বিদ্যাসাগর ও আধুনিক মন : সাহিত্যভাবনা ও শিক্ষাচিন্তায়

৩. সাহিত্যভাবনায়
বঙ্কিমচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ ও শরত্চন্দ্র যে অর্থে সাহিত্যিক, বিদ্যাসাগরকে সেই অভিধায় সাহিত্যিক হয়তো বলা যাবে না। তাই বলে বিদ্যাসাগর-বিদ্বেষী বঙ্কিমচন্দ্রের মতো শুধু ‘পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা’ সাব্যস্ত করে দিলেই বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাসাগর গুরুত্বহীন হয়ে যান না। বিদ্যাসাগর সারাজীবন নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন বিধবাবিবাহ প্রচলন, বহুবিবাহ নিরোধ, বাল্যবিবাহ বন্ধ, সহবাসসম্মতি আইনসহ নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তির আন্দোলনে—এসব সংস্কারের পাশাপাশি শিড়্গানীতি প্রণয়ন, পাঠ্যপুস্তক রচনা, সর্বোপরি বাংলাভাষার শ্রীবৃদ্ধি এবং নিজ হাতে গড়া মেট্টোপলিটান ইনস্টিটিউশন ও কলেজের উন্নতিসাধনই ছিলো বিদ্যাসাগরের শেষ স্বপ্ন। তাঁর জ্ঞান, দান, দয়া, অজেয় পৌরুষ, অক্ষয় মনুষ্যত্ব প্রভৃতি মনে রেখেও রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘তাঁহার প্রধান কীর্তি বঙ্গভাষা।’ সংস্কৃত সাহিত্যের গবেষকরা যেমন মনে করেন, বিদ্যাসাগর জীবনে অন্য কোন গ্রন্থ রচনা না করেও কেবল একখানি ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’-র জন্য চিরঞ্জীব থাকতেন, তেমনি বঙ্গভাষার গবেষকগণও মনে করেন, শুধু ‘বর্ণ পরিচয়’-এর জন্যই বাংলাভাষার অটল সিংহাসন হতে পারত বিদ্যাসাগরের। প্রায় দেড়শ’ বছর আগে, ‘কি পড়, কোথা যাও, কাছে এস, বই আন’—এই বাংলা তিনি কী করে লিখলেন আজও তা এক বিস্ময়। এমনি বিস্ময় নিয়েই আদি কবি বাল্মীকির ‘মা নিষাদ’ নয়, বিদ্যাসাগরের ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’কেই রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘আমার জীবনে এইটেই আদি কবির প্রথম রচনা।’ মৌলিক সাহিত্যসৃষ্টি করেননি বিদ্যাসাগর। তাঁর অধিকাংশ সাহিত্যকর্মই সংস্কৃত, ইংরেজি ও হিন্দি সাহিত্যের উত্স থেকে আহরিত। এসব ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্য তর্কাতীত। অনুবাদ, সমালোচনায়, শব্দগঠনে, পরিভাষা নির্মাণে তিনিই পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন। শেক্সপিয়ারের Comedy of Errors এর অনুবাদ রূপান্ত ‘ভ্রান্তিবিলাস’কে রচনার কৌশল বিবেচনায় বিদ্যাসাগরের মৌলিক রচনা বলে ভ্রম হয়। এই অনুবাদ দেখে মনে হয় বিদ্যাসাগর সৃজনশীল সাহিত্যে মনোনিবেশ করলে তাঁর পক্ষে একজন সার্থক কথাশিল্পী কিংবা নাট্যকার হওয়া বিচিত্র কিছু ছিল না। বিদ্যাসাগর ‘শব্দমঞ্জরী’ ও শব্দসংগ্রহ’৯ নামে দুখানি অভিধানের প্রণেতা। ‘শব্দসংগ্রহ‘ অভিধানে তিনি আজ থেকে দেড়শো বছর আগে যে বানানরীতির প্রস্তাব করেছেন, [এ-বানান বিদ্যাসাগর তাঁর রচনাবলির কোথাও প্রয়োগ করেন নি ] ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানের নিয়ম অতিক্রম করে ২০২০ সালে গৃহীত বাংলা একাডেমির প্রমিত বানান প্রায় অভিন্ন। যেমন ‘পুজারিনি’ বানানটি এখনও পর্যন্ত অনেকের কাছে ‘পূজারিণী’।
‘আমার জীবনে এইটেই আদি কবির প্রথম রচনা।’ মৌলিক সাহিত্যসৃষ্টি করেননি বিদ্যাসাগর। তাঁর অধিকাংশ সাহিত্যকর্মই সংস্কৃত, ইংরেজি ও হিন্দি সাহিত্যের উত্স থেকে আহরিত। এসব ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্য তর্কাতীত। অনুবাদ, সমালোচনায়, শব্দগঠনে, পরিভাষা নির্মাণে তিনিই পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন।
বাংলা বর্ণানুক্রমের দিগ্দর্শনের দিশারিও বিদ্যাসাগর। বর্তমানে অনেক শ্রমসাধ্য বর্ণানুক্রমের কাজ কম্পিউটারের সহায়তায় কমে যায়। কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষার ক্ষেত্রে তা সম্ভব হলেও এখনও পর্যন্ত বাংলা বর্ণানুক্রমে প্রোগ্রাম কম্পিউটারে ঢোকানো সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে দায়ী বাংলায় প্রচলিত স্বেচ্ছাচারী জটিল বর্ণানুক্রম। এখানেও বিদ্যাসাগরীয় অনুক্রম গ্রহণ না করলে গত্যন্তর নেই।
৪. শিক্ষাচিন্তায়
মানুষের মনুষ্যত্বই বিদ্যাসাগরের কাছে বড় ছিল, আর সেই মনুষ্যত্ববোধকে জাগিয়ে তোলাই ছিল তাঁর সাধনা। তাঁর জীবনের যা কিছু কাজ-শিক্ষা বিস্তার, সমাজ সংস্কার, ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে বিপুল প্রয়াস প্রচেষ্টার পেছনে রয়েছে সেই একটি মাত্র উদ্দেশ্য—মানুষের মনুষ্যত্বের উদ্বোধন। শিড়্গার প্রয়োজন মানুষের অন্ত্মর্নিহিত মনুষ্যত্বকে মুক্ত ও বিকশতি করা—এই বোধই হ’ল আজ পর্যন্ত আধুনিকতম।
বিদ্যাসাগর চরিত্রে তিনটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য যায়, যা তাঁর জীবনের প্রতিটি কর্মে সমানভাবে কাজ করেছে। সংস্কারমুক্ত মন, মানবপ্রেম ও যুক্তিবাদ। তিনি দেশের শিক্ষাপদ্ধতি নির্ণয়ে ও শিক্ষার প্রসারে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন হৃদয়স্থিত মানবপ্রেমে থেকে, কাজ করেছেন সংস্কারমুক্ত মন নিয়ে যুক্তির সাহায্যে। বিদ্যাসাগরের চিন্তা কতখানি আধুনিক ছিল, বিশেষত তাঁর শিক্ষাচিন্তা থেকে সে কথা প্রমাণিত হয়। তাঁর ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে শিক্ষাবিষয়ক অনেকগুলো অত্যাধুনিক ইউরোপীয় গ্রন্থ খুঁজে পাওয়া গেছে। সমসাময়িককালে যে সকল ইউরোপীয় মনীষী শিক্ষা সম্বন্ধে রীতিমতো ভাবতেন, তাঁদের সকলের রচনার সঙ্গে তিনি পরিচিত ছিলেন।
পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ্ সপ্তম শতাব্দীতে ভারত এসে বিহারের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘকাল অবস্থানে করেছিলেন। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকে আমরা সে যুগের ভারতবর্ষের উদার শিক্ষা-ব্যবস্থার যে বিবরণ পাই তাতে দেখা যায়, নালন্দা প্রধানত মহাযানপন্থী বৌদ্ধদের শিক্ষাকেন্দ্র ছিল ; কিন্তু তাঁদের মধ্যে ধর্মান্ধতার কোনো স্থান ছিল না। শিক্ষার বিষয়ে কোনো সঙ্কীর্ণতা কোথাও ছিল না।
প্রাচীন ভারতবর্ষের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বর্ণনা দিতে গিয়ে F.H. Thomas লিখেছেন— There is no conntry where the love of learning had so early an origin or has exercised so lasting and powerfull an influence। সত্যানুসন্ধান এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনার ওপরেই ভারতের শিক্ষার আদর্শ প্রতিষ্ঠিত ছিল। শিক্ষার ক্ষেত্রে এই উদার মানসিকতার অবসান ঘটে বাংলার সেনবংশের রাজা বল্লাল সেনের রাজত্বকালে। বল্লাল সেনের আমলে ব্রাহ্মণ্য শক্তির প্রাবল্যে জাতিভেদের গোঁড়ামি শুরু হয়ে যায়। ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম জোন্সের চেষ্টায় কলকাতায় প্রাচ্য বিদ্যাচর্চার কেন্দ্ররূপে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে সোসাইটির সভায় জোন্স্ হিন্দুজাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করেন। কালিদাসের শকুন্তলা এবং জয়দেবের গীতগোবিন্দও তিনি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। পর্তুগিজ শাসিত গোয়ায় ছাপাখানা আসার ২২২ বছর পর অবশেষে বাংলাদেশে ছাপাখানা এল। এর মুদ্রাকর ছিলেন সংস্কৃতজ্ঞ রাজকর্মচারী চার্লস উইলকিন্স (১৭৪৯/৫০-১৮৩৬)। নাথানিয়েল ব্রাশি হ্যালহেড (১৭৫১-১৮৩০) এর Grammar of the Bengal Language দিয়ে ছাপার পত্তন হলো ১৭৭৮ এ। এরপর পঞ্চানন কর্মকারকে (?-১৮০৩/৪) দিয়ে উইলকিন্স প্রথম বাংলা হরফ তৈরি করালেন। উইলকিন্স গীতারও ইংরেজি অনুবাদ করলেন। ১৭৮০ খ্রি. জানুয়ারিতে এদেশের প্রথম সংবাদপত্র ‘হিকিস গেজেট অব দি অরিজিন্যাল ক্যালকাটা জেনারেল অ্যাডভার্টাইজার’ বের করেন ভারতের প্রথম সাংবাদিক জেম্স্ অগাস্টাস হিকি (১৭২৮-১৮০২)। তিনিই ছিলেন এ-সংবাদপত্রটির সম্পাদক, মুদ্রাকর ও প্রকাশক। ইংরেজ সরকারের বিরম্নদ্ধে লেখালেখি ক’রে নিজে জেলও খেটেছিলেন। সমাচার দর্পণ বার হয় ১৮১৮-তে মার্সম্যান এর সম্পাদনায়। হিন্দুধর্ম ও মনীষার গৌরবকে আবিষ্কার করার জন্য যাঁরা চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে কেলব্রুকের নামও স্মরণযোগ্য। ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে রামমোহনের কলকাতায় আসার অনেক আগেই তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির প্রত্রিকায় ‘বেদ’ সম্বন্ধে দীর্ঘ গবেষণামূলক একটি প্রবন্ধ লেখেন।
ডিরোজিও ও তাঁর অনুগামী ‘নব্যবঙ্গ দল’ এর হিন্দুবিদ্বেয়, রামমোহন অনুগামী ব্রহ্মবাদী সমাজের বৈদিক ঐতিহ্য ও বেদান্ত্মের প্রতি অনুরাগ এবং রাধাকান্ত দেব ও ভবানীচরণ বন্দোপাধ্যায়ের মত রক্ষণশীল অথচ শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সংঘর্ষে কলকাতা তথা বাঙালিমানস যখন উত্তাল এবং অস্থির ; হিন্দু কলেজ ও সংস্কৃত কলেজ একই ভবনের দুই প্রান্ত থেকে দুই বিপরীতমুখী সংস্কৃতির চর্চায় যখন মগ্ন, ঠিক তখনই ঐতিহাসিক প্রয়োজনে আধুনিক শিড়্গার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবল এবং বৈপ্লবিক এক ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটল-ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সেই ব্যক্তিত্ব। ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে ২৯ ডিসেম্বর ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে প্রধান প্লিতরূপে যোগদান করেন একুশ বছর বয়সের তরুণ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (বন্দ্যোপাধ্যায়)। ১৮৪১-১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ৫ ডিসেম্বর অর্থাত্ সংস্কৃত কলেজে স্থায়ীভাবে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত নয় বছরকে তাঁর কর্মজীবনের প্রস্তুতিপর্ব বলা যায়। শিক্ষা জগতের সংস্কারক এবং বাংলা ও ভারতবর্ষে আধুনিক শিক্ষা-প্রবর্তনের অগ্রদূতরূপে বিদ্যাসাগরের প্রথম আবির্ভাব ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর-সংস্কৃত কলেজ পুনগর্ঠন সংক্রান্ত তাঁর প্রস্তাব রচনার মুহূর্তে।
১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে ২৯ ডিসেম্বর ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে প্রধান প্লিতরূপে যোগদান করেন একুশ বছর বয়সের তরুণ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (বন্দ্যোপাধ্যায়)। ১৮৪১-১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ৫ ডিসেম্বর অর্থাত্ সংস্কৃত কলেজে স্থায়ীভাবে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত নয় বছরকে তাঁর কর্মজীবনের প্রস্তুতিপর্ব বলা যায়। শিক্ষা জগতের সংস্কারক এবং বাংলা ও ভারতবর্ষে আধুনিক শিক্ষা-প্রবর্তনের অগ্রদূতরূপে বিদ্যাসাগরের প্রথম আবির্ভাব ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর-সংস্কৃত কলেজ পুনগর্ঠন সংক্রান্ত তাঁর প্রস্তাব রচনার মুহূর্তে।
বিদ্যাসাগর যখন কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত, তখন বিদেশী প্লিতদের নিরন্তর গবেষণায় ভারতবিদ্যা সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। কিন্তু তবুও বিদ্যাসাগর বারাণসীর সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ব্যালেন্টাইনকে লিখেছিলেন, সাংখ্য এবং বেদান্দদর্শন ভ্রান্ত্ম এবং এ-সব দর্শনকে পাঠ্যবিষয়রূপে নির্বাচিত করা উচিত হবে না। গৌড়ীয় বৈষ্ণবরাও বেদান্তের মায়াবাদী ভাষ্য বর্জন করেন। অথচ আমাদের দেশে ধর্মীয় রহস্যবাদের মৌলিক ভিত্তি ছিল ভাববাদ। ভাববাদের প্রত্যাখ্যানে অবশ্যই বিদ্যাসাগরের মূল্যবোধের আধুনিকতা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বিদ্যাসাগর সংস্কৃত কলেজের পাঠ্যসূচিও প্রায় সর্বাংশে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে পাঠ্যতালিকাকে বিজ্ঞানভিত্তিক করে তুললেন। এ-সংস্কারে বাদ পড়ল মীমাংসা শ্রেণীতে পঠিত রঘুনন্দন রচিত ‘অষ্টবিংশতি তত্ত্ব’, যা শুধু পেশাদার ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের প্রয়োজন। বাদ দিলেন গঙ্গোশোপাধ্যায়ের ‘অনুমানচিন্তামণি’ এবং তার টীকা, রঘুনাথ শিরোমণি রচিত ‘দীধিতি’ এবং উদয়নাচার্যকৃত ‘তত্ত্ববিবেক’। আরও বাদ দিলেন বাচস্পতি মিশ্রের ‘তত্ত্বকৌমুদী’, ‘সাংখ্যের সংক্ষিপ্তসার’ আর শ্রীহর্ষের বেদান্ত বিষয়ক ‘খ্লন’। এর জায়গায় তিনি পাঠ্য করলেন সাংখ্য-প্রবচন, পাতঞ্জলসূত্র, পঞ্চদশী আর ‘সর্বদর্শন সংগ্রহ’। বিদ্যাসাগর ন্যায় শ্রেণির নাম পরিবর্তন করে দর্শন শ্রেণি করলেন। পাশ্চাত্য ভাববাদী দার্শনিক বিশপ বার্কলের Inquiry বাদ দিয়ে পাঠ্যন্তর্ভূক্ত করলেন ব্যালেন্টাইন সম্পাদিত J.S.Mill এর Logic বইটি। বাংলাভাষায় প্রথম বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের রচয়িতা ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক অক্ষয়কুমার দত্ত বিদ্যাসাগরের চেষ্টায় কলকাতা নর্মাল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ পেয়েছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা শিক্ষার ক্ষেত্রে আধুনিকম্নন্যতার যে সূচনা হয়েছিল পরবর্তীকালে তার প্রভাব সমগ্র ভারতবর্ষের ওপরেই পড়েছে।
আগামীকাল পড়ুন: বিদ্যাসাগর ও আধুনিক মন : জাতীয়তার চেতনায়
আরও পড়ুন : বিদ্যাসাগর ও আধুনিক মন : ধর্মবোধে, সমাজচেতনায়
গত বছর বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড ও মুক্ত আসর আয়োজন করে ‘২০০ বছরে বিদ্যাসাগর আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২০’ এই সম্মেলনে এই প্রবন্ধটি উপস্থাপনা করা হয়।