মুহাম্মদ রফিক ইসলাম’র কবিতা

জীবন সে-তো আগুনসেঁকা রুটি
বায়ুশূন্য তরঙ্গের মতো
শব্দের খড়কুটো
ওড়ে—
বুকের উদোম শ্মশানে দুঃখ পুড়ে,
পোড়ায় দুঃখের
আ’ল—
খেত—
মাঠ—
পুরোটা জীবন!
ছাইয়ের পেটে শব্দগুলো মূলতঃ
আকাশের চোখে বিষ্টিহীন শ্রাবণগীতি!
এবং একটা রাতবিষয়ক গল্প
কুমারী হতে পৌঢ়ে; রাতের যেকোন বয়সেই
আমি তার নিকটতম প্রতিবেশী।
সন্ধ্যা বা শুকতারার গল্পে কাহিনী না খুঁজে,
রাতের পাশবালিশ হয়ে ভাবি— ভাব-আবেগে
আথিতেয়তা বাড়াই!
অথচ, মেঘ না দেখা চোখ তোমার।
জোছনার প্রেমে পড়ো।
চাঁদকে ‘ভালোবাসি’ বলো—
জোছনাতেও যে চাঁদ পুড়ে, পোড়ার গন্ধ ঠের পাও?
বারান্দায় দাঁড়িয়ে তারাফুলে দুহাত ভরে
মিটিবাতি ওড়াও! তারাঢাকা আকাশের
ব্যথামুখ দেখে, ভিতর না বুঝা প্রেম তোমার
কাশবনে বিছিয়ে কতো কী ভাবো; ভাবনায়—
রাতের কষ্ট ছুঁতে পাও?
রাতের হৃদয়ে বসে কষ্টের চির ধরে টানলেও তুমি—
আঁধার ভাঙার শব্দ শুনোনি!
অনুযোগঃ অনুনয়ের দিকেই যায়
চিরুনি বললো—
‘থেকে যাও ক’টা দিন…গ্যাপে— ব্যাকে,
কত আলাপই জমে গ্যাছে— জটলা
পাকিয়েছে চুল!’
আয়নার কানে তখনো বাজে—
‘ঘরটা খালিই থাকে
ফিরে না এলে…!’