আজকে এরকম কিছু হবে না। আমি এই ঘটনা তো দুয়েক জায়গায় বলেছি। কোনো বারই আমি সংবরণ করতে পারি না। আমার দোষ,আমি যখন পুরোনো কথাটাই বর্ণনা করি, আমার মনে হয় যে, ওই মুহূর্তে ঘটনাটা আবার ঘটছে। বোধ হয় কান্নাকাটি না হলে আরও ভালো বলতে পারতাম।
সাহাদাত পারভেজ : আমি দুঃখিত যে আমার প্রশ্নের কারণে বার বার আপনার চোখ ভিজে গেছে। আমরা এবার আপনাকে একটু অন্য জায়গায় নিয়ে যাই।
গোলাম মুস্তফা : আই অ্যাম স্যরি ফর দিস, সাহাদাত। আমি ভেবেছিলাম আজকে এরকম কিছু হবে না। আমি এই ঘটনা তো দুয়েক জায়গায় বলেছি। কোনো বারই আমি সংবরণ করতে পারি না। আমার দোষ,আমি যখন পুরোনো কথাটাই বর্ণনা করি, আমার মনে হয় যে, ওই মুহূর্তে ঘটনাটা আবার ঘটছে। বোধ হয় কান্নাকাটি না হলে আরও ভালো বলতে পারতাম।
সুশান্ত পালের ধারণ করা ভিডিওচিত্র থেকে অনুলিখন করেছেন জাহরা জাহান পার্লিয়া
আগামীকাল পড়ুন পঞ্চমপর্ব
আরও পড়ুন :
ক্যামেরার কারণে আমার কাজের মান ভালো হয়ে গেল : গোলাম মুস্তফা, পর্ব-১
কলেজের ম্যাগাজিনের কাভারে ছবি ছাপানো হওয়ার গর্বে আমার তো ঘুম নাই : গোলাম মুস্তফা, পর্ব-২
’ ৭১-এর টেলিভিশনের চাকরি ফেলে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, বৃদ্ধ বাবা মাকে টর্চার করবে ভেবে কোথাও যাইনি : গোলাম মুস্তফা, পর্ব-৩
“দরজা খুলল। প্রথম যে ব্যক্তিটি বেরোলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু নন। তিনি তাজউদ্দিন আহমদ ( বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী)। তারপর যিনি বের হলেন, তিনিও বঙ্গবন্ধু নন। তাঁকে আমি চিনি। মুস্তফা সারোয়ার।…….. যাই হোক, উনি নামলেন। তারপরে বঙ্গবন্ধু নামলেন। তিন নাম্বর!” – এই লাইনগুলোতে দ্বিমত আছে। মুস্তফা ভাই বয়স জনিত কারনে ভুল বললেও শাহাদতের উচিৎ ছিল তা সম্পাদনা করে সঠিক করে দেওয়া। – সম্পাদনাতো করাই হয়েছে কিছু কিছু জায়গায়।