চার্লস বুকাওস্কির কবিতা। ভাবানুবাদ : নাজিয়া তাসনিম

[ভূমিকা ও ভাবানুবাদ : চার্লস বুকাওস্কি ১৯২০ সালের ১৬ আগস্ট, জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা ছিলেন একজন আমেরিকান সৈনিক ৷ তিন বছর বয়সে তিনি সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং লস এঞ্জেলেসে বড় হন। তিনি ১৯৩৯ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত “লস এঞ্জেলেস সিটি কলেজে” পড়াশোনা করেন, তারপর স্কুল ছেড়ে লেখক হওয়ার জন্য নিউইয়র্ক সিটিতে চলে যান । এই সময়ে প্রকাশনায় সাফল্যের অভাবে তিনি ১৯৪৬ সালে লেখালেখি ছেড়ে দেন এবং দশ বছর ধরে অতিরিক্ত মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েন।ফলশ্রুতিতে আলসার হওয়ার পর তিনি আবার লেখালেখি করার সিদ্ধান্ত নেন।
পেশা হিসেবে বিচিত্র সব চাকরি করেছেন তিনি; ডিশওয়াশার, ট্রাক ড্রাইভার এবং লোডার, মেইল ক্যারিয়ার, গার্ড, গ্যাস স্টেশন অ্যাটেনডেন্ট, স্টক বয়, গুদাম কর্মী, শিপিং ক্লার্ক, পোস্ট অফিস ক্লার্ক, পার্কিং লট অ্যাটেনডেন্ট, রেডক্রসসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেছেন তিনি৷ এমনকি লিফট অপারেটর, কুকুরের বিস্কুটের কারখানা, কসাইখানা, বেকারির কারখানায়ও কাজ করেছেন, করেছেন নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়েতে পোস্টার সাঁটার কাজও৷
চব্বিশ বছর বয়সে বুকাওস্কি তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশ করেন, কবিতা লিখতে শুরু করেন ৩৫ বছর বয়সে৷ বেশিরভাগ লেখায় ফুটে উঠেছে আমেরিকার নিপীড়িত মানুষ, সহিংসতা এবং যৌনতা এবং তারই “হেনরি চিনাস্কি” নামে তাঁর আত্মজীবনীমূলক এক ব্যক্তির জীবনবৃত্তান্ত ৷
তাঁর প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয় ১৯৫৯ সালে। কবিতা এবং গদ্য মিলিয়ে পঁয়তাল্লিশটিরও বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে,। উল্লেখযোগ্য—”পাল্প” (ব্ল্যাক স্প্যারো, (১৯৯৪), “স্ক্রিমস ফ্রম দ্য ব্যালকনি: সিলেক্টেড লেটারস ১৯৬০-১৯৭০” (১৯৯৩), এবং “দ্য লাস্ট নাইট অফ দ্য আর্থ পোয়েমস” (১৯৯২) ।
প্রকৃতার্থে তাঁর লেখালেখির জগতে সাফল্য আসে জীবনের একেবারে শেষ দ্বারপ্রান্তে৷ ১৯৯৪ সালের ৯ মার্চ পেদ্রোতে লিউকেমিয়ায় ভুগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন৷ তথ্যসূত্র : poets.org]
কিছু লোক
চার্লস বুকাওস্কি
ভাবানুবাদ : নাজিয়া তাসনিম
কিছু লোকের কখনও মাথা নষ্ট হয়না৷
আমি, মাঝেমাঝে সোফার পিছনে গিয়ে শুয়ে থাকি
তিন-চারদিনের জন্য৷
সবাই সেখানেই আমাকে খুঁজে পাবে৷
‘এই যে মহাশয়’, তখন ওরা বলবে, আর
আমার গলায় ওয়াইন ঢেলে
গায়ে ধাক্কাধাক্কি করে
তেল মাখামাখি করে দেবে ৷
তারপর আমি চিৎকার করে উঠব
বকাঝকা, রাগারাগি—
গালিগালাজ করবো ওদের শুদ্ধ পুরো দুনিয়াটাকে;
এভাবেই খেদিয়ে উঠানে বের করে দিব ওদের ৷
খুব আরাম লাগবে তখন!
টোস্ট-অমলেট আমার হাতে নিয়ে
গুনগুন করব হয়ত;
সহসাই হয়ে যাব প্রেমার্দ্র,
স্থূলকায় গোলাপী তিমির মতো৷
কেউ কেউ কখনই মাথা গরম করে না৷
কী ভয়ংকর জীবনটাই না
তারা যাপন করে!
Amio voyanok jibone achi matha gorom chara…ekhon theke matha gorom korte hobe