অপেক্ষা

হলুদ খামে চিঠির ভাঁজে থাকা শুকনো বেলি ফুলের ঘ্রাণ আজও প্রিয়ন্তীকে উন্মাদ করে তোলে। চিঠির প্রত্যেকটা শব্দ খুঁজে ফিরে নিয়ে যায়— প্রিয়ন্তীর প্রথম ভালোবাসার নীড়ে।
সুবাসিত সেই চিঠিতে বাকা বাকা অক্ষরে লেখা…..
প্রিয়তমা,
তোমাকে দেখার বাসনায় আমার হৃদয়ে জুড়ে চৈত্র মাসের খড়া নেমেছে।চৈত্রের তীব্র তাপদাহে জ্বলে পুড়ে যাওয়া এই হৃদয়ে আমার কতদিন যে ভালোবাসার ভারি বর্ষণ নামেনি!
তুমি আজ এসো প্রিয়তমা,গাঁয়ে আকাশ নীল রঙের শাড়ি জড়িয়ে, কপালে কালো টিপে, চোখ রাঙানো কাজলে,ঝুনঝুন শব্দে গান তোলা চুড়ি ও নুপুর বাজিয়ে তুমি আজ এসো আমার কাছে। কিছুটা সময় খালি পায়ে ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির ছুঁয়ে আমার হাতে হাত রেখো।কিছুটা সময় আমার পাশে বসে বসন্তের রাতে পূর্ণ চাঁদের আলো নিজের গাঁয়েই মেখো। আমি না হয়,আকাশ নীলে স্তব্ধ শহরে কিছু কবিতা শুনাবো।সেই কবিতা শোনার ছলনায় তোমার না হয় আরও একটু কাছে চাইব।
প্রিয়তমা, তুমি আজ এসো। আমার হৃদয় জুড়ে চৈত্রের খড়া কাটিয়ে ভালোবাসার ভারি বর্ষণ হতে এসো।
কার্জন হল প্রাঙ্গণ,সন্ধ্যা ৬ টা।
ইতি
স্পন্দন
সেদিন আসেনি স্পন্দন। প্রিয়ন্তী আজও স্পন্দনের জন্য আকাশ নীল রঙের শাড়ি জড়িয়ে, কপালে কালো টিপে দাঁড়িয়ে থাকে কার্জনের গেটে।প্রিয়ন্তী আজও অপেক্ষায় থাকে স্পন্দনের হাতে হাত রেখে শিশির ছুঁয়ে হাঁটবে বলে, তার হৃদয়ের চৈত্রের খড়া কাটিয়ে দিয়ে ভালোবাসার ভারি বষর্ণ নামাবে বলে।