৭৭ বছরে প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট লেখক ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ খান

ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হলেন লেখক ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ খান। তিনি আজ শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক ফরহাদ খান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল। কয়েকদিন আগে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৪টায় মারা যান।
ফরহাদ খান ১৯৪৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়ার মিরপুরের আমলা গ্রামে। ১৯৭০ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগ দিয়ে ২০০২ সালে বাংলা একাডেমির ভাষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগের পরিচালকের পদ থেকে অবসর নেন।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ডেপুটেশনে ডয়েচে ভেলে রেডিওর বাংলা বিভাগের সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-‘প্রতীচ্য পুরাণ’, ‘শব্দের চালচিত্র’, ‘বাংলা শব্দের উৎস অভিধান’, ‘চিত্র ও বিচিত্র’, ‘হারিয়ে যাওয়া হরফের কাহিনী’, ‘বাঙালির বিবিধ বিলাস’, ‘নীল বিদ্রোহ’ (যৌথ অনুবাদ), ‘ব্যারন মুনশাউজেনের রোমাঞ্চকর অভিযান’, ‘গল্প শুধু গল্প নয়’ (শিশুতোষ গল্প)।
একজন বেতার ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবেও ফরহাদ খান সুপরিচিত। তিনি ১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বেতারে সংবাদ অনুবাদ ও পাঠ করেছেন। ১৯৮৬ পর্যন্ত ঢাকা বেতারের ‘উত্তরণ’ ও ‘সংবাদ বিচিত্রা’র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে মাতৃভাষা নিয়ে মোদের গরব মোদের আশা, বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে আহমান বাংলা এবং মাতৃভাষা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন।
প্রবন্ধ সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে ‘সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯’ দিয়েছেন বাংলা একাডেমি।