ছায়া কবর

শহর থেকে দশ মাইল দূরে। যমুনার তীরে। ভাটপিয়ারি গ্রাম।একাত্তর সাল। জুলাই মাস। বর্ষাকাল। ওয়াপদা দিয়ে শাঁশাঁ শব্দে আসে শত্রুপক্ষের জীপ। আগুনে জ্বালিয়ে দেয় বাড়ীঘর। পলায়নরত মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করে যমুনা পাড়ে। মৃতদেহগুলো ফেলে দেয় নদীতে।
পাকসেনাদের গুলিতে নিহত হয় সাদেক আলী। চুপিচুপি বাড়ীতে কবর খনন করে বাবার লাশ আনতে যায় রমিজ ও তমিজ দু’ভাই। তখন প্রবল স্রোত নদীতে। অনেক লাশ ভাসছে পানিতে। এতগুলো লাশের মধ্যে সাদেক আলীর লাশ নেই। জুলমাত পাগল বলল- ম্যালা লাশ ভাইসা গ্যাছে ভাঁটিতে। পানিতে ভাসছে সাদেক আলীর রক্তাক্ত শার্ট। রমিজ ও তমিজ শার্টটি এনে সযত্নে পুতে রাখে কবরে। এখনো তাঁরা জিয়ারত করে সেই কবর ।