আমার চন্দনদা আজও বলেন, ‘ফাইট! তরুণ ফাইট!’

সবে হাল্কা দাড়ি উঠতে শুরু করেছে। স্কুল-কলেজের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে তখন স্বপ্ন ফেরির কোলাহলে মত্ত জীবন এবং যাপন। কিশোরীর মন পেতে মরিয়া কিশোর হৃদয়! হৃদয় জুড়ে স্বপ্নের কোলাহল। সেই সময়েই তাঁর সঙ্গে পরিচয়। ৬ ফুট উচ্চতায় সযত্নে লালিত বছর পয়তাল্লিশের সৌম্য মানুষটি, প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে যাই। তাঁর দৃপ্ত দৃষ্টিতে বাধা পড়ে যায় চেতনার রং। অজান্তে তিনিই হয়ে ওঠেন ধ্রুবতারা। অবেচতনে উত্তাল হয়ে ওঠে জীবনের সাজানো ও অগোছালো যাবতীয় ছন্দ। তাঁকে দেখেই তাই পাল তুলে দিই জীবন দরিয়ার। অজান্তেই তিনি হয়ে ওঠেন আমার শিক্ষাগুরু। স্কুল বা কলেজের অনেক ভালো লাগা শিক্ষকদের ডিঙিয়ে জীবনের যাত্রাপটে তিনিই আমার আদর্শ শিক্ষক। অথচ, কোনো দিনই স্কুল বা কলেজের নিয়ম ও শৃঙ্খলবদ্ধ পাঠ পাইনি তাঁর কাছ থেকে। পেয়েছি শুধুই জীবনের পাঠ। আজও তিনি দূরে, অনেক দূরে থেকে আমায় প্রতিনিয়ত পরিচালিত করেন।
চন্দন মুখোপাধ্যায়। আমার জীবন যাত্রার শিক্ষক। পেশায় ছিলেন ওষুধ কোম্পানির মামুলি বিক্রয় প্রতিনিধি। তাঁর বিচরণ ছিল সাহিত্য ও নাটকে। কলকাতার অদূরে নদিয়া জেলার ছোট্ট শহর রানাঘাট। এই অধমেরও বাড়ি সেখানেই। চন্দনদার সঙ্গে পরিচয় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। প্রথম দর্শনেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ি তাঁর ব্যক্তিত্বের গাম্ভীর্যে। গুরুগম্ভীর আলাপচারিতা আমার কিশোর মনকে দোলা দেয়। তারপর হয় ভাব। গাম্ভীর্যের প্রাচীর ভেদ করে ধরা দেয় তাঁর স্নেহশীল মনন। চন্দনদা ছিলেন স্বভাব কবি। জীবনে ও লেখায় সর্বত্রই তাঁর জীবন ছিল পদ্যময়। ভারতের বিখ্যাত বাংলা পত্রিকা দেশ-এ নিয়মিত কবিতা ছাপা হত তাঁর। তিনি ছিলেন গল্পকারও। দেশ পত্রিকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ছাপা হত তাঁর গল্প। নাটক ছিল চন্দনদার ভালোবাসার জগৎ। আকাশবাণী কলকাতা তো বটেই, বিভিন্ন সময়ে মঞ্চস্থ হয়েছে তাঁর পরিচালিত ও অভিনীত নাটক। ছিলেন ঘোষক ও বাচিক শিল্পী। বহুবার তাঁকে দেখেছি অসাধারণ বাগ্মিতায় মাতিয়ে তুলেছেন দর্শকদের। কিন্তু সবই ছিল তাঁর জীবন উপভোগের মাধ্যম হিসাবে। কোনো দিন পেশাগত সাফল্যের ইঁদুর দৌড়ে অংশ নিতে দেখেনি তাঁকে।
ছন্দ ছিল তাঁর রক্তে মিশে। আবার ভাঙতে দেখেছি ছন্দকে। অত্যন্ত পরিশ্রমী মানুষটির আলস্য বিলাসিতাও আমাকে আকর্ষিত করত। টাকার নেশায় দৌড়ানোর বদলে কার্পণ্য-বিলাসিতা মুগ্ধ করত আমার কৈশোরকে। আর ছিল, মানুষের প্রতি ভালোবাসা। প্রকৃত সাম্যবাদের সহজপাঠ তাঁর কাছ থেকেই পাই। জীবনযুদ্ধের ক্লান্তিকে পাশ কাটিয়ে ছাদে বসে কিম্বা শুয়ে, মেঘের মধ্যে খেলা করার কৌশল তিনিই শিখিয়েছিলেন। বুঝিয়ে ছিলেন, নতুন সকাল কেন বিষাদময়। একটি সকাল মানে জীবনের একটি দিনের শেষ। তাই সময় উপভোগ করতে হয়, লড়াই করে নষ্ট করার জিনিস নয় সময়। নেতিবাচক ভাবনা দিয়ে নয়, বেঁচে থাকতে হয় ইতিবাচক আবেগ নিয়ে। জীবন বেগময় হলেও আবেগ কখনোই অবহেলার পাত্র নয়। আবেগকেও সম্মান দিতে তিনিই শেখান।
জীবনযুদ্ধের ক্লান্তিকে পাশ কাটিয়ে ছাদে বসে কিম্বা শুয়ে, মেঘের মধ্যে খেলা করার কৌশল তিনিই শিখিয়েছিলেন। বুঝিয়ে ছিলেন, নতুন সকাল কেন বিষাদময়। একটি সকাল মানে জীবনের একটি দিনের শেষ। তাই সময় উপভোগ করতে হয়, লড়াই করে নষ্ট করার জিনিস নয় সময়। নেতিবাচক ভাবনা দিয়ে নয়, বেঁচে থাকতে হয় ইতিবাচক আবেগ নিয়ে। জীবন বেগময় হলেও আবেগ কখনোই অবহেলার পাত্র নয়। আবেগকেও সম্মান দিতে তিনিই শেখান।
চন্দনদার হাত ধরেই আমার কবিতার প্রতি ভালোবাসার জন্ম। গদ্য লেখার হাতেখড়িও তাঁর হাত ধরেই। কবিতা যে শুধু ছাপার জন্য লিখতে নেই, বুকের ব্যথা প্রশমনের অঙ্গ, সেটা তো তিনিই শিখিয়েছিলেন। শিখিয়েছিলেন, মৃত্যু অবশ্মভাবী। তাই অর্থের পিছনে অনর্থক দৌড়ে লাভ নেই। ধর্ম আছে, ধর্ম থাকুক। কিন্তু মানুষ আগে। মানুষের কোনো ভেদ নেই। মানুষ হচ্ছে মানুষই। গরীব বা বড়লোক বলে কিছু হয় না, হিন্দু-মুসলিম তো নয়ই। তাই মানুষকে ভালোবাসতে হবে। বাসতে হবে প্রকৃতিকেও। চেতন ও অবচেতন দুই জগৎই উপভোগ্য। লড়াই, লড়াই করতে হবে প্রতিনিয়ত। তবে সেটা শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য। কারণ বেঁচে থাকাটাই জীবন। আর জীবনের থেকে বড় কিছু নেই। আমার কৈশোর পার করে যৌবন এবং বিয়ে-সংসার, সব কিছুতেই চন্দনদার দর্শিত পথ আমাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কবিতার মোহ কাটিয়ে সাংবাদিকতার কঠিন লড়াই, সেখানেও আমার শিক্ষক চন্দনদা। একসময়ে গুরুকে ছেড়ে পেশায় প্রতিষ্ঠার লড়াই, তখনও আড়াল থেকে তিনিই দুরভাষে বলতেন, ‘ফাইট! তরুণ ফাইট!’ আজ তিনি অনেক, অনেক দূরে। কিন্তু সেখান থেকেও শুনতে পাই তাঁর কথা, ‘ফাইট! তরুণ ফাইট!’ আদর্শ শিক্ষকের মতো আজও জীবনের যাবতীয় দ্বন্দ্ব তিনিই মেটাতে সাহায্য করে চলেছেন। আজও মানুষের প্রতি বিশ্বাসে কার্পণ্য নেই, তাঁর কারণেই। লোভকে জয় করতে শিখিয়েছেন তিনিই।
কিন্তু ১৮-১৯ বছর আগে আমাকে মাঝ দরিয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের মতো আমিও হারিয়েছি পথচলার মাস্তুল। তবে তাঁর স্ত্রী, আমার পরম শ্রদ্ধেয় বৌদি (রীনা মুখোপাধ্যায়। যার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে সবচেয়ে বেশি শিহরণ উপভোগ করি আজও)-র লড়াই এবং তাঁর ছেলে বাবুই (আমার প্রিয় ডাঙুরিয়া, ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়)-এর মেধায়, চন্দনদার অবর্তমানে, তাঁর অভাব অনুভব করতে করতেই আজ তাঁরা বাহ্যিক দৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু আমি নিশ্চিত, প্রতিনিয়ত তাঁরাও অনুভব করেন সেই বিশাল হৃদয়ের মানুষটির অভাব। আর আমি? তিনি বেঁচে থাকতেই তাঁর ইচ্ছাতে সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ হই। একটি ছেলেও আছে আমাদের সংসারে। কিন্তু তাঁর অভাব প্রতিটি দুর্যোগে-দুর্ভোগে, উৎসবে-অনুষ্ঠানে, আনন্দে-দুঃখে, উচ্ছাসে-হতাশায়, রাগে-বিরহে, ভালোলাগায়-মন্দলাগায় অনুভব করি। অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস স্পর্শ করে শরীর। তবু প্রতিনিয়ত তিনিই তো আমাকে পথচলার দিশা দেন, সকলের অলক্ষ্যে। তাঁকে ছাড়া আমার পথচলা অসম্ভব। জীবনের সমস্ত কিছুতেই তাঁকে আজও আমি শিক্ষক বলে মনে করি। তিনিই আমার আদর্শ শিক্ষক। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই জীবনের পথচলার প্রদর্শককেই আমি আমার গুরু বলে মানি।
তবু প্রতিনিয়ত তিনিই তো আমাকে পথচলার দিশা দেন, সকলের অলক্ষ্যে। তাঁকে ছাড়া আমার পথচলা অসম্ভব। জীবনের সমস্ত কিছুতেই তাঁকে আজও আমি শিক্ষক বলে মনে করি। তিনিই আমার আদর্শ শিক্ষক। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই জীবনের পথচলার প্রদর্শককেই আমি আমার গুরু বলে মানি।
লিখে চলি। বাংলায়। এটাই আমার পেশা। সংসারও চলে লেখার দৌলতেই। আর এটা সম্ভবই হত না, চন্দনদা না থাকলে। মাধ্যমিকে বাংলা লেখা পরীক্ষায় মোটামুটি নম্বর পেলেও মৌখিকে পেয়েছিলাম ২০য়ের মধ্যে মাত্র ২। তারপরও বাংলায় লিখে খাই এবং পরি। চন্দনদাই আমায় পড়তে শিখিয়েছেন এবং শিখিয়েছেন লিখতেও। প্রথাগত শিক্ষার বাইরে রয়েছে বিশাল ও বর্ণময় পড়ার জগৎ, তিনিই চিনিয়েছেন সেই পাঠশালা। জীবন-দর্শনে ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার সহজপাঠও তিনিই দিয়েছেন। মৃত্যু ভাবনাকে সঙ্গে নিয়ে জীবনের আসল রোমাঞ্চ উপভোগ করতে শিখিয়েছেন তিনি। তাঁর কাছেই খুলে বলা যেত, জীবনের সমস্ত কান্না এবং পাগলামি। ভালোলাগা ও খারাপলাগার নিজেকে নীলকন্ঠ করে আমাকে প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে অক্সিজেন জুগিয়েছে তাঁর, ‘ফাইট! তরুণ ফাইট!’ আজও সেই অক্সিজেনই আমার পথচলার পাথেয়। রিকশাপুলার কিম্বা সাফাইকর্মীর সঙ্গে এক প্লেটে খাওয়ার মধ্যে যে কোনো সংকোচ রাখতে নেই, নদীতে জেলের গামছা দিয়ে গা মুছলে যে জাত যায় না, সবজিওয়ালার কাপে চায়ে চুমুক দিলে টোল খায় না ব্যক্তিত্বের, মধ্যবিত্ত ভাবনা কখনওই অন্যকে ছোট করায় সুরক্ষিত নয় অথবা ভণ্ডামি না করেও সকলকে আপন করে নেওয়ার আনন্দ, তিনি না শেখালে আমি শিখতাম না। উনিই আমাকে শিখিয়েছেন ভেদাভেদমুক্ত মানবজীবন।
আচমকা থমকে গিয়েছেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে ছাত্রটিকে, শিখিয়ে গিয়েছেন, খরস্রোতেও কীভাবে ধরতে হয় জীবনের হাল। পৃথিবীর দিকে পিছন ফিরে কীভাবে কাঁদতে হয় সকলের অলক্ষ্যে। অভাব বা দুঃখ জীবনের অঙ্গ, তাঁকে উপভোগও করতে হয় প্রতিনিয়ত। ভাতের প্রতিটি দানার মতো জীবনের প্রতিটি মুহূর্তও উপভোগ্য। কবিতার প্রতিটি দুলুনি ভুলিয়ে দিতে পারে জীবনযুদ্ধের চরম সঙ্কট। আকাশের বুকে ছাপা রয়েছে দুঃখ ভোলার যাবতীয় উপকরণ। আলস্য বিলাসিতাও জীবনের অঙ্গ। ভাবনা-বিলাস বা কবিতায় ডুব দিয়ে মন ভালো করার রাস্তা তিনিই দেখিয়েছিলেন। তিনি না থাকলে জীবন এত বর্ণময় হত না। প্রেম করতে শিখিয়েছেন এবং সঙ্গে শিখিয়েছেন বিরহের যন্ত্রণা উপভোগের মজাটাও। মানুষ, মানুষকে ভালোবাসতে শিখিয়েছিলেন তিনি। মানুষই তাই আজও আমার আসল দেবতা।
তাঁর অভাব প্রতিটি দুর্যোগে-দুর্ভোগে, উৎসবে-অনুষ্ঠানে, আনন্দে-দুঃখে, উচ্ছাসে-হতাশায়, রাগে-বিরহে, ভালোলাগায়-মন্দলাগায় অনুভব করি। অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস স্পর্শ করে শরীর। তবু প্রতিনিয়ত তিনিই তো আমাকে পথচলার দিশা দেন, সকলের অলক্ষ্যে। তাঁকে ছাড়া আমার পথচলা অসম্ভব। জীবনের সমস্ত কিছুতেই তাঁকে আজও আমি শিক্ষক বলে মনে করি। তিনিই আমার আদর্শ শিক্ষক। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই জীবনের পথচলার প্রদর্শককেই আমি আমার গুরু বলে মানি।
‘জন্মিলে মরিতে হবে’—কথাটা খুব সহজ। আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষক, জীবনে পথচলার শিক্ষক, বহু আগেই সেটা প্রমাণ করেছেন। আমি বেঁচে আছি। কিন্তু মরার আগে তিনি শত প্ররোচনাতেও বিন্দুমাত্র মরেননি। বরং মরণকে দোসর করেই বেঁচে ছিলেন। বাঁচতে শিখিয়েছিলেন। আজ, জীবনযুদ্ধে শিক্ষককে পরাস্ত করে তাঁর ছাত্র এগিয়ে চলেছে। বয়স বাড়ছে, বেড়েই চলেছে। কিন্তু অলক্ষ্যে আজও আমার অনুপ্রেরণা চন্দনদা। তাঁর শিক্ষাতেই আজও টোল খায়নি মানুষের প্রতি ভালোবাসায়। আজও তাকাই আকাশের দিকে, মেঘের কোলে খুঁজে বেড়াই তাঁর কোল। কান্নায় ভেঙে পড়তে চাই সেই কোলে। আগলে ধরতে চাই তাঁর কোমল হৃদয়। কান পেতে শুনতে চাই, তাঁর বজ্রকন্ঠে কবিতার ছন্দ। তাঁর চোখের চাহুনিতে খুঁজে নিতে চাই শ্রান্ত মনের ছোট্ট আশ্রয়। কিন্তু প্রতিটি চাওয়াতেই ছন্দপতন, কবিতার মতো তিনিও চলে গিয়েছেন দূরে, অনেক দূরে। কিন্তু সেই দূর থেকেই প্রতিনিয়ত কানে ভেসে আসে, ‘ফাইট! তরুণ ফাইট!’
আজও তাকাই আকাশের দিকে, মেঘের কোলে খুঁজে বেড়াই তাঁর কোল। কান্নায় ভেঙে পড়তে চাই সেই কোলে। আগলে ধরতে চাই তাঁর কোমল হৃদয়। কান পেতে শুনতে চাই, তাঁর বজ্রকন্ঠে কবিতার ছন্দ। তাঁর চোখের চাহুনিতে খুঁজে নিতে চাই শ্রান্ত মনের ছোট্ট আশ্রয়। কিন্তু প্রতিটি চাওয়াতেই ছন্দপতন, কবিতার মতো তিনিও চলে গিয়েছেন দূরে, অনেক দূরে। কিন্তু সেই দূর থেকেই প্রতিনিয়ত কানে ভেসে আসে, ‘ফাইট! তরুণ ফাইট!’
তাই এখনো চালিয়ে যাচ্ছি ‘ফাইট’। জীবনের রণাঙ্গন থেকেই আমার গুরুদেবকে আমার অনুচ্চারিত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। দেখা হবে না জানি, তবু ছাদ মাথা রেখে তাঁর সঙ্গেই ভাসতে চাই মেঘের ওপর দিয়ে। ভাসতে ভাসতে শুঁকতে চাই সবার ঘর থেকে ভাতের গন্ধ। ভূতের হাতের থাপ্পর খাওয়া কিশোররাও মেতে উঠুক ঘটি হারানোর আনন্দে। প্রেমই হোক মানুষের বেঁচে থাকার বড় অস্ত্র। সময়কে উপভোগ করে সকলেই বেঁচে থাকুক ভাতের গন্ধে, ওপর থেকে এটাই হতে পারে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ক্যানভাস। প্রণাম গুরুদেব, প্রণাম।
যাঁরা আমাদের স্বপ্নকে, আমাদের জীবনের পথচলারকে হাত ধরে শিখেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন সর্ব সময়ে, তাঁদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ‘বইচারিতার আয়োজন ‘ স্মৃতিতে আমার প্রিয় শিক্ষাগুরু’। আপনি আপনার প্রিয় শিক্ষককে নিয়ে আমাদের কাছে লিখে পাঠিয়ে দিন। সঙ্গে পাঠাবেন শিক্ষকের ছবি, নিজের ছবি, যদি শিক্ষকের সঙ্গে কোনো ছবি থেকে থাকে। থাকবে সেরা ১০জন লেখকের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় বই ও সনদ। লেখা পাঠাবেন: boicharita@gmail.com